যশোয়া হালাম একটি সন্ধ্যা আড্ডা চৈতন্য ফকির
যশোয়া হালাম একটি সন্ধ্যা আড্ডা
চৈতন্য ফকির
হালাম সংস্কৃতি ও ইতিহাস জানার আগ্রহ থেকে দেখা করতে চলে যাই আমি পদ্মশ্রী মজুমদার ও আত্মজা গৈরিকাসহ ১৯শে নার্চ ২০২১ এর সন্ধ্যায়।যশোয়া হালাম একজন আড্ডারু।সংগীতের একক প্রতিষ্ঠান। কৃষি আধিকারিক। তাঁর নোয়াগাও যাকে সে অঞ্চলের সবাই নোয়াগাঙ বলেন।
যশোয়া হালামের নোয়াগাঙ, বাগবাসা পেরিয়ে সামনেই উত্তর ত্রিপুরার এক অপরূপ গ্রাম নোয়াগাঙ।বাস করেন যশোয়া হালাম।
নোয়াগাঙ থেকে পাণিসাগর খুব কাছেই।সামনে উপ্তাকালি,রামনগর।
আমরা তিনজন নোয়াগাঙ দ্বাদশশ্রেণির সামনে নামতেই একটি ফোন আসে।আমরা কোথায় জানতে চান তিনি।বললাম আমরা দাঁড়িয়ে আছি।তিনি তখন সবে অফিস থেকে ফিরে বাসার পোশাক পরেছেন।খালি পায়ে হেটে এলেন আমাদেরকে নিতে।সাথে টম যশোয়া হালাম পালিত কুকুর।প্রথম দেখাতেই টম তার বীরত্ব জাহির করলো।গৈরিকা জড়সড়। তিনি বললেন ভয় পেলে আক্রমন করবে।আমরা তখন ভয় কাটিয়ে তাকে আদর সম্ভাষণ জানাতেই টম লেজ নেড়ে আমাদেরকে অতিথি হিসেবে গ্রহণ করে নিলো।একটু দূরেই যশোয়ার রাজবাড়ি। একটু মেদি টিলার উপর মনোরম ফুল বাগিচায় তিনি সংগীতরাজ যশোয়া।
তাঁর সাথে কথা বলতে বলতে কথা আর থামে না।নানান ডালপালায় হালামের আগমন থেকে পূর্ব পুরুষ হিড়ম্ব রাজ্য সব আলোচনায় উঠে আসে।রাত কখন নয়টা টের পাইনি।রাস্তায় নামতেই গৈরিকার পেট ব্যথা শুরু হলো।তিনি দৌড়ে বাসা থেকে এনে দিলেন তুলসী।তাতে গৈরিকার আপাততঃ সারলো ব্যথা।আমরা নয়াপড়া ধর্মনগর চলে আসি।সেই আড্ডার স্মৃতিচারণ চলছিলো গভীর রাত অব্দি। একজন মানুষ হালামকে কাছে থেকে পেয়ে বেশ কাটলো কিছু সময়।
১৯:০৩:২০২১
0 Comments