কবি গোবিন্দ ধর -একটি আলোকপাত || হারাধন বৈরাগী
কবি গোবিন্দ ধর -একটি আলোকপাত
হারাধন বৈরাগী
কবি গোবিন্দ ধরের সাথে পরিচয় হয়েছিল একটি লিটলম্যাগ “এই বনভূমি” কে কেন্দ্র করে।তিনি ও কবি পদ্মশ্রী মজুমদারের লেখা ছিল এই ম্যাগে ।তাই কবিদ্বয়কে সৌজন্য কপি দেওয়ার জন্য এসেছিলাম কুমারঘাটে।কুমারঘাট এসে টেলিফোন করতেই তিনি ছুটে এলেন কৈলাশহর যাবার মূলসড়কের পাশে।একটি স্টলে বসে কথা হয়েছিল তাঁর সাথে।আজও আমার মনে আছে,তিনি মিস্টিমুখের মাধ্যমে আমাকে আপ্যায়িত করেছিলেন।আমার সাথে তখন এরাজ্যের লেখকগোষ্ঠীর তেমন কোন পরিচয় ছিল না।তিনি খুব গুরুত্ব সহকারে আমাকে গ্রহন করেছিলেন।”এই বনভূমি” সেই সংখ্যাটির কথা মনে হলে এখনও মাথা নত হয়ে আসে।কবি সেলিম মুস্তফার একটি কবিতা টেলিফোনে নিতে গিয়ে শ্রবনগত কারনে এমন ভুল হয়েছিল যে,পরে তাঁর কাছে আর কবিতা চাইতে পারিনি।নিজের ও স্থানীয় নবীনদের লেখা নির্বাচন ,প্রচ্ছদ, ছাপা, ধারাক্রম সব মিলিয়ে সংখ্যাটি এমন রূপলাভ করেছিল ,এ নিয়ে পড়ে এর সত্বাধিকারী কবি সত্যেন্দ্র দেবনাথের কাছে কথা শুনতে হয়েছিল ।কিন্তু কবি গোবিন্দ ধর আজও কথায় কথায় ঐ ম্যাগটির কথা বলেন।তাঁর সাথে পুনঃপরিচয়ের পর ,আমাকে এই ম্যাগটির পরবর্তী সংখ্যা করার জন্য অনেকবার বলেন।।কিন্তু আর হয়ে ওঠেনি, কবি সত্যেন্দ্র দেবনাথের অনুমতি না পাওয়ার জন্য।পরে আমি একটি নুতন লিটলম্যাগ-”বনতট” বের করি।এই ম্যাগটি বার করতে গিয়ে তিনি ছাপার দায়িত্ব নিজে নিলেন।সেমিকাগজ,ছাপা রঙিন প্রচ্ছদ সব মিলিয়ে দুহাজার টাকা তাকে দিয়েছি।পূনরায় এটি করতে গিয়ে যখন অন্য একটি প্রেসের সাথে কথা বলি,আর আমার ম্যাগটির প্রথম সংখ্যা উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখে প্রেসের সত্বাধিকারী ,এমন সেমিকাগজে এরকম ঝকঝকে ছাপাসংখ্যা করতে মোট টাকার পরিমান জানালেন,শুনে আমি ভিমড়ি খেয়ে যাই।তিনি কী করে এত কমে এমন কাগজ ছেপে দিয়ে ছিলেন।পরে বুঝতে পারি এটা সম্ভব হয়েছিল,তার লিটলম্যাগকে অসম্ভব ভালোবাসা থেকে।এতে তার ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছিল।
কবির সাথে দ্বিতীয় দেখা সাইমাভ্যালিতে আমার বদলির কারনে।এই সময় ফেবুর মাধ্যমে আমার সব যাপনের দিনগুলি ছড়িয়ে দিচ্ছিলাম।কবি অপাংশু দেবনাথকে সাথে নিয়ে তিনি গেছলেন আমার জঙ্গলের ঘরে।কেন গেলেন তখন বুঝতে পারিনি।পরে আন্দাজ করতে পেরেছি।তিনি টেনে বের করতে চাইলেন আমাকে জঙ্গল থেকে।তাঁর জন্যই ত্রিপুরার অনেক গুনীজনের সাথে আমার মুখ-দেখাদেখি।