গোবিন্দ ধরের প্রবন্ধ
দৌড় হোক অসীমান্তিক দৌড়
গোবিন্দ ধর
দৌড় নিয়ে লিখবো লিখতেই হয়।দৌড় সব সময়ই কলকাতার বাইরের অপ্রতিষ্টিত লব্দ প্রতিষ্টিতদের কাগজ হয়ে উঠেছে।বলা আছে দৌড় তরুণ কবিদের মৃগয়াক্ষেত্র।মধুমঙ্গল বিশ্বাসদার সাথে কিভাবে একদিন পরিচিত হয়ে গেলো স্রোত সে এক দুযুগের গল্প। কুটুমবাড়ি মিলনপল্লী হৃদয়পুর থেকে দৌড় প্রকাশ হয়।ইতিমধ্যেই তার বয়স তিরিশ বছর পেরিয়ে যুবক দৌড়।বাংলা সাহিত্যের প্রায় সকলেই লেখছেন দৌড়ের পাতায়।এসব যেমন বিষয় না হলেও বিষয় তেমনি সম্পাদকের হৃদয় মাখানো এমন একটি সাহিত্য পত্র দৌড় এক ঝলকে ভালো না লেগে উপায় নেই।ছাপা নিখুঁত।অপরিসীম যত্ন পাতায় পাতায়।একজন সম্পাদক কেমন রুচির হবেন হয়তো দৌড় পত্রিকা যারা এখনো পাঠের সুযোগ হয়নি অচিরেই সেই সুযোগ করে নেওয়া প্রয়োজন তা পরখেরবজন্য অন্যথায় নিজেই পিছিয়ে পড়বেন একথা বলা অযৌক্তিক হবে না।প্রত্যেক তরুণ কবিদের সাথে সম্পাদকের ব্যক্তিগত যোগাযোগ আছে দৌড় সম্পাদকের।ডিজিটাল ভারতে যোগাযোগ সব অন লাইন মুখবই আর ওয়েব পেইজেই যখন সীমাবদ্ধ তখন দৌড় সম্পাদকের এই সম্পর্ক বাড়িয়ে প্রত্যকের সাথে আত্মীকতা গড়া দৃষ্টান্ত হতে পারে আমাদের কাছে।আমার দৌড় দপ্তরে যাবার সৌভাগ্য হয়েছিল দুবার।খুব কাছ থেকে দেখেছি কবি মধুমঙ্গল এবং কবি দীপিকা বালা মহোদয়াদের।কুটুমবাড়ি নাম শুনলেই মনে হয় এ আমারই আত্মার আত্মীয়ের বাড়ি।তাই তার কাছে ছুটে যেতে কোনো কুন্ঠা নেই।তাঁকে ডেকে নিতেও কোনো লাজ নেই।আমরা একবার ডেকেছি ২০১৪ সালে।তাঁকে সম্মানিত করেছি "দক্ষিণারঞ্জন ধর স্মৃতি স্রোত সাহিত্য সম্মান ২০১৪" দিয়ে। এতে আমরাই সম্মানিত হয়েছি আকারে।তাঁর পরিপাটিযুক্ত দৌড় প্রতিবারই পাঠ করি ।পাতায় পাতায় তাঁর মমতা মাখা ছোঁয়া অনুভয় হয়।একজন সম্পাদক একটিব লিটল ম্যাগাজিনকে পাঠকের পাতে কয় নিঁখুত ভাবে তুলে দিতে পারেন এই-ই যদি হয় প্রধান শর্ত তাহলে যেমন তিনি উৎরেছেন পাঠকের কাছে তেমনি ভালো লেখা ছেপেও তিনি আমাদের কাছে ভালোবাসার স্থানে অধিষ্টিত।এই সময় লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকরা তো এক দুজনের সাপ্লাই করা বিভিন্ন জনের লেখা পত্রিকার পাতায় ছেপে বের করেই মনে মনে বুক ফুলিয়ে সাহিত্য অঙ্গন দাপিয়ে বেড়ান এই জায়গায় দৌড় প্রত্যেক তরুণ থেকে লব্ধ এবং প্রতিষ্টিত সকলের কবি সাহিত্যিকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সকলকেই আত্মীয়তা পাশে আবদ্ধ করে নিচ্ছেন সত্যি তা দৃষ্টান্ত।আমি দৌড়ের এই দৌড় অসীমান্তিকতায় আরো ঋদ্ধ হোক চাই।
কুমারঘাট
০৪/০৬/২০১৬
বেলা:৪:৩০মি।
0 Comments