আমাদের কথা
----------------------
স্রোতস্বিনী থেকে স্রোত 
ম্যাগাজিন ও প্রকাশনার ইতিহাস :তেত্রিশ 

গোবিন্দ ধর

স্রোত আয়োজিত আন্তর্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন উৎসব-২০১৬ স্থান:আগরতলা প্রেস ক্লাব।তারিখ:১১/০৯/২০১৬।সময়:সকাল:১০টা।সে সময় এই উৎসব উদযাপনের নানা খুঁটিনাটি বিষয় স্রোত গড়ে উঠার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।সেগুলোর আলোকপাত করছি।অনুষ্ঠানকে আর্থিক সহযোগিতা করেছিলেন সাহিত্য একাডেমি।

আমন্ত্রিত অতিথি
------------------------
★ত্রিপুরা
মানিক সরকার, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী 
ভানুলাল সাহা,তৎকালীন তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী 

★কবি সাহিত্যিক

রামেশ্বর ভট্টাচার্য 
শ্যামল ভট্টাচার্য 
দেবব্রত দেব 

★বাংলাদেশ

কমলেশ দাশগুপ্ত
অসীম সাহা
প্রবীর পাল
পুলককান্তি ধর

★কলকাতা

সন্দীপ দত্ত 
তন্নয় বীর
মধুমঙ্গল বিশ্বাস
অনিমেশ মণ্ডল

*আসাম

সৌমেন ভারতীয়া

একটি লিটল ম্যাগাজিনের জন্মকথা এবং
দেও আর মনুর সন্তান 
------------------------------------------------------------

আমি সৌভাগ্যবাণ এই দেওমনু সঙ্গম স্থানেই আমার কুঠীর।আমাদের কবিতাঘর।স্রোত পরিবার।স্রোত সাহিত্য পত্র।স্রোত প্রকাশনা।আমাদের অহংকার করার মতো 
উদ্দীপ্ত সংগ্রহশালা।রাজ্যে পল্টুদার 
রমাপ্রসাদ গবেষনাগারের পরই বর্তমানে একমাত্র বেসরকারী উদ্দোগ।পান্নালাল রায় যার ব্যাখ্যা করেছেন "স্মৃতি বিস্মৃতির :ত্রিপুরাকোষ "গ্রন্থে।এছাড়াও সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী মহোদয় 
সংগ্রহশালার ২৩তম প্রতিষ্টা দিবস উদ্ যাপন উপলক্ষে উপস্থিত থেকে আমাদেরে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন ।তাছাড়া কবি অপাংশু দেবনাথ থেকে বাদ যাননি রাজ্য বহিঃরাজ্যের কবি সাহিত্যিকরা।এ পর্যায়ে আজ হারাধন বৈরাগী র পা পড়েও  ধন্য আমরা।

বনতট সম্পাদক:হারাধন বৈরাগী
-----------------------------------------------
দেওমনুর সঙ্গম স্থল হালাইমুড়ায় আজ এক উল্লেখযোগ্য দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে সাহিত্যের
ইতিহাসের পাতায় ।প্রথম সংখ্যার প্রকাশ বিষয়ে ফাইন্যাল পর্ব সমাপন হলো।লেখা নির্বাচন সমাপন হলো।প্রকাশ হবে বনতট।আন্তর্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন উৎসব ২০১৬ অনুষ্টান মঞ্চে।

হারাধন বৈরাগীর প্রত্যাশা 
-------------------------------------
আজ থেকে প্রায় ৩২৫ বছর আগে আসামের মহারাজ রূদ্রসিংহের দুই দূত কটকি রত্নকদলী ও অর্জুন দাশ আসাম থেকে খাসপুর হয়ে ত্রিপুরা মিজোরাম সিমান্ত ধরে তিপাইমুখ হয়ে দামছড়ার পথে  উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরের লালজুরীর কোন এক স্হানে দেও নদীতে নেমে বাঁশের ভোরা করে মনুনদীর এই সঙ্গমের পথে মনুনদীর উজান বেয়ে লংতরাই আটারমুড়া বড়মুড়া বেয়ে উদয়পুর চলে যান।তিন মাস তাঁরা সেখানে থাকেন এবং প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার নিরিখে লেখেন ত্রিপুর দেশের কথা ত্রিপুরার ইতিহাসের প্রামান্য দলিল।তাই এই সঙ্গমে তাঁদের একটি স্মারক স্হাপিত হলে ইতিহাস কথা বলতো।
দেও ও মনুনদীর সঙ্গম, হালাইমুড়া,কুমারঘাট।ঊনকোটি ত্রিপুরা০৮/০৮/১৬

লিটল ম্যাগগুলো এখনো ত্রিপুরায় প্রকাশিত হয়
-------------------------------------------------------------------

ঝিনুক :বিমলেন্দ্র চক্রবর্তি
স্রোত:গোবিন্দ ধর
ভাষা সাহিত্য:কল্যাণব্রত চক্রবর্তী

উত্তরমেঘ :সম্পাদক মন্ডলীতে--নিধির রায়(C.E).রথীন্দ্র সিনহা,রূপন রায়,খোকন রায়,নৃপেশ আনন্দ দাস,নিখিল সরকার

