নির্বাচিত ছড়া || গোবিন্দ ধর 

হরেক রকম গরম গরম 

পাতার বড়া ছাতার বড়া
হোক না পকোড়া। 
ডালের বড়া  ডিমের বড়া 
হয় কখনো পেঁয়াজ ছাড়া?

তালের বড়া গরম গরম 
ভাজতে থেকো কড়া।
ধনে পাতার বড়ায় যেন
ঢেলো না তেলের ঘড়া।

হরেক রকম গরম গরম 
বড়া নাচে তেলে বোড়ে।
মা মাসিরা বিক্রি করেন
ইন্দ্রবিলের পাড়ার মোড়ে। 

১০:০৬:২০২৪
সময়:রাত:০১টা৫৫মি
কামাখ্যা এক্সপ্রেস 
মালদা,পশ্চিমবঙ্গ।

নদী ফুঁসছে

ফুঁসছে ঢুকছে বাণ
বৃষ্টি ঝরে টাপুর টুপুর। 
আষাঢ় শ্রাবণ অঝোর 
ঝরে টাপুর টুপুর। 

দক্ষিণে এক মনু নদী
ঊনকোটিও মনু ফুঁসছে। 
দেও জুড়ি হাকালুকি 
প্লাবন জলে হাসছে।

নদী ফুঁসছে বাণ আসছে
অঝোর ধারায় বৃষ্টি। 
আষাঢ় শ্রাবণ বর্ষা
এক-ই অনাসৃষ্টি! 
০২:০৭:২০২৪ 

বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে

বৃষ্টি পড়ে
বৃষ্টি পড়ে
এমন দিনে
তুমি এলে।

বৃষ্টি পড়ে
বৃষ্টি পড়ে
ভাসিয়ে নিলে
বৃষ্টিজলে।

বৃষ্টি পড়ে
বৃষ্টি পড়ে
তুমি তখন
ঘুমের দেশে।

বৃষ্টি পড়ে
বৃষ্টি পড়ে
আসুক ঝড়
ভালোবেশে।

বৃষ্টি পড়ে
বৃষ্টি পড়ে
সকাল বিকাল
বৃষ্টি ঝরে।

বৃষ্টি পড়ে
বৃষ্টি পড়ে
মনের মতন
বৃষ্টি পড়ে।

২৯:১০:২০১৮
সকাল:০৭:২৮
কুমারঘাট


ঊনিশের গান

ঊনিশ আমার জীবন যাপন
ঊনিশ আমার গান।
ঊনিশ আমার শ্বাসপ্রশ্বাস 
ঊনিশ আমার প্রাণ। 

ঊনিশ আমার বাংলা মায়ের
রক্তের বিনিময়।
ঊনিশ আমার বেঁচে থাকার 
প্রাণের নিরাময়।

১৬:০৫:২০২৪
সন্ধ্যা :৬টা৩৫মি
কুমারঘাট।

গোবিন্দ ধর এর দুটো ছড়া

এক. 
অমলকান্তি চন্দ 
ছড়ায় ছড়ায় গল্প।

রসমালাই গন্ধ 
ছড়ায় অল্প সল্প।

২৯:০১:২০২০
সময়ঃ১১টা
রাজেন্দ্রনগর।

দুই

অমলকান্তি চন্দ 
ছড়ায় ছড়ায় গল্প।

রসমালাই গন্ধ 
ছড়ায় অল্প সল্প।

ছড়ায় ছন্দে আঁকে
এই ত্রিপুরার গদ্য।

আর সে লেখে কত
পাহাড় ঝরণার পদ্য।

২৯:০১:২০২০
সময়ঃ১১টা
রাজেন্দ্রনগর।

রসমালাইয়ের ছড়া

ভূতের কাকা আমার কাকা।
হাঁড় জিরজির একটু বাঁকা।

ভূতের পিসি আমার পিসি।
ঘরখানা তার তেলের শিশি।

পাড়ার মোড়ে ভূতের ছানা
নাঁকি সুরে কান্না মানা।

রাতাছড়ায় ভূতের ছড়া।
রসমালাই-এ শরীর গড়া।

দুঃসময়ের কবিতা

মাথাকে ফুটবল মনে করে
বেশ খেলছো?
হুকোয় তামাক ভরে যেন
ঠাকুরদা টানছো।

এক পিচ্ছিল সময় বয়ে যায়
অবিরত অবিকল।
তিনবেলা ভাত গিলি নিয়মিত
শুয়ে বসে টানি যাঁতাকল। 