পরে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আগরতলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত আন্তর্জাতিক লিটলম্যাগ উৎসব থেকে শুরু করে বিবিধ গ্রন্থপ্রকাশ, সম্মাননা ও কবিতা পাঠের আসরে ---অংশগ্রহন করি।তাঁর সাথে পরিচিয় হবার পর ঘরে বাইরে,রাজ্যে বহিরাজ্যে সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক যত অনুষ্ঠান তিনি ও তাঁর সহিতবন্ধুদের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে প্রায় সবকটি অনুষ্ঠানেই তিনি আমাকে আমন্ত্রন করেছেন,আমিই বহিরাজ্যের কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে পারিনি।আমি টের পেয়েছি তাঁর মাঝে একটি অসম্ভব সাহিত্যপাগলের বাস। মূলত কবি হলেও,তিনি একাধারে ছড়াকার,গল্পকার,লোকগবেষক,প্রাবন্দিক,,গ্রন্থ-প্রাচীনপুঁথি-পাণ্ডুলিপি সংগ্রাহক,প্রকাশক,নাট্যশিল্পী,সম্পাদক,অভিধান-প্রনেতা,সাহিত্য-সংগঠক,লিটলম্যাগাজিন আন্দোলক ।তাঁর পাগলের সাথে হৃদয় ও মননে এক ও অভিন্ন হতে না পারলে কোন লেখক-শিল্পী সাংস্কৃতিক-ব্যষ্টিকে তাঁর সাথে সমান্তরাল পা মিলিয়ে চলা সম্ভব নয়।আর সাহিত্য কলার সাথে অন্তরাত্মার টান না থাকলে বা মেকি সাহিত্য প্রীতি নিয়ে এগিয়ে এলে তাঁর অম্লজানে জারিত কিংবা তফাতে চলে যেতে হয়।সত্যি বলতে কি ত্রিপুরাসাহিত্যপরিমণ্ডলে এমন উদ্যমি সাহিত্য সংগঠক আর দ্বিতীয় কেউ নজরে পড়েনি।সাহিত্য একা একা সমৃদ্ধ হতে পারে না।তাই তাকে সব কিছু ছুয়ে যেতে হয়,কোন কলা-ই তার কাছে অচ্যুত নয়,নাটক,সংগীত,ভাস্কর্য,চিত্রকলা,গল্প উপন্যাস---;তেমনি একজন লেখককেও সমৃদ্ধ হতে হয়,তাকে অভিজ্ঞ হতে হয় পার্স্পারিক আদানপ্রদানের মাধ্যমে।কবি গোবিন্দ ধর এ বুঝেন বলেই,কেউই তার কাছে অচ্যুত নয়,নবীনদের তিনি যেমন বরন করে চলেছেন তেমনি প্রবীনদের প্রজ্ঞানলেও তিনি জারিত হয়ে চলেছেন ।নবীন প্রবীন সকলের সাথে চলেছে তার বিনিময়,এ যেন রবীঠাকুরের চিরন্তন শব্দবন্ধ ,-দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে।আর এই বিনিময়ের মাধ্যম কবিতা উৎসব,লিটলম্যাগাজিন উৎসব,কথাসাহিত্য উৎসব,আড্ডা,এপার-ওপার বাংলা,উত্তরপূর্বাঞ্চলের গুণীজনের কাজের উপর হার্দিক আলোকপাত,সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক --বিচিত্রবিধ কর্মকাণ্ড।তাঁর এতসব কর্মকান্ডের সবকটি সংজ্ঞায়িত করাও সম্ভব নয়।এতসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি যেমন এপার-ওপারের মাঝে সিড়িবন্ধের কাজ করে চলেছেন তেমনি নবীন-প্রবীনের মাঝে বিনিময়ের কাজ করে চলেছেন।ঘরে ঘরে সাহিত্য- মানস তৈরিতে নবীনদের বইপ্রকাশে নিয়ত উৎসাহ যুগিয়ে চলেছেন।