পাথেয়:প্রথম সংখ্যাটি সম্পাদক ছিলেন বিশ্বজিৎ বন্দোপাধ্যায়,তারপর পনিবর্তন হয়েছে; ফোন:-9774384524-নাম্বারে পরিবর্তন জানা যাবে।

কবিতার খেয়া:সংগীতা দেওয়ানজী
মুখাবয়ব :দেবব্রত দেব
রূপান্তর :রাজীব মজুমদার
ফোটামাটি :খোকন সাহা
অশ্রুত:মৃণালকান্তি দেবনাথ
জলজ:সন্তোষ রায়
বজ্রকণ্ঠ:রাজেশচন্দ্র দেবনাথ
সময় সঙ্কেত :নবীন কিশোর রায়
শাব্দিক :সঞ্জীত বণিক
পূর্বমেঘ:রামেশ্বর ভট্টাচার্য
ক্ষুধার্থ সময় :সাত্বিক নন্দী
উন্মেষ :নির্মল দত্ত
কৃষ্টি:কবিতা ভট্টাচার্য
বিজয়া:সঞ্জীব দে
পাখিসব করে রব:পীযুষ কান্তি দাশ বিশ্বাস
নীলকন্ঠ :নিবারণ নাথ
বহ্নিশিখা :নিভা চৌধুরী
শব্দনীল:হৃষিকেশ নাথ
কুসুম :সুমিতা পাল ধর
কবিতাঘর:পদ্মশ্রী মজুমদার
অন্তঃকরণ:শুভেশ চৌধুরী
কুসুমিতা:সন্ধ্যা ভৌমিক
তৃনতট:পংকজ বণিক
অরণ্য :প্রিয়ঙ্কু চক্রবর্তী
প্রজন্ম চত্তর:জ্যোতির্ময় রায়
আকাশের ছাদ:সুমিতা ধর বসু ঠাকুর
অনার্য:রসরাজ নাথ
অন্যধারা:সুজিত দেব
মত্ত নীল ডানা :অরুপ দত্ত
ক্ষুধার্থ সময়:সাত্ত্বিক নন্দী
জলকনা :তাপস সাহা
উইন্ডোজ:খোকন সাহা
জলীয় সংবাদ:গোপেশ চক্রবর্তী
চিত্রপট:অপন দাস
জলকণা:তাপস সাহা
সৈকত:মানস পাল
একতারা:ধ্রুব চক্রবর্তী
চাঁদের পাহাড়:পার্থসারথী চক্রবর্তী
রসমালাই:অমলকান্তি চন্দ
অভিনয় ত্রিপুরা:লক্ষণকুমার ঘটক 
অববাহিকা:পার্থসারথী চক্রবর্তী
ভগ্নাংশ:পম্পা দাস
ইপ্সা:প্রসেনজিৎ দাস
ত্রিপুরা কবিতা পত্র:তনুশ্রী সিংহ রায়
মনোলিপি:ধ্রুব চক্রবর্তী বাপী ভট্টাচার্য রাজীব মজুমদার অনুরাগ ভৌমিক
মোহনা:জয় কুমার দাস
ঊনকোটি:সন্ধ্যা দেবনাথ
ব্ল্যাকবোর্ড:সৌরভ চক্রবর্তী
মুক্তি:সমীর সিংহ রায়
অর্ধেক আকাশ:অপর্ণা নাথ
দীপ সাহিত্য:কৃষ্ণকুসুম পাল
শঙ্খচিল- প্রীতম ভট্টাচার্য
বাঁশিওয়ালা- রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ
ডানা- রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ
মাইলস্টোন -সুজিত চক্রবর্তী
কবিতা.com:সত্যজিৎ দত্ত
কিশোর জ্ঞানবীক্ষন:প্রীতম ভট্টাচার্য। 
এটা এখনো নিয়মিত বের হচ্ছে তিন মাস অন্তর
আর অনিয়মিত 

আড্ডা:
সোমবার:চারুকৃষ্ণ কর
ত্রিপুরা প্রবাহ:প্রলয়েন্দু চৌধুরী
ভাষা:বাসুদেব মালাকার
বুলি:নীলিমেষ পাল
মুক্তি:সঞ্জয় কুমার দাস
অক্টোপাস:মৈনাক মজুমদার

এছাড়া নাম না জানা লিটল ম্যাগাজিন গুলোর নাম এখানে মতামত সহকারে লিখে এই পোষ্ট সার্থক করে তুলতে সহযোগিতা করলে উপকৃত হবো।
আর যে সকল পত্রিকার সম্পাদকের নাম লিখতে পারিনি তাও দেবেন আশা করি।সাথে সকল পত্রিকার ঠিকানা দিয়েও সহযোগিতা করুন।
একটি দলিল হবে ত্রিপুরার লিটল ম্যাগাজিনের।আপনার সহযোগিতা খুবই কাজে লাগবে।

উদ্বোধক
-------------
সাহিত্য সমাজের দর্পন ...সাহিত্য এবং সাহিত্যিক তাদের জাত নেই , ধর্ম নেই , বর্ন নেই , সম্প্রদায় নেই .. আকাশের মত উন্মুক্ত .. সমুদ্রের জলের মত বাঁধন হারা  ....
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার

সম্পাদকীয় আড্ডায় রামেশ্বর ভট্টাচার্য 
-------------------------------------------------------
লিটল ম্যাগাজিন এ কি লেখা থাকা জরুরি, কিংবা কিভাবে এই ম্যাগকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে ।  বলছেন ত্রিপুরার বিশিষ্ট কবি এবং সম্পাদক রামেশ্বর ভট্টাচার্য  পূর্বমেঘ ।

আমন্ত্রিত তরুণ কবিদের কবিতা পাঠ
----------------------------------------------------
অরিজিৎ দেব
অনিন্দিতা দেবনাথ
চিরশ্রী দেবনাথ
রিয়া দেবী
রীতা শিব
রাজু ভৌমিক
সঞ্জীব দে
রাজীব লোহানি
সাচিরাম মানিক
শুভজিৎ দেব
চন্দ্রিমা সরকার
হারাধন বৈরাগী
পায়েল দেব
উমা মজুমদার
সুপ্রিয়া দাস
সঞ্চিতা রাহা পাল
অপর্ণা নাথ
স্নিতা দেব সরকার
রতন আচার্য
নবীনকিশোর রায়
দীপান্বিতা সেনগুপ্ত
সন্ধ্যা ভৌমিক
স্বপন মজুমদার 
বিদুৎ হোসেন
অভিককুমার দে
বিপুলকান্তি চক্রবর্তী 

তরুণ কবিদের কবিতা পাঠের আসর 
সঞ্চালনা করেন:সঙ্গিতা দেওয়ানজি।অনেকেই তখন সময়াভাবে কবিতা পাঠে অংশ নিতে পারেননি।

তরুণ কবির বক্তব্য 
----------------------------
তমা বর্মণ

স্রোত পরিবারের ডাকে আমার স্বদেশে দু-এক দিনের জন্য ফেরার সুযোগ হয়েছিলো । এরজন্য স্রোত পরিবারকে আমি আমার হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা জানাই ।  আমার দেশের মানুষ যে কতোটা আতিথেয়তা প্রিয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । বহুবছর বাইরে থাকার সুবাদে যেখানেই গেছি আমার ত্রিপুরাকে সহজ সরল মাটির মানুষের দেশ বলেই চিনিয়েছি । সত্যিই , এক হাঁড়ির থেকে কিংবা এক ঘরে ভাগাভাগি করে খাওয়া -থাকা - শোয়ার মতো মনপ্রান বিশ্বে আর কোথাও আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে । ইতিহাস তার সাক্ষী । এমন একটি সার্বিক সফল অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে এবং সেই সহজাত সহজ আন্তরিক ব্যবহার যেভাবে প্রত্যেক গুণীজনদের কাছ থেকে পেয়েছি এখনও তাতে স্পষ্টতই বলা যায় , ঐতিহ্যবাহী ত্রিপুরা আর আমরা ত্রিপুরাবাসী কখনই নষ্ট হবার নয় ; ঝড়-ঝাপটা যতই আসুক ।

সহযোগিতা
-----------------
স্রোত
সাহিত্য পত্র
আয়োজিত
আন্তর্জাতিক লিটলম্যাগাজিন উৎসব ২০১৬

সমর সেন জন্ম জয়ন্তী উদযাপন কমিটি
স্বরণিকা
সম্পাদক
অপাংশু দেবনাথ।

সুরভী
সম্পাদক
আব্দুল আলিম।

অ আ ক খ
সম্পাদক
বিল্লাল হোসেন।

বিজয়া
সম্পাদক
সঞ্জীব দে।

অশ্রুত
সম্পাদক
মৃণাল কান্তি দেবনাথ।

এবং

জয়শ্রী প্রকাশন 
স্বীকৃত
সম্পাদক
রতন আচার্য।

ত্রিপুরা লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনে আপনারা হর্সপাওয়ার।
আমরা আপনাদের যোদ্ধশক্তিকে সম্মান জানাই। 

আপনারা প্রত্যেকেই 
এই অনুষ্টানের সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে ব্রতি হয়েছেন বলে
আপনাদের যোদ্ধশক্তিকে সম্মান জানাই।