নিজের প্রেমকে বারবার লিখি
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন। 
মানুষ মানুষ নয় কেউ নয়
কারো আপন টাপন।

আমিই একশ =আমিই একশ
বাকি সব পাখি রব।
এ-ই নিয়ম বলে এক অলিখিত 
নিয়মেই চলছি সব।

১৫:০৭:২০২০
বিকেল:০৫:১০মি
কুমারঘাট।

রিমেল

আমার শহর কুমারঘাটে
এসছে রিমেল ঢুকছে ঘরে। 
আমরা আছি কর্ণাটকে
মন ভালো নয়,অল্পাহারে।

দুদিন কেমন লণ্ডভণ্ড 
আঘাত আনলো  ঘরদোয়ারে
পথে ঘাটে জল থইথই 
জল থইথই পুকুরপারে। 

রাস্তাঘাটে ক্ষেতে-মাঠে
পড়ছে ভেঙে গাছগাছালি। 
আমার শহর কুমারঘাটে 
চলছে জোর জোড়াতালি। 

রিমেল এখন চলে গেলেও
ভয় ঢুকেছে লোকের মনে
ঘূর্ণিঝড়ে জলোচ্ছ্বাসে
ভয়ে ছুটে পশুও বনে।

২৯:০৫:২০২৪
সকাল :১১টা২০মি
নিমহান্স, ব্যাঙ্গালুর।

ছড়াক্কু

এক.

রুদিজলায় হাঁস ছেড়ে দাও
অক্সিজেন পাবে।
নীরমহল্লায় জল নেই তাও
নৌকো বাইচে যাবে!

দুই.

বাঁশ গাছকে ধান ভেবে নাও
চাল করে নাও বাঁশফুল।
বাঁশ কড়ুলের বিস্কুট খাও
তাল তুলে দাও নাকফুল।

তিন.

বিয়ের কনের লগ্ন ভেঙে
লগ্নভ্রষ্ট হয় হোক।
লেলিয়ে দাও আই এ এস
গলাধাক্কা হয় হোক।

চার.

জাতীয় সংগীত কাকে বলে
কাকে বলে বকের ছা।
ঘোলা জলে হাঁস ছেড়ে দাও
বেরিয়ে আসবে সাপের পা!

পাঁচ.

রাতের বেলা নাইট কার্ফু
ঘুমিয়ে রাখো জনগন।
গাঁজার গাড়ি হাওয়াই বাড়ি
ঘুরছে চাকা ভনভন। 

ছয়.

হল্লা যতই হুক্কা রবে
তিড়িংবিড়িং চিংড়ি নাচে। 
জানবে ততই মাল যাচ্ছে 
পকেট কেটে পকেট ভরছে।

সাত.

দুধের সাথে জল মিশে যাক
ভেলকিবাজি হয় হোক।
ঝোল বারান্দায় দাঁড়িয়ে তিনি
গান গেয়ে যান বেহাগরাগ। 

আট.

সাত সকালে কেউ জাগো না
বধির থাকো কুমড়োপটাস।
তেল করে দাও দুশো টাকা
জলের দাম হোক আটাশ।

নয়.

ভেলকিবাজির শহর জুড়ে
রাতে কেবল করোনা বাড়ে।
সবাই কেমন চুপ চুপচাপ 
রাজা বললে মুখ নাড়ে।

২৮:০৪:২০২১
সকাল :০৬টা
কুমারঘাট।

ছড়ড়া

বিল টিল
এনো না
কিল টিল 
মেরো না।

হাতে হাত
ধরে চলি
পরিবার
গড়ে তুলি।

ঘরে ঘরে
এক সাথে
চলি চলো
মিলি তাতে।

পাখি ডাকা
ভোর ভোর
নিয়ে আসি
খোলে দোর।

২৬:০৯:২০২০
সকাল:০৮:৪৫মি
আগরতলা।

গা ছমছম তেঁতইর তল 

গা ছমছম তেঁতইর তল।
ভুতের বাসা পেঁচারতল।
সেথায় ঠিকই ঝর্ণা ছিলো
নামছে নিচে কলকল।

রাতবিরেতে ভুতের বাবা
নৃত্য করে ছানাপোনা।
গা ছমছম তেঁতইর তল
করছে কেবল আনাগোনা। 

শিলাছড়ির বুদ্ধ ঝরণা
গা ছমছম তেঁতইর তল। 
ভুতের নাতিন ভুতের পুতিন 
নাচছে গাইছে করছে ছল।

০৪:০৬:২০২৪
রাত:০১টা৫০মি
ব্যাঙ্গালুর

হরেক রকম গরম গরম 

পাতার বড়া ছাতার বড়া
হোক না পকোড়া। 
ডালের বড়া  ডিমের বড়া 
হয় কখনো পেঁয়াজ ছাড়া?