এই ক্ষত্রে তাঁর পারিবারিক তিনটি প্রকাশনা সংস্থার বিশেষ ভূমিকা লক্ষ্যনীয়।এতসব কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তাঁর কলমও থেমে নেই,তিনি নিরলস লিখে চলেছেন,এ তাঁর যাপনের অঙ্গীভূত।তাঁর মান-অভিমান আশা-নিরাশা,ভালবাসা-ঘৃনা সাহিত্যকে কেন্দ্র করে।কবিতা তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস।তিনি যে এ কালের গোবিন্দ,সাহিত্যরসহীন,সাহিত্য বান্ধবহীন তাঁর একটা মুহুর্তও ভাবা যায় না।তিনি যে শব্দশ্রমিক।এ যেন সেই জুমিয়া বরক,যার জুম একা হয় না,দলগতভাবে চলে বীজ বপন,একজুম থেকে আরেক জুমে, তেমনি সাহিত্য-সংস্কৃতির মননভূমি কর্ষনে নিমগ্ন কবি তরুণ প্রজন্মের কবিলেখককুলের মননে নিরলস বপন করে চলেছেন শব্দবীজ।তিনি কবিতাশ্রমিক।তাঁর এতসব নিরলসকর্মকাণ্ডের জন্য ত্রিপুরার নবীন প্রজন্মের মননে কাব্যসাহিত্য ইদানিং এমন এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে,ঘরে ঘরে কবি লেখকদের জন্ম হয়ে চলেছে, যা তথাকথিত কবি সাহিত্যিকদের সয়ম্ভুমিথের উপর যেমন কুঠারাঘাত করে চলেছে,তেমনি প্রকাশনা জগতেও ইদানিং একটা অসম্ভব প্রতিযোগিতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তরুন কবি অভিককুমার দের কথায়,- “----গোবিন্দ ধর ত্রিপুরার প্রকাশনাকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সীমায়িত ভূগোল ভেদ করে সারা বাংলাসাহিত্যের আবহাওয়ায় নিয়ে যেতে নিরলস শ্রমিক।তাঁর সাহিত্য প্রীতি ত্রিপুরার গন্ডি অতিক্রমণ করে উত্তর পূর্বাঞ্চলকে নিয়ে গেছে কলকাতা থেকে বাংলাদেশের বৃহত্তরো পাঠকের গোচরে।গোবিন্দ ধরের উদ্যোগ উদ্যমশীল কাজ আমাদেরকে সাহসযোগায়।-----ইতিমধ্যে তিনি পীযুষ রাউত নিষ্ঠ আলোকপাত,শতবর্ষে সমর সেন,কথাশিল্পী শ্যামল ভট্টাচার্য,কামলা থেকে কথাকর্মী বিকাশ সরকার,কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনসহ নানা বিচিত্র বইপত্রের সম্পাদনা করে বেশ সাড়া ফেলেছেন সাহিত্য আঙ্গিনায়।তাঁর গবেষণা গ্রন্থ, "শ্রীহট্টীয় লৌকিক সংস্কৃতি ও শব্দকোষ","হিমাদ্রি দেব রচনা সমগ্র ""ত্রিপুরার প্রথম কবিতাপত্র জোনাকিসমগ্র"পাঠকের ভালোবাসা পেয়েছে।শ্রীহট্টীয় লৌকিক সংস্কৃতি ও শব্দকোষ ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহায়ক বাংলা বই হিসেবে পাঠ্য।”