কবির লড়াই
--------------------
অলক দাশগুপ্ত

“কবির লড়াই” আমাদের অনেকদিনের ঐতিহ্য । আমার মতো এলেবেলে কমিকস নিয়ে দিনরাত পড়ে থাকা সামান্য মানুষের উচিত নয় কবিতা বা কবিদের মতো গুরুতর বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করা কিন্তু আমার অন্যান্য না না বদ দোষের মধ্যে একটি হল কবি বা সাহিত্য সম্মেলনের মতো কিছুর একটা একটা নেমতন্ন জুটলেই হাজির হয়ে যাওয়া । যা হোক সেবার মেলাঘর আর কাঁকড়াবনের মাঝে আমাদের ব্যাঙ্কের ‘মোহনভোগ’ শাখায় গেছি ইন্সপেকশনের কাজে । গিয়ে সেই চমৎকার গ্রাম আর পুঁচকে ব্যাঙ্ক শাখার সৌন্দর্য দেখে তো আমি যাকে বলে মোহিত । তার উপর ব্যাঙ্কে ঢোকার মুখেই বাজারে দেখলাম এই গ্রামে ‘কবির লড়াই’এর আয়োজন হয়েছে সেই রাতেই । “কবির লড়াই” নিয়ে আমার ধারণা তেমন স্পষ্ট ছিল না (তখনো জাতিস্মর সিনেমা তৈরি হয়নি আর তার আদিরূপ অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি আমার দেখা হয়ে ওঠেনি), ভাবলাম এটা আসলে কবি সম্মেলন’ই হবে , গ্রামের পাবলিককে টানতে উদ্যোক্তারা ঐসব ‘লড়াই’ শব্দটা আমদানি করেছে কারণ যাত্রা পালায় অভ্যস্ত গ্রামের মানুষ যে পালায় লড়াইয়ের সিনগুলি খুব উপভোগ করেন সেটা আমার জানা । আমি তো মহা উৎসাহী হয়ে পড়লাম । রাজ্যের কবিদের প্রায় সব্বাই আমার ভারি আপন লোক, সবাই অমায়িক ভাল মানুষ । কে কে আসতে পারে সেটা না জানলে পেটের ভাত হজম হচ্ছে না । কবিদের সঙ্গে আড্ডা মারার আনন্দই আলাদা । আমি ব্যাঙ্কে ঢুকেই আগে ম্যানেজারবাবুর কাছে জানতে চাই কোন কোন কবি আসছেন ? নকুল রায়, দিলীপ দাস, সত্যব্রত চক্রবর্তী, কৃত্তিবাস চক্রবর্তী, বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী, শুভেশ চৌধুরী, প্রবুদ্ধসুন্দর কর, আকবর আহমেদ আরও অনেক অনেক নাম এক নিশ্বাসে বলে গেলাম । আয়োজনের যা বহর তাতে মনে হচ্ছে ধর্মনগর থেকে পীযূষ রাউথ, সেলিম মুস্তাফা, তমাল শেখর দে, কৈলাসহর থেকে বিশ্বজিৎ দেব, সত্যজিৎ দত্ত, নির্মল দত্ত, পানিসাগর থেকে মিলনকান্তি দত্ত, কুমারঘাট থেকে গোবিন্দ ধর-পদ্মশ্রী মজুমদার আসতেই পারেন । সবচেয়ে কাছের শহর উদয়পুর থেকে যে অশোক দেব আর খোকন সাহা আসবেনই সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত । ম্যানেজারবাবু একেবারে মরমে মরে গিয়ে জানালেন কাজের চাপে তিনি ব্যাঙ্কের সার্কুলার আর রোজকার সংবাদপত্র ছাড়া অন্য কিছু পড়ার সময় পান না , এমনকি নাচ-গান-নাটক এসব অনুষ্ঠান দেখারও ফুরসৎ মেলে না । আমি রাতে কবি সম্মেলনে থাকতে চাই জেনে অবশ্য ঘাবড়ালেন না , গ্রাম-গঞ্জে আজও ব্যাঙ্ক ম্যানেজারদের খাতির আছে । এই শাখার কোন কর্মচারীই এই গ্রামে থাকেন না তারা উদয়পুর বা মেলাঘর থেকে রোজ অটোয় ঝুলে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেন । আমার আবদার মেটাতে পাঁচ মিনিটের বেশী সময় নিলেন না ম্যানেজারবাবু । কোথা থেকে এক বেজায় মোটা বেজায় কালো গলায় তুলসীর মালাপরা এক ভদ্রলোককে ডেকে আনলেন কিনা বিশাল ব্যবসায়ী । তিনি তো বিনয়ে গদ্গদ, আমাকে অতিথি হিসেবে পাওয়া নাকি তার  বিরাট সৌভাগ্য ! বিকেলে সেই সৌভাগ্যবান নিজে এসকর্ট করে আমাকে তার চমৎকার গাছগাছালিভরা বাড়িতে নিয়ে গেলেন । বলে গেলেন আজ নাকি রাতের খাওয়ার পাট ন’টার আগেই চুকোতে হবে কারণ বাড়ির বউ ঝিরা কেউ তারপর আর পাকের ঘরে থাকবে না, কবির লড়াই দেখতে যাবে । ততক্ষণে এক বিশাল বাটিভর্তি মুড়ি মাখা আর এক প্লেট মিষ্টি চলে এসেছে সঙ্গে প্রচুর গরুর দুধ প্রচুর চিনি দেওয়া চা । আমি বলি,- ‘কবিরা কোথায় ?’ তিনি হেসে বলেন,- ‘এই আইসা পড়ব ?’ –‘কে কে আসবে জানেন ?’ আমার এই কোথায় একটু মনক্ষুণ্ণ হলেন তিনি, তিনিও যে এই স্মমেলনের একজন হর্তাকর্তা তা জানতাম না । -‘এক্কেবারে টপক্লাশ স্যার । ত্রিপুরার বেষ্ট দুই কবি - কবিরাজ নিত্যানন্দ দেবনাথ আর কবিসম্রাট বিশ্বনাথ অধিকারী আর তাদের দলবল ’। আমার এক গাল মাছি , আমি কস্মিনকালে নাম শুনিনি তায় আবার ত্রিপুরার বেষ্ট দুই কবি ! রাত আটটা বাজতেই ডিনারের তাড়া আসে । মাটির মেঝেতে চাটাইয়ের উপর বসে ঘন মুশুরি ডাল, বেসন দিয়ে ভাজা ঢ্যাঁড়স,  ভদ্রলোকের নিজের পুকুরের মাছের ঝোল আর কাঁকড়ার ঝাল ঝাল তরকারী  দিয়ে রাশি রাশি ভাত খেয়ে ফেললাম । আসরে গিয়ে কীর্তনিয়াদের মতো সাজগোজ করা দুই কবির গান সত্যি দারুণ উপভোগ করলাম । সত্যি কবির লড়াই এ ওকে ঠেস দিয়ে কাব্যি ছুঁড়ছে পরক্ষণে বিপক্ষও জুতসই জবাব দিচ্ছে । মাঝরাত অবধি চলল তবে দুজনের কেউই শালীনতার মাত্রা ছাড়নো তো দূরের কোথা পরস্পরকে যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করছিলেন এমনকি লড়াই শেষও হল অমীমাংসিতভাবে । দুই কবি শেষে উঠে একে-অন্যকে বুকে চেপে ধরলেন । পাবলিক হেভি হাততালি দিল । রাতের আস্তানায় ফিরে আসতে আসতে আমার কেমন যেন বারবার মনে হচ্ছিল এই লড়াইটা আসলে WWF কুস্তির মতোই গট-আপ কেস নইলে মুখে মুখে এমন জবাব আসে কোত্থেকে ? সিওর প্রচুর রিহার্সাল দিয়ে এসেছে দুজনে মিলে । 