তালের বড়া গরম গরম 
ভাজতে থেকো কড়া।
ধনে পাতার বড়ায় যেন
ঢেলো না তেলের ঘড়া।

হরেক রকম গরম গরম 
বড়া নাচে তেলে বোড়ে।
মা মাসিরা বিক্রি করেন
ইন্দ্রবিলের পাড়ার মোড়ে। 

১০:০৬:২০২৪
সময়:রাত:০১টা৫৫মি
কামাখ্যা এক্সপ্রেস 
মালদা,পশ্চিমবঙ্গ।

বঙ্গবন্ধু 

বাংলা ভাষার দেশ
নামটি বাংলাদেশ। 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
কৃতজ্ঞতা অশেষ।

লাল সূর্যের অন্য নাম
শেখ মুজিবুর। 
স্বাধীনতা এনে তিনি
জাতির বন্ধুবর।

কিম আশ্চর্যম সিরিজ

এক.
কি যে বলি
কি যে করি
কিছু নয় খোলসা।
এ কি কথা
সে কি কথা
সব দেখি তামসা!
রসে বসে 
বেশ তো
চলছে রসিকতা। 
আশে পাশে 
এই তো
আমি নচিকেতা। 

০৩:০৬:২০২৪

দুই. 

আর কি বলি কও 
বিড়ালগুলো 
ডাকছে কেবল মিয়াঁও। 

যতই খাবার দিই
মাছগুলো 
বলে সরাও সরাও।

তাদের শুধু চাই
চিকেন
মাংস পোলাও।

সে কি কারবার
বড় সৌখিন 
বড় নচ্ছার তারাও।

যতই বলি 
মিলেমিশে চলো
হাতেহাত ধরি।

বেচারার ঘুম নেই 
গরম কড়াইয়ে চাই
পাকা তন্দুরি! 

০৩:০৬:২০২৪

তিন.

গা ছমছম তেঁতইর তল 

গা ছমছম তেঁতইর তল।
ভুতের বাসা পেঁচারতল।
সেথায় ঠিকই ঝর্ণা ছিলো
নামছে নিচে কলকল।

রাতবিরেতে ভুতের বাবা
নৃত্য করে ছানাপোনা।
গা ছমছম তেঁতইর তল
করছে কেবল আনাগোনা। 

শিলাছড়ির বুদ্ধ ঝরণা
গা ছমছম তেঁতইর তল। 
ভুতের নাতিন ভুতের পুতিন 
নাচছে গাইছে করছে ছল।

০৪:০৬:২০২৪
রাত:০১টা৫০মি
ব্যাঙ্গালুর

সময়ের পাঁচালী

এত বুঝে কী হয়
কী হয় বুঝে?
এখন সৎ ও স্বচ্ছতা 
আছে মুখ গুঁজে! 

এক অদ্ভুত নিরবতা 
আমাদেরে গিলে খায়।
এই-ই কি পরিনতি 
রাজা ও প্রজায়?

বাঁচা ও বেঁচে থাকতে 
কত কী কসরত। 
রাম আর রাবণ
কই হ্যাঁ দশরথ? 

সত্য বলার সাহস
বড়ই সংকুচিত। 
মিথ্যা এসে গ্রাস করে
সত্যের ইমারত!

