দিনপঞ্জিকা:কুটুমবাড়ি || গোবিন্দ ধর
দিনপঞ্জিকা:কুটুমবাড়ি || গোবিন্দ ধর
আজ বাবার প্রয়াণ দিবস।দক্ষিণারঞ্জন ধর প্রবেশ:১৫ই জৈষ্ঠ্য(২৯ মে ১৯৪০)।প্রস্থান:১৬ই জৈষ্ঠ্য(৩০ মে ১৯৯০)।বাড়িটি তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ।বাবা সারা জীবনই মানুষকে কুটুম ভাবতেন।আত্মীয় অনাত্মীয় যে কেউ বাবার আড্ডায় যুক্ত হলে ছোটবেলা থেকে দেখছি ডালভাত খাইয়েই ছাড়তেন। অতিথির জন্য আলাদা কিছু নয়।হয়তো ডালভাতই তবুও বাবা তাকে আড্ডা শেষে চেপে ধরতেন খেয়ে যাওয়ার জন্য। সে সাহস আমার এখনও নেই। তথাপি বাবার প্রয়াণ দিবসে বাবার কথাগুলো মনে পড়ছিলো।বাবার মতোই সকল মানুষকে কুটুম ভাবি।যদিও মানুষকে কুটুম ভেবে বাবাও প্রতারিত হয়েছেন অসংখ্যবার।আমিও।তবুও মানুষ আমার নিকট কুটুমই।
কুটুমবাড়ি মিলনপল্লী হৃদয়পুর নামগুলোর সাথে পরিচিত হয়েছিলাম নয়ের দশকেই।কিন্তু এতদিন এই নামে পশ্চিমবঙ্গের যে জায়গা ছিলো তাতে বাস করেন কবি মধুমঙ্গল বিশ্বাস। নামটি আমাকে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে তাড়িয়ে বেড়াতো।গতকাল মাথা থেকে ভুত নামাতে কবি মিলনকান্তি দত্ত মহোদয়ের স্মরণ নিলাম।বললাম যুতসই একটি লগো দিন।
তিনিও আমার আব্দারের কারণ জিজ্ঞেস করেননি।আজ সকালেই দেখি লগোটি জ্বলজ্বল করছে। লোভ হলো কথাগুলো শেয়ার করি।লগোটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিই।তাই এই কথাচর্চা।
মধুমঙ্গল বিশ্বাসদার বাড়ি বার চারেক গেঋি।সত্যিকারের তিনি কুটুম।তাঁর বাড়িটিই কুটুমবাড়ি।তবুও আরেকটি কুটুমবাড়ি কি থাকতে নেই?
আমাদের বাড়ির কোনো নাম ছিলো না এ যাবৎ। সকলের নিকট স্রোত পরিবার হিসেবেই পরিচিত। অদ্য হতে স্রোত পরিবারের ঠিকানা হলো:কুটুমবাড়ি:স্রোত পরিবার।
অবশ্য মধুমঙ্গলদার আপত্তি না থাকলেই এই নাম আমার বাড়িতেও ব্যবহৃত হবে।যদিও কুটুমবাড়ি হৃদয়পুর মিলনপল্লী নামক জায়গায়ই দৌড় পরিবারের নিবাস।বাড়িটির নামও কুটুমবাড়ি।
ত্রিপুরার হালাইমুড়া, কুমারঘাট, ঊনকোটিতে স্রোত পরিবারের একটি কুঁড়েঘর তার নামটিও কুটুমবাড়ি হলো মিলনকান্তি দত্ত মহোদয়ের হাতের যাদুতে।
এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা একটি নামপ্লেট লাগবে।আমরা এক সময় বাড়িটির নাম কবিতাঘর দেবো ঠিক ছিলো।যার সাথে এই নামটি ঠিক করে দেবো ঠিক হয়েছিলো সে-ই যখন বাড়িতে নেই তাই বাড়িটি কবি সাহিত্যিকদের জন্য নিবেদিত হলো।সকল কবি সাহিত্যিক যখন যে কেউ অগ্রীম না জানিয়েও রাত্রিবাসের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।এক সঙ্গে আপাতত হয়তো দুজন বা তিনজনও বসলে কষ্টেমষ্টে থেকে যেতে অসুবিধা নেই।
এটা কোনো বিজ্ঞাপন নয় মনের আকুতি।কুটুমবাড়ি নাম ঠিক না করলেও কবি সাহিত্যিকদের জন্য বাড়িটি উৎসর্গ সারাক্ষণ।
৩০:০৫:২০২৩
0 Comments