তারপর কতদিন কেটে গেছে কিন্তু আজও কোন কোন রাতে চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই বিশাল মাঠ , আলো, মানুষের জমায়েত আর দুই বেষ্ট কবির লড়াই , মনটা বড় ভালো হয়ে যায় ।কেবল ফেসবুকে যখন আধুনিক কবিদের লড়াই দেখি তখন মনটা কেমন বিষণ্ণ হয়ে পড়ে, মনে পড়ে সেই দুই গ্রাম্য কবির সেই আন্তরিক আলিঙ্গনের দৃশ্য ।

আন্তর্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন মেলা:২০১৬ :বির্তক
--------------------------------------------------------

                   এক কমশিক্ষিত দাম্ভিক রুচিহীন লোক আমার পরিবার সম্বন্ধে মন্তব্য করে আমাকে অসম্মান করলেন । এতখানি দুর্মুখ কোনও কবি সাহিত্যিক হতে পারেন আমি বিশ্বাস করতে পারছি না । তাঁর সাথে পরিচয় হয়েছিলো বলে এই অসম্মান আমার সইতে হল । তবুও আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।---শ্যামল বৈদ্য।     
            
শ্যামল বৈদ্যদাদা আপনাকে চিনি ৷ আপনি আমাদের সম্পদ ৷ আপনার সাধনায় মগ্ন থাকুন ৷       ----অশোকানন্দ রায়বাধর্ন।                   

 এমনটা করা ঠিক হয়নি ঐ লোকটার । ক্ষমা চাওয়া উচিত ।                -----মাধুরী দেবরায়।      

 দাড়ি থাকলেই যে রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না এটি অনেকেই বুঝতে পারে না------শ্যামল বৈদ্য।   

                        Just avoid, it. আমার মনে হয় উপেক্ষা এবং নীরবতার মতো বড়ো উত্তর আর নেই।                চিরশ্রী দেবনাথ।          
  Sob somoy sojjo hoynA----নাজমা আক্তার।                   

 শালা আমাকে ব্লক করে দিয়েছে।--------অমল কান্তি চন্দ।              
 আমাকে করবে বলেছিলেন আমি তার আগেই ব্লক করেছি।--শ্যামল বৈদ্য।         
আপনি এই রাজ্যে একজন খ্যাতিমান সাহিত্যিক। আপনার রচনার জনপ্রিয়তায় কেউ ঈর্ষান্বিত হলে তাকে গুরুত্ব দেবেন না। -----প্রত্যুশ দেব।   
        কিছু লোক (কবি) আছেন যাঁরা রুচির বাইরে কথা বলেন, এঁরা দুর্মুখ কিনা জানিনা তবে তাঁদের চিন্তা চেতনা সর্বদা ব্যতিক্রমি। তোকে আঘাত করেছেন বলে বলে চিন্তা নেই, আরো শক্তি সঞ্চয় হল। আগামী দিন ওনি আবার পাশে এসে অনুতপ্ত হবেন এটা জোর দিয়ে বলছি। তুই ধন্যবাদ জানিয়ে ভালই করেছিস্, একজন সাহিত্যিকের উদার মানসিকতা প্রকাশ পেল। ওনার নাম জানতে চাইনে, ওনি কবি এটাই আশ্চর্যের। ভাল থাকিস্। অসম্মানটা আমার সাথে শেয়ার করিস্।---বিজিৎ গোস্বামী।                     