দিক্বিদিক হাহুতাশ 
মানবতা নেই। 
নিজেই নিজের জন্য 
যুদ্ধ যুদ্ধ খেই।

১৫:১২:২০২৩
রাত:১২টা০৮মি
কুমারঘাট।

ছড়ার বড়া

জলপাই জলপাই 
গুড়িগুড়ি। 
ডুয়ার্সে আসব খুব 
তাড়াতাড়ি।

দুটি পাতা একটি কুড়ি
তুলবো
সবুজ ঘন অরণ্য মিলে-
মিশে যাবো।

সবুজ আর নীলে নীলে
কত সুখ
চা চারা মাড়িয়ে খুঁজে নেবো 
প্রিয় মুখ।

২২:০৯:২০২২
ভোর:৩টা১২মি
কুমারঘাট।

বকখালি খালি বক

বকখালি
বক খালি
খালিবক
খালি বক।

বকখালি
বকখালি
খালি বক
খালি বক।

সেকি রূপ
অপরূপ।
রূপকথার 
সবুজ ঝোপ।

ঝোপে ঝোপে
কথারূপ
অপরূপ
সেকি রূপ।

৩০:১১:২০২২
সকাল :৬টা১৮
কুমারঘাট।

অনিন্দিতা

একটি মেয়ে অনিন্দিতা
টগবগে তাঁর চোখ।
একটি মেয়ে অনিন্দিতা
দেবব্রতের সুখ।
একটি মেয়ে অনিন্দিতা
মেয়ের মতোই।
একটি মেয়ে অনিন্দিতা
ফুটফুটো বড়ই।
একটি মেয়ে অনিন্দিতা
মায়ের কোলে যখন
একটি মেয়ে অনিন্দিতা
মায়ের মতই তখন।
একটি মেয়ে অনিন্দিতা
আমার মেয়ের মতো
একটি মেয়ে অনিন্দিতা 
নন্দিত হোক শত।

১২:০৩:২০১৮
ভোর:৫:১০মি
নতুন নগর।আগরতলা।

নদী ফুঁসছে

ফুঁসছে ঢুকছে বাণ
বৃষ্টি ঝরে টাপুর টুপুর। 
আষাঢ় শ্রাবণ অঝোর 
ঝরে টাপুর টুপুর। 

দক্ষিণে এক মনু নদী
ঊনকোটিও মনু ফুঁসছে। 
দেও জুড়ি হাকালুকি 
প্লাবন জলে হাসছে।

নদী ফুঁসছে বাণ আসছে
অঝোর ধারায় বৃষ্টি। 
আষাঢ় শ্রাবণ বর্ষা
এক-ই অনাসৃষ্টি!

০২:০৭:২০২৪

ছড়ার বড়া

জলপাই জলপাই 
গুড়িগুড়ি। 
ডুয়ার্সে আসব খুব 
তাড়াতাড়ি।

দুটি পাতা একটি কুড়ি
তুলবো
সবুজ ঘন অরণ্য মিলে-
মিশে যাবো।

সবুজ আর নীলে নীলে
কত সুখ
চা চারা মাড়িয়ে খুঁজে নেবো 
প্রিয় মুখ।

২২:০৯:২০২২
ভোর:৩টা১২মি
কুমারঘাট।

প্রিয় বর্ণ- গ

আমার প্রিয় বর্ণ "গ"
গ-তে গরু
গ-তে গাঁধা
গ-তে গাড়ি
গ-তে গোলকপুর।

গ-তে গন্তব্য
গ-তে গমন
গ-তে গকুলনগর।

এমন অসংখ্য গন্তব্য শেষে
আমিই গোবিন্দ।
গোয়ার গোবিন্দ শ্রী শ্রী ১০৮।

২২:০২:২০১৮
বেলা:১১:৪৯মি
আগরতলা।

চল রোদ্দুর হই

চল পাল তুলা নাও ভাসিয়ে দিয়ে
বাতাস মাড়িয়ে চল।
চল কোথাও হারিয়ে আবার
রোদ্দুর হই চল।

চুমু আঁকি অধর ঠোঁটে আর
শরীর জুড়াই জলে।
গত রাতের সাজ চুমুৎকারে
পড়ুক গলে গলে।

শরীর যদি জেগেই ওঠে
শরীর নেভাই চল।
পাল তুলে নাও ভাসিয়ে দিয়ে 
হারিয়ে যাই চল।

শরীর যদি নৃত্য করে
শঙ্খলাগি চল।
হৃদপুকুরে ঢেউ তুলে দিই
শাপলা ফুটাই চল।

১৭:০৯:২০২২
ভোর:৪টা৫০মি
কুমারঘাট।

তুমি আমার মাথার ছাতা

তুমি আমার মাথার ছাতা
বৃষ্টি দিনের মিত্র।
তুমি আমার মাথার ছাতা 
বৃষ্টি আঁকা চিত্র। 


তুমি আমার মাথার ছাতা
ঝড় বাদলের বন্ধু। 
তুমি আমার মাথার ছাতা
তুমি কৃপাসিন্ধু। 


তুমি আমার মাথার ছাতা
টাপুর টুপুর এলে।
তুমি আমার মাথার ছাতা
জল থইথই হলে।

২৩:১২:২০২৩
রাত:০২টা০৫মি
কুমারঘাট।

বন্ধু শাকিল শত্রু শাকিল 

বন্ধু শাকিল শত্রু শাকিল
শাকিল মিত্র সবার।
বন্ধু শাকিল শত্রু শাকিল
শাকিল শত্রু সবার।

বন্ধু শাকিল বন্ধু শাকিল
বন্ধু শাকিল সবার।
শত্রু শাকিল শত্রু শাকিল
শাকিল শত্রু সবার।

মিত্র শাকিল মিত্র শাকিল
শাকিল মিত্র সবার। 
কলকাতাতে একজনই ভাই
ভাই শাকিল সবার। 

শাকিল মিত্র সবার মিত্র 
আমার প্রিয়জন।
শাকিল বন্ধু সবার বন্ধু 
সবার প্রিয়জন।

শাকিল শুধু বন্ধুই নয়
ইলিশ নিয়ে ভাবেন।
শাকিল আরো অনেক কিছু 
সংবাদও তো লিখেন?