অবশ্য কবির এই সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বহুমুখি কর্ম সম্পাদনের পথ পুষ্পাস্তির্ণ নয়,যখনই তিনি কোন ব্যতিক্রমি উদ্যোগ নিয়েছেন, তখনই একযোগে নিন্দা ও প্রসংশার তীব্রকষাঘাতে রুধিরাক্ত ও প্রশমিত হয়েছেন।তবু তিনি কান্ত হননি,এই দুয়ের মাঝবরাবর তীরন্দাজের মতো শব্দবান নিক্ষেপ করতে করতে এগিয়ে চলেছেন।অবশ্য এই শব্দবান প্রয়োগের তালিম নিয়েছেন সেই কৈশোর থেকেই।অসচ্ছল পিতা দক্ষিণারঞ্জনের পোড়খাওয়া জীবনের আঁচে পোড়তে পোড়তে তাতাল শব্দশ্রমিক হিসেবে অবিভক্ত উত্তর ত্রিপুরার এক পাড়াগাঁ রাতাছড়ায় বেড়ে উঠেছেন,তিনি থেমে নেই ছুটে চলেছে তার শব্দমেধঘোড়া।কিন্তু তিনি শব্দশ্রমিক,যার জীবনে কৈশোর থেকেই ঘাত ও প্রত্যাঘাতের মাঝবরাবর এগিয়ে চলা, অন্ত আন্ত ও পরিবেশের সাথে সংগ্রাম করে করেই বেড়ে উঠা।তিনি জানেন প্রতিরোধহীন বেড়ে ওঠা বৃথা।তাঁর এই কর্মপ্রেরনা সময়ের দাবী থেকে উৎসারিত।তিনি ব্যাক্তির কাছে নতজানু হতে পারেন না।তিনি নতজান হোন শুধু মহাকালের কাছে।
কবির হালাইমুড়ার বাড়িতে আমি বার কয়েক রাত্রিযাপন করেছি,আর তাঁর আপ্যায়ন ও আতিথেয়তার কাছে বারবার হার মেনেছি।আর বুঝতে পেরেছি,তাঁর সাহিত্যপ্রীতি যেনো গুবাকের নেশা,এ ছাড়া তিনি বাঁচতে পারেন না।বাঁচা সহজ নয়।অবিভক্ত উত্তর জেলার রাতাছড়ার পরিসরে উদবাস্তু হয়ে আসা সহায় সম্বলহীন বাবার সাথে দেও ও মনুপাড়ে বেড়ে ওঠা ছেলেটা কৈশোর থেকেই নাটক কবিতা লেখালেখিতে তন্ময় হয়ে পড়েছিলো।এই তন্ময়তা ছিলো,তার যাপনের ধারাপাত।একটা কথা আছে যে যে ভাবে চিন্তা ও কাজ করে প্রকৃতি তাকে সেভাবেই সাহায্য করে উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলে দেয়।গোবিন্দ ধর ও তাঁর পারিবারিক পরিমণ্ডলও সে ভাবে প্রকৃতিসৃষ্ট।ধর্মপত্নী সুমিতা পালধর প্রকাশক ও কবি,সহধর্মিণী পদ্মশ্রী মজুমদার সূকবি,গল্পকার ও উপন্যাসিক,আত্মজ গৌরব --চিত্রকলা ও ভাস্কর্যশিল্পী,আত্মজা কিশোরী গৈরিকা ---শিশুশিল্পী কবি ও ছড়াকার---।এমন সাহিত্য পরিমণ্ডল তার সহিতমননের জন্য প্রকৃতি নির্বাচিত।তিনিই বলতে পারেন।তিনি শব্দ কিংবা কবিতা শ্রমিক।তিনিই বলতে পারেন -শরীর তৃপ্তি হোটেল নয়।
কবিকে খুব কাছে থেকে আমার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।তাঁর যাত্রাপথ মোটেই সুগম নয়,পারিবারিক প্রকাশনা জগত ও বিবিধ সাহিত্যিকর্মকান্ডের হাল ধরতে গিয়ে বারবার প্রচণ্ড ঋনভারে জর্জরিত হয়েছেন,এখনও হচ্ছেন।কবির বাড়ি গেলে দেখা যায় তাঁর দৈন্যতার ছবি বাড়ির চার দেওয়ালে প্রস্ফুটিত।।তিনি যদি প্রকাশনা ও বিবিধ কর্মকান্ড গুটিয়ে ফেলতেন কিংবা শুধু নিজেদের বই প্রকাশ করতেন, তবে তিনি এই অবস্থা থেকে নির্ঘাত উত্তরন পেতেন।কিন্তু তিনি যে শব্দশ্রমিক,তা থেকে তিনি ঊত্তরন পাবেন কী করে।তিনি কথাশ্রমিক অতিসরল তার প্রকাশের ভাষা।নিজের যেকোনো লেখায় ঘষামাজা কম করেন,যেভাবে আসে সেভাবেই ন্যাচারাল রাখতে ভালোবাসেন।