আমার মনে হয়,এই ঘটনা আপনার জীবনে চিন্তনে নতুন যুগ এনে দেবে।মানুষ চিনতে খুব বেশি ভুল হবে না আর।আশা করছি,এই চরিত্রটি খুব তাড়াতাড়িই পাবো কোনো গল্প, উপন্যাস কিংবা নাটকে।
   আর অসম্মান কেউ কাউকে করে যে যে কারণে,তার অন্যতম হচ্ছে 'ঈর্ষা'। এই ঈর্ষা নারীর প্রধান গুণ হলেও,আদি যুগ থেকে কিছু অংশে পুরুষও এর ধারক।পাশের লোকটি থেকে আপনি যদি একটু উঁচুতে অবস্থান করেন,তবে অবশ্যই আপনাকে তার ঈর্ষার শিকার হতে হবে।হয়তো কখনো অসম্মানিতও হতে হবে। এই সূত্রে আমরা বুঝে নিয়েছি যে, আপনি (শ্রী শ্যামল বৈদ্য) ঐ লোকটির চেয়ে বেশ উঁচুতে অবস্থান করেন।-------সঞ্জয় দেবনাথ।           

  সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সৎ পরামর্শ দেওয়ার জন্যে। বিশেষ করে Asokananda Raybardhan দা ও   Pratyush Deb দা-র পরামর্শ মনে থাকবে। Sujan Chakrabortyবাবুর সমালোচনাও খোলা মনেই গ্রহণ করলাম। আসলে বারবার আমাদের স্বাভিমান আক্রান্ত হয় যখন তখন চুপ করে থাকা যায় না। ওই বাজে লোকটা বিচ্ছ্রি ভাষায় যাকে তাকে বকে যাচ্ছে। Najma Akther একজন বড়ো চিত্র শিল্পী এই mdm কে বলছে কাজের বোয়া। তাঁর আবার কিছু দোসরও আছে। মত্ত ষাঁড় যেমন যাকে তাকে গুঁতায়, এমনি এক উন্মাদের পাল্লায় পড়েছিলাম আমিও। বারবার নিরীহ সাপের গর্তে খোঁচালে সে যে পাল্টা দিতে জানে সেটা ওই মূর্খ লোকগুলি বুঝে না। যাই হোক এই বিষয় নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না। আপনারাও আর কিছু মন্তব্য করবেন না, অনুরোধ।--------শ্যামল বৈদ্য।    
                      
কাল সারাদিন তো ব্লকড ছিলাম ৷সৌজন্য প্রদর্শন থেকে বঞ্চিত ছিলাম ৷ আপনার কলম এগিয়ে যাক কলুষ নাশ করতে করতে ৷----অশোকানন্দ রায়বর্ধন।  ধন্যবাদ প্রত্যুষদা ও অশোকদা , আপনাদের ভালোবাসাই আমার পাথেয়।----শ্যামল বৈদ্য। Ardha kumva ra erokomtai hoy, nothing doing , either bear or ignore that. "Hathi chale Bazar, to kutta voke hazar". Bindas chalo vai.-----বিকাশরাই দেববর্মা।                      
স্যার, মাকাল নৈকট্য পরিহার করুন !! নিন্দুক থেকে সমালোচক ভালো ! স্যার সন্মান ক্ষুন্ন আপনার হয়নি কিন্তূ চরিত্র উন্মোচন হয়েছে।--প্রদীপ কুমার গোস্বামী।                     
 ধন্যবাদ, শ্যামলদাদা। ৷'ে কইলে কথা ল'রাল' রা ৷ না কইলে কথা প্যাট ভরা' ৷কথা আর বাড়ালাম না ৷তবে খোঁচা দিলে ফোঁস করবই ৷----অশোকানন্দ রায়বর্ধন।  
আমাকে দালাল বলেছে।Ami agartola niye bolechi bole tar jole jacche ।   ---নাজমা আক্তার।          
 mdm ধৈর্য ধরুন সময় ওকে আরও বিচ্ছিরি সব উপহার দেবে ।        আপনার স্পষ্ট কথা বলার ক্ষমতা আমাকে মুগ্ধ করেছে ।------শ্যামল বৈদ্য।   
             কার কথা বলছেন? যিনি মূল স্রোতের কবি???  লিটিলম্যাগে কখনো লিখেন নি, তাঁর কথা শ্যামলদা? যদি তিনি হন তাহলে বলতে বিন্দুমাত্রও খারাপ লাগবেনা যে শিষ্ঠাচার পনে জানেনা তিনি যতো বড়োই ভাবুক নিজেকে তিনি হীন নিম্ন রুচিবোধের কবি(মানুষ)।---অপাংশু দেবনাথ।                      

কাল থেকে নেট না থাকায় কিছুই বলতে পারিনি-----
রবীঠাকুর বলেছেন
আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধুলার তলে।সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে।
এই কবিতাটি উনাকে আরেকবার পড়তে বলবো।
সত্যি কথা কি  উনি যে সব কথা আমাকে বললেন সে গুলি বলে কথা বারাবো না।  নিপু বাবুর সাথে ক       ----সঞ্জীব দে।                   