টিও পিও কত কিছু 
ভাবনা তাঁর মাথায়।
আইসক্রিম নিয়ে লেখা হলো
এবার ছাতায় পাতায়।

বন্ধু শাকিল শত্রু শাকিল
শাকিল মিত্র সবার।
বন্ধু শাকিল শত্রু শাকিল
শাকিল শত্রু সবার।

২৩:১২:২০২৩
রাত:১টা৫৫মি
কুমারঘাট।

আইসক্রিম 

আমার কোনো ঠিকানা নেই। 
আমার ঘর নেই। বাড়ি নেই। 
আমি এক আজন্ম বাউল।

সারাক্ষণ চষে বেড়াই
হাওয়াই আইসক্রিম আর
বিন্নিধানের চাউল।

এখন যদিও কাটি আইসক্রিম 
বাটি আইসক্রিম জীবন 
আইসক্রিম ময়।

বুড়ো-বুড়ির দাঁত সিন সিন
ঠাণ্ডা লেগে জমাট জীবন
জীবন ম্যাজিক নয়

৪:১১:২০২৩
রাত:২টা৩০মি
কুমারঘাট।

রিমেল

আমার শহর কুমারঘাটে
এসছে রিমেল ঢুকছে ঘরে। 
আমরা আছি কর্ণাটকে
মন ভালো নয়,অল্পাহারে।

দুদিন কেমন লণ্ডভণ্ড 
আঘাত আনলো  ঘরদোয়ারে
পথে ঘাটে জল থইথই 
জল থইথই পুকুরপারে। 

রাস্তাঘাটে ক্ষেতে-মাঠে
পড়ছে ভেঙে গাছগাছালি। 
আমার শহর কুমারঘাটে 
চলছে জোর জোড়াতালি। 

রিমেল এখন চলে গেলেও
ভয় ঢুকেছে লোকের মনে
ঘূর্ণিঝড়ে জলোচ্ছ্বাসে
ভয়ে ছুটে পশুও বনে।

২৯:০৫:২০২৪
সকাল :১১টা২০মি
নিমহান্স, ব্যাঙ্গালুর।

সময়ের পাঁচালী 

এত বুঝে কী হয়
কী হয় বুঝে?
এখন সৎ ও স্বচ্ছতা 
আছে মুখ গুঁজে! 

এক অদ্ভুত নিরবতা 
আমাদেরে গিলে খায়।
এই-ই কি পরিনতি 
রাজা ও প্রজায়?

বাঁচা ও বেঁচে থাকতে 
কত কী কসরত। 
রাম আর রাবণ
কই হ্যাঁ দশরথ? 

সত্য বলার সাহস
বড়ই সংকুচিত। 
মিথ্যা এসে গ্রাস করে
সত্যের ইমারত!

দিক্বিদিক হাহুতাশ 
মানবতা নেই। 
নিজেই নিজের জন্য 
যুদ্ধ যুদ্ধ খেই।

১৫:১২:২০২৩
রাত:১২টা০৮মি
কুমারঘাট।

চল রোদ্দুর হই

চল পাল তুলা নাও ভাসিয়ে দিয়ে
বাতাস মাড়িয়ে চল।
চল কোথাও হারিয়ে আবার
রোদ্দুর হই চল।

চুমু আঁকি অধর ঠোঁটে আর
শরীর জুড়াই জলে।
গত রাতের সাজ চুমুৎকারে
পড়ুক গলে গলে।

শরীর যদি জেগেই ওঠে
শরীর নেভাই চল।
পাল তুলে নাও ভাসিয়ে দিয়ে 
হারিয়ে যাই চল।

শরীর যদি নৃত্য করে
শঙ্খলাগি চল।
হৃদপুকুরে ঢেউ তুলে দিই
শাপলা ফুটাই চল।

১৭:০৯:২০২২
ভোর:৪টা৫০মি
কুমারঘাট।



ADDRESS 

GOBINDA DHAR 
HALAIMURA KUMARGHAT UNAKOTI TRIPURA :799264

PHONE NO :8787437559

0 Comments