তাই তার লেখার মাঝে প্রাণ প্রতিষ্টা পায়,যা তার আত্মার আত্মীয় হয়ে ওঠে।তিনি চলতে ফিরতে আড্ডা দিতে দিতে শয়নে উপবেশনে ট্রেনে চলে তার শব্দ সাধনা ও নির্মাণ।এ নির্মাণ যেমন নিজের তেমনি অপরের হিতে ।এক একবার মনে হয় এই মানুষটি কী করে সংসারের কর্ম,জীবিকার কর্ম,এতসবের পরেও বিবিধ নিত্য নুতন অনুষ্টান ও সাহিত্যিবিষয়ক বিচিত্রকর্মকাণ্ডে নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছেন ।তাঁর এই অংশগ্রহন শুধু বহিরঙ্গে নয়,অন্তরঙ্গেও। তিনি পারেন।কৈশোরে তাঁর মাঝে সাহিত্যের যে বীজ ব্যপিত হয়েছিল,এখনও তা সমান্তরালে বেড়ে চলেছে ।এতদিনে তাঁর নির্মাণ বিশাল মহীরুহে পরিনত হয়েছে।তরুন কবি,অভীককুমার দের প্রদেয় একটি তালিকা’র লোভ সামলাতে পারছি না।
প্রথম প্রকাশিত রচনা:১৯৯১
প্রথম বই:জলঘর:২০০৭(কবিতা সংকলন)।
ছদ্মনাম:চৈতন্য ফকির
সম্পাদিত কাগজ:স্রোত ,কবিতাঘর,কুসুম,বইবাড়িঅন্যপাঠ।
কবিতা সংকলন:,জলঘর,সূর্যসেন লেন,দ্রোহববীজ পুঁতে রাখি একা,মনসুনমাছি,শ্রীচরণেষু বাবা,দেওনদীসমগ্র,আনোয়ারা নামের মেয়েটি,আষঢ়ের দিনলিপি।
যৌথ কবিতা সংকলন:মেঘ বৃষ্টি রোদ,গোপন জোছনা,তামাদি হয়নি যে ভালোবাসা,কখনো পাহাড় কখনো নদী,এই সময়ের বত্রিশ জন কবির কবিতা,আঞ্চলিক ভাষার কবিতা,শেখড়ের ধ্বনি,কবিতা :২০০১/২০০২/২০০৩/২০০৯/২০১০,সমকালীন পনেরজন কবির কবিতা,ত্রিপুরার আবৃত্তির কবিতা
আবৃত্তির অডিও সিডি:
দ্রোহবীজ:২০১৭,আত্মদ্রোহ:২০১৭,শ্রীচরণেষু:২০১৭।
ছড়া সংকলন:থইথই ছড়া,তোমার উনিশ আমার একুশ।
যৌথ ছড়া সংকলন:
এই শতাব্দীর ছড়া।
প্রবন্ধ ও গবেষণা:
শ্রীহট্টীয় লৌকিক সংস্কৃতি ও শব্দকোষ,আত্মক্ষর,ত্রিপুরার লিটল ম্যাগাজিন,ত্রিপুরার সাহিত্যকোষ,ত্রিপুরার লেখক অভিধান,কুমারঘাটের ইতিবৃত্ত ও তথ্যপুঞ্জী,কুমারঘাটেরর স্থান নাম,ত্রিপুরার লিটল ম্যাগাজিন শিশুসাহিত্য ও অন্যান্য,আলোকিত বিজয় রায়।
ছদ্মনামের আড়ালে:
সময়ের গোল্লাছুট
সম্পাদিত:
(১)শতবর্ষের আলোকে সমর সেন:ফিরে দেখা
(২)হিমাদ্রি দেব রচনা সমগ্র
(৩)ত্রিপুরার প্রথম কবিতাপত্র জোনাকি সমগ্র
(৪)অনন্য অনিল সরকার
(৫)জননেতা দশরথ দেব:জীবন ও সংগ্রাম
(৬)কথাসাহিত্যিক শ্যামল ভট্টাচার্য
(৭)সমকালীন ত্রিপুরার পাঁচজন কবি সাহিত্যিক
(৮)পীযুষ রাউত উজ্জল উদ্ধার
সম্মান ও পুরস্কার:
(১)অণির্বান দেশবার্তা:২০১০
(২)উত্তরণ :২০১২
(৩)প্রাণেরকথা:২০১৫
(৪)বিজয়া:২০১৬
(৫)বহ্নিশিখা সম্মান:২০১৭
(৬)বাংলাদেশ বুকক্লাব:২০১৭(বাংলাদেশ)
(৭)বজ্রকথা:২০১৭(বাংলাদেশ)
(৮)চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চাকেন্দ্র:২০১৭(বাংলাদেশ)