 নিপু বাবুকে আমি ফোর বেডের একটি এসি রোম এ থাকতে বললাম তখন উনি বললেন উনি আমায় বললেন উনি এই সব রুমে থাকতে অভ্যস্হ নন। আমি বললাম বললাম ঠিক আছে কিছুক্ষন রেষ্ট করুন আমি দেখছি ভি আই পি রুম,,, এই কথা বলেই আমি রুম ঠিক করতে পরের কম্পেক্সে আসি। ঠিক করতে ১৫ /  ২০ মি সময় লেগেছে কারন আমি রাবেয়া দি কেও কথা দিয়েছিলাম ভি আই পি রুম দেবো। ঠিকও করেছি আমরা। উনাদের নিয়ে আসতে দেখি উনারা বেড়িয়ে যেতে প্রস্তুত। সবাই মিলে আমরা উনাদের ভি আই পি রুমে এনে দেই। এর মাঝে আকাশ বানী সাক্ষাতকার নিতে এসেছিল সবার কাছ থেকে তাই একটু দেড়ি হল। কিছুক্ষণের জন্য ফোর বেডের এসি রোমে থাকতে দেওয়া কি এমন অপরাধ হল বুঝলাম না,,,,,,--------সঞ্জীব দে।   
                 এমন একটা লোক যে কিনা লিটলম্যাগ আন্দোলন টাই বুঝে না ! বলে, যাদের লেখা বড়ো কাগজে ছাপা হয় না তারাই নাকি নিজের ও বন্ধুদের লেখা ছাপতে ওসব করে । লিটলম্যাগ  আন্দোলন সম্বন্ধে তাঁর জ্ঞান শুনে চমকে উঠেছি!---------                শ্যামল বৈদ্য।   
             ত্রিপুরায় শ্রদ্ধেয় ড,নিরঞ্জন অধিকারি, সুমুন দা, বেলায়েত দা, পুলক দার, মতো আরো অনেকেই এসেছেন উঁনাদের দেখলাম কত বিনয়ী ,,, উনাদের দেখলাম মানুষ কে ভালবাসতে কবিতাকে ভালবাসতে,,, প্রবির দাকেও দেখলাম কি অসাধারন ব্যবহার,,, কই তাঁরা তো এসি রোমকে ভালবাসেনি,,,     ভালবেসেছে ত্রিপুরাকে, তিপুরার মানুষ কে। কেউ তো অসীম বাবুর মত কথা বলেন নি।       অসীম বাবু কথাগুলি বলে শুধু ত্রিপুরার কবি সাহিত্যিকদের অপমান করেন নি,,, করেছেন বাংলাদেশের  কবি সাহিত্যিকদের।। দোষটা উনার নয় দোষটা বুর্জোয়া পরিমন্ডলের। বুর্জোয়া পরিমন্ডলে থাকতে থাকতে মনটাও বুর্জোয়া হয়ে শিল্পীর প্রকৃত সত্ত্বাকে ঢেকে রেখেছে। সাপের মাথায় মনি থাকলেও মনিটা বর্জনীয় কারন সাপে বিষ। যে কোন সময় ছোবল দিতে পারে কি বলেন।-----সঞ্জীব দে।    

 যথার্থ বলেছেন।---ইমদাদুল হকসুফি।   
     নোয়াখালি প্রবাদ
মোডে মা রাধে না
কয়
গরমগুন খামু।----সঞ্জীব দে। 
                      এইসব অসভ্য ছাগলকে লিটলম্যাগ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর রহস্যটাও বুঝলাম না ! এই উজবুক যখন বলে সে লিটল ম্যগাজিনে কবিতা লিখেনা তাহলে আসে কেন আরেক দেশে নিজের দেশের মান ডোবাতে !! এইসব ভণ্ড কে আমরা বাংলাদেশে কবি স্বীকৃতি দেইনা ।----কাজী মহাতাব সুমন।       
আপনি যে কত বড়ো মনের মানুষ বুঝতে পারলাম Kazi Mahtab ShumanKaziদা ।---শ্যামল বৈদ্য।   
         সে বেশ কিছুকাল যাবৎ দেশেও বিভিন্ন ঝামলা পাকাচ্ছিল।-------ইমদাদুল হকসুফি।   
   
 আমরা এবারে চিনতে পারলাম ওকে।--শ্যামল বৈদ্য।                           
আমার বক্তব্য সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দিয়েছেন মূল ধারার কবি ৷একটা পুরো দিন এমন ব্লকড ছিলাম, কেউ আমার লেখা দেখতে পারেন নি ৷ তবে কিছু মানুষের হাসি হাসি মুখটা পড়তে পারলাম ৷সুযোগ পেলে ওরা আমার সামনে হেমলকের বাটি তুলে ধরবেন ৷------অশোকানন্দ রায়বর্ধন।  

এতে বাংলাদেশ ও আমাদের রাজ্যের কিছু মানুষের মুখ সরাসরি টেলিকাস্ট হলো সকলের সামনে। তবে এসব করে টিকে থাকা গেলেও, বড় হওয়া যায়না-----অপাংশু দেবনাথ।                      এবার সবাই থামুন প্লীজ---শ্যামল বৈদ্য। 
     
অসীম সাহা দেশেও কিছুকাল ধরে ঝামেলা করছে। এমন পরিস্থিতিতে তার মত লোককে আমন্ত্রণ জানানো ঠিক হয়নি। আপনি যা যা লিখেছেন প্রায় সব কথার আপনার সাথে আমি একমত তবে এক অসীম সাহাকে দিয়ে একটি দেশ আর তার মানুষকে যাচাই করতে যাওয়াটা ঠিক হবে না। বাংলাদেশের সাথে ভারতের ত্রিপুরাসহ বাংলাভাষী সকল এলাকার আত্মিক যোগাযোগ রয়েছে।----ইমদাদুল হক সফি।

