আমি এতই পণ্ডিত ভুল বানানকেও শুদ্ধ ভাবি
চৈতন্য ফকির 

আমিও মহা পণ্ডিতদের মধ্যে একজন।তবুও কিছু কথা বলতে হয় বলে বলি।নিজেকে সংশোধন করতে চেষ্টা করি।তবুও সর্বাংশে শুদ্ধ হতে পারি কই।
ত্রিপুরার প্রায় সকল প্রকাশক লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদক
বৈদ্যতিন মাধ্যমসহ দৈনিক সংবাদ পত্র-পত্রিকার পাতায় এবং কবি লেখকদেরও বইয়ে পত্রে অজস্র বানান অশুদ্ধ লেখেন।কারো কারো অশুদ্ধ লেখার পেছনে কম্পোজিটর কিছু কিছু ক্ষেত্রে দায়ী। কিছু কিছু ক্ষেত্রে  কবি লেখকরাও ভুলকে শুদ্ধ মনে করেন।
এই ভুল বানানগুলোকেই শুদ্ধ মনে করি অনেক সময় আমিও।
ছাপার ভুত দূর করার চেষ্টা করেন যাঁরা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা। কিন্তু নিজেই শুদ্ধ একটি বই প্রকাশ করতে পারলাম না পারলেন না,একটি দৈনিক পত্রিকার সংখ্যাও শুদ্ধ প্রকাশ করতে পারলেন না অথচ অন্যদের জ্ঞান বিতরণ করেই যাচ্ছেন সমানে।এরকম করে বড় প্রকাশক হওয়া যায় কী মান্যবর!কিংবা শুধু জ্ঞান বিতরণ করলে হয়?অর্জনও তো দরকার আমাদের সকলেরই।

আবারো অকপটে স্বীকার করছি আমার অজস্র ভুল বানান জীবনকে তাড়া করে।নিজেকে সংশোধন করতে চেষ্টা করি। তথাপি সর্বাংশে শুদ্ধ হতে পারি কোথায়।তবে চেষ্টা করছি। কিন্তু শুধু ভুল ধরিয়ে পণ্ডিত সাজতে আমি আগ্রহী নই।অন্যদের থেকে এখানেই আমাকে স্বতন্ত্রে রাখি।

বিদ্র:অনেকদিন আগের একটি ভাবনা পুনরায় নিজের জন্য রাখলাম।

0 Comments