(৯)ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমী:২০১৭(বাংলাদেশ)
(১০)কবিকন্ঠ:২০১৭(বাংলাদেশ)
(১১)কথাশিল্প:২০১৭
(১২)সৃষ্টিলোক:২০১৭
(১৩)কন্ঠসাধন আবৃত্তি সম্মান:২০১৭(বাংলাদেশ)
(১৪)ক্রিয়েটিভ :২০১২
(১৫)ষষ্ট উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় লিটল ম্যাগাজিন সম্মেলন:২০১৬
(১৬)কুমারঘাট নগর পঞ্চায়েত :২০০১।
(১৭)ক্রিয়েটিভ সম্মাননা:২০১২
(১৮)উত্তরবঙ্গ সাহিত্য সম্মান:২০১৮
(১৯)উষসী সম্মান :২০১৮(বাংলাদেশ)
(২০)রাষ্ট্রীয় কবি সম্মান:২০১৮
(২১)কবিমঞ্চ(আগরতলা) সম্মান:২০১৮
(২২)সমভূমি সম্মাননা:২০১৮
স্রোত-সহযোগিতায়:
(কবিতাঘর,কুসুম,বাংলাভাষা,উদ্দীপ্ত সংগ্রহশালা,স্রোতস্বিনী,গ্রাফিপ্রিন্ট,বইবাড়ি,অন্যপাঠ,উত্তর পূর্ব ভারত লিটল ম্যাগাজিন সংরক্ষণ কেন্দ্র, ত্রিপুরার পু্থি পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণ ও গবেষণাগার)
আয়োজিত অনুষ্ঠান সূচী:
(১)সাংস্কৃতিক মেলা ও লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনী:১৯৯৫-২০০৯
(২)কবিতাঘর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান :২০০৭
(৩)বই প্রকাশ ও দক্ষিণারঞ্জন ধর স্মৃতি স্রোত সম্মাননা:২০১৩
(৪)বই প্রকাশ ও ভারত বাংলাদেশ আবৃত্তি উৎসব:২০১৩
(৫)বই প্রকাশ পাঠক লেখক মুখোমুখি: ২০১৫
(৬)স্রোত পনেরতম বর্ষ উদযাপন: ২০১০
(৭)লিটল ম্যাগাজিন মেলা ও প্রদর্শনী:২০১০
(৮)কুমারঘাট উৎসব:২০১২(তারপর পর পর আরো তিনবার)
(৯)দক্ষিণারঞ্জন ধর স্মৃতি স্রোত ছোটগল্প প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার:২০১৪
(১০)বই প্রকাশ ও আবৃত্তি উৎসব:২০১৫
(১১)আন্তর্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন উৎসব:২০১৬
(১২)উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় কথাসাহিত্য উৎসব:২০১৭
(১৩)পারিবারিক কবিতা উৎসব:২০১৭
(১৪)বই প্রকাশ উৎসব:২০১৮
(১৫)ত্রিপুরার পুঁথিপাণ্ডুলিপি সংরক্ষণের প্রাসঙ্গিকতা:২০১৮
(১৬) হিমাদ্রি দেব পুরস্কার ও সম্মাননা: ২০১২
পরিশেষে, আমার মতো অক্ষমের তাঁকে আলোচনা সুকবি বিকাশ সরকারের ভাষায় শেষ করছি,যার ভাষায় তিনি স্বার্থকভাবে নির্নিত---”গোবিন্দ ধর শুধু কবি নন,একাধারে স্রোত পুস্তকপ্রকাশনা সাময়িকী সম্পাদনা, লিটলম্যাগাজিন আন্দোলনসহ বিচিত্রবিধ সাহিত্যবিষয়কক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত অতিজীবিত এক দ্রোহবীজ।কবি যেন এক সুদক্ষ শৈলবিদের মতো নিজের জীবনকে নিজেই কাঁটাছেড়া করতে করতে বিশুদ্ধ উচ্ছারনে ছড়িয়ে দিচ্ছেন জীবনবেদ।আর পাঠক সেই বেদবীজে খুঁজে পাচ্ছেন নিজেরই দ্রোহবীজ।”
0 Comments