লিটল ম্যাগাজিন ও প্রকাশনা বিষয়ক কয়েকটি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার প্রার্থণা।
প্রতি
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী
ত্রিপুরা সরকার
আগরতলা,ত্রিপুরা
বিষয়:লিটল ম্যাগাজিন ও প্রকাশনা বিষয়ক কয়েকটি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার প্রার্থণা।
মহাশয়
বিনীত নিবেদন এই যে, ত্রিপুরায় সাংস্কৃতিক কার্যক্রম উদযাপনের ধারাবাহিকতায় আমরা আপ্লুত। সরকারের দৃষ্টি ও সহযোগিতায় আমরা আনন্দিত।
আমরা সরকারের সদর্থক ভূমিকায় সাহস করে এ রাজ্যের লিটল ম্যাগাজিন -পুস্তক প্রকাশনা এবং লিটল ম্যাগাজিন পুঁথি পত্রিকা সংরক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ক প্রয়োজনীয় নিম্নোক্ত কয়েকটি প্রস্তাব আপনার সরকারের দৃষ্টিতে নিতে চাই।
প্রস্তাবগুলো:
★লিটল ম্যাগাজিন সম্বন্ধীয় প্রস্তাব :
(১)আগরতলা বইমেলায় প্রতিবছর লিটল ম্যাগাজিনের একটি এনক্লেপ থাকে।এতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বহু লিটল বহু লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদক তাদের লিটল ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক সংখ্যা প্রদর্শন ও বিক্রি করার সুযোগ পান না।এই এনক্লেপটি প্রতিটি লিটল ম্যাগাজিনের জন্য একটি টেবিল বরাদ্দ করা হোক।
(২)আগরতলা বইমেলায় প্রতিবছর কবি সাহিত্যিকদের সাথে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ঐ বছরের সবগুলো প্রকাশিত লিটল ম্যাগাজিন বা ছোট পত্রিকা থেকে একজন সম্পাদককে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার প্রার্থনা।
(৩)বীরচন্দ্র স্টেটস সেন্ট্রাল লাইব্রেরির ক্রয় তালিকায় প্রতিটি লিটল ম্যাগাজিন কম করেও ৩০ কপি ক্রয় করার প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার বিনীত নিবেদন রইলো।
(৪)প্রতিটি লিটল ম্যাগাজিনকে সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন কেটাগরির মতো বিভাজন করে অথবা সাধারণ বিজ্ঞাপন নীতির তাকিকায় যুক্ত করা হোক।
(৫)প্রতিটি লিটল ম্যাগাজিনকে তথ্য সংস্কৃতির রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।বিশেষত লিটল ম্যাগাজিন হলো অলাভজনক একটি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর লালিত ওম ও স্বপ্ন। তাকে লালল করা প্রয়োজন কেননা লিটল ম্যাগাজিন হলো একটি রাজ্যের সাহিত্যকে ক্রমাগত পাঠকের নজরে পৌঁছে দিতে সম্পাদকের অক্লান্ত চেষ্টা। তাকে সহযোগিতা দরকার।
(৬)এ রাজ্যের একমাত্র বেসরকারি লিটল ম্যাগাজিন সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র "উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় লিটল ম্যাগাজিন সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র " নামে এই সময়ে একটিই প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে তথ্য সংস্কৃতির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হোক।এবং বীরচন্দ্র লাইব্রেরিকৃত বই লিটল ম্যাগাজিন ফ্রী-তে পৌঁছে দিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
(৭)ত্রিপুরায় শুধুমত্র বই সংরক্ষণ করার একমাত্র প্রতিষ্ঠান বীরচন্দ্র স্টেটস সেন্ট্রাল লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরিতে ত্রিপুরার লিটল ম্যাগাজিনগুলো ক্রয় সংরক্ষণ ও গবেষণা করার ব্যবস্থা থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজে সহায়ক হবে।
(৮)সকল লিটল ম্যাগাজিন রাজধানী আগরতলায় বিক্রির জন্য সরকারী সহয়তা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সকল সম্পাদকের জন্য আগরতলা পুরনিগমে একটি ভাড়ামুক্ত স্টল প্রদান করা হোক।
★প্রকাশনা বিষয়ক কয়েকটি প্রস্তাব :
(১)আগরতলা বইমেলায় ত্রিপুরা সরকারের সোসাইটি রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত সকল সংস্থাকে যুক্ত করা হোক।এখন অব্দি প্রকাশনা মঞ্চ নামের সংস্থাটিকে আগরতলা বইমেলার কোন কার্যক্রমে যুক্ত করা হয়নি।পর পর দুবার তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর প্রকাশনা মঞ্চকে যুক্ত করার আবেদন করা হয়েছে। কেন গৃহীত হয়নি অজানা প্রকাশনা মঞ্চের সদস্য সদস্যাদের।আমাদের সংস্থার সদস্য প্রায় চল্লিশজন।
(২)২০২২ সালে আগরতলা বইমেলায় প্রকাশনা মঞ্চ স্টল প্রদান করেন।অজ্ঞাত কারণে প্রকাশনা মঞ্চকে ২০২৩ সালে স্টল আবেদন করা স্বত্বেও প্রদান করা হয়নি।আমাদের সংস্থার প্রকাশরা সবাই ২৯১৮ সালের পর প্রকাশনায় যুক্ত হয়েছেন।সামান্য কয়েকটি প্রকাশিত এক একজন প্রকাশকের। সুতরাং আলাদা করে চল্লিশটি স্টল চাওয়া হয়নি হয়েছিল একটি স্টল প্রকাশনা মঞ্চের নামে আগরতলা বইমেলায় থাকবে।এ বিষয়ে আগামী মেলা থেকে প্রতি বছর আমাদের স্টলটি প্রদান করার আবেদন রইলো।
(৩)প্রতিটি প্রকাশনা সংস্থা আসলে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তাদেরকে তথ্য সংস্কৃতির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করার বিহিতাদেশ প্রদান জরুরী।
(৪)প্রতিটি প্রকাশন সংস্থাকে এক ছাদের নিচে রাজধানী আগরতলায় আনার ব্যবস্থা করা হোক।স্টলগুলো হোক বিনাভাড়ায়।এতে রাজ্যের সকল পাঠক প্রতিটি বই দেখে প্রয়োজনীয় বইটি ক্রয় করার সুযোগ পাবেন।তাতে গ্রন্থ আন্দোলনের সফলতা আসবে।পাঠক বাড়বেন।রাজ্যের প্রকাশকরাও উউসাহিত হবেন।
লিটল ম্যাগাজিন ও বইগুলো সংরক্ষণ আরো সফলভয়বে এগিয়ে যাক।
বিনীত
গোবিন্দ ধর
সম্পাদক
স্রোত
আগরতলা, ত্রিপুরা
৩রা জুন,২০২৩
0 Comments