বাংলাদেশের শিল্পী সাহিত্যিক অনেকের সাথেই আমার পরিচয় হয়েছে । তাঁদের ব্যবহার সত্যিই অনুকরণীয় । এমন একজন দাম্ভিক মানুষ নিশ্চিত ওই মহান দেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হতে পারে না । আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক আগের মতোই থাকবে ।---শ্যামল বৈদ্য।             ১২-১৪/৯/২০১৬(২)

নানা বিতর্ক :রণবীর পুরকায়স্থ 
-------------------------------------------
গোবিন্দ,
আন্তর্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন উৎসব সফল হোক।কুতর্কের জবাবে সন্দীপ এর বক্তব্য তোমাকে বাড়তি oxygen দেবে।
দূরে থেকেও তোমার কর্মকাণ্ডের শরিক আছি।

সম্পাদিত স্রোত 
------------------------
সুশান্ত কর

ত্রিপুরা তথা পূর্বোত্তর ভারতের অন্যতম সাহিত্য পত্রিকা।  পত্রিকার ২৪ বর্ষ, ৬৮-৬৯ সংখ্যাটি এরা সাজিয়েছেন ত্রিপুরার ছোয় পত্রিকা সম্পর্কিত এক গুচ্ছ বাছাই লেখা নিয়ে। ফলে ত্রিপুরার কাগজ এবং লেখালেখি নিয়ে পড়তে এবং জানতে গেলে সংখ্যাটি অবশ্যই সংরক্ষণ যোগ্য। সেই সঙ্গে এই প্রথম কোনো কাগজ মনে হয় আন্তর্জালে বাংলা ভাষা এবং সাহিত্য চর্চার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে নিলেন। ফলে আই সোসাইটি, অনলাইন বাংলা পত্রিকাটি নিয়ে সৌমিত্র রায়ের একটি লেখা। 'আন্তর্জালে বাংলা ভাষা এবং বুদ্ধিচর্চার প্রজন্মান্তর কাহিনি ' নামে আমার একটি পুরোনো লেখাও আবার ছেপেছেন। লেখাটি এখানেও পড়তে পাবেন। http://sushantakar40.blogspot.in/2015/04/blog-post.html

ফিরে দেখা
---------------
 প্রবীর পাল

      স্রোত আয়োজিত লিটল ম্যাগাজিন উৎসব ২০১৬। একটি বিশেষ উৎসব। সাহিত্য প্রেমীদের মিলনমেলা। এপাড় বাংলা ওপাড় বাংলার লেখিয়েদের সৌভ্রাতৃত্বের মৈত্রী সম্পর্কের উৎকর্ষতা সীমারেখা অতিক্রম করেছে মানচিত্র।

লেখক, পাঠক, দর্শক, কর্মী, শুভাকাঙ্খী, মন্ত্রী মহলের কর্তাব্যাক্তি, শিল্পী, সমজদার, বাদ পড়েনি কেউ। এমনকি কর্মী হিসেবে শিশুদের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মত।

না, এ শাক খেয়ে ঘি খাওয়ার ঢেকুর তোলা নয়, বরং নামে লিটল ম্যাগাজিন উৎসব হলেও তার ব্যাপ্তি এবং আড়ম্বরতা যে কোন আন্তর্জাতিক উৎসবের আয়োজনকে অনেকাংশে হার মানাতে পারে। তবে মানুষের টুকটাক ভুল না ধরলে ইহ জগতের এমন কিছু ক্ষতি হয়ে যাবে না। এ কথা বলছি আমার বিশ্বাস থেকে।

       আমি বলছি কারণ আমিও সবার একজন ছিলাম আমন্ত্রিত হয়ে। সৌভাগ্যক্রমে এ অনুষ্ঠানের অংশ ছিলাম, 
ছিলাম উৎসব জুড়ে মুখর, অবশ্য মুখর না থাকার উপায়ও ছিলনা, বাধ্য ছিলাম আমি আমরা মুখরিত থাকবার,  সময়টাই ছিল এমন। যেন সমস্ত দুঃখকে জয় করার এ উৎসব। প্রাণে প্রাণ মেলানোর এ উৎসব।
যদি কোন কারণে উপস্থিত হতে না পারতাম তবে এমন আনন্দ আয়োজন থেকে বঞ্চিত হতাম আজীবনের তরে।

       আমি প্রায় দুই যুগ ধরে আবৃত্তির মত একটি অবিপনীয় শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরেছি এও আমার সৌভাগ্য।উৎসবের আয়োজকরা ডেকেছেন, মঞ্চ দিয়েছেন সে জন্য ঋণী রইলাম কিন্তু কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করেছেন অকৃত্রিম আতিথিয়তায়।
   মুগ্ধ, সত্যি আমি মুগ্ধ। বরণ থেকে বিদায় পর্ব পর্যন্ত বিশেষ পদ্মশ্রী শ্রী মতির কথা না বললে অপূর্ণ যাবে সব,  সঙ্গে তার ছোট্ট এতটুকুন পরীটা। অকপটে বলতে পারি শিখতে হবে ওদের কাছে সাংগঠণিক কাজ করার শক্তি কি, সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।

  এছাড়াও নাম বলতে গেলে কাকে বাদ দিয়ে কার কথা বলবো সুতরাং সেদিকে না গিয়ে নমস্য এবং প্রীতিভাজনেরা আন্তরিকতায় বেঁধেছে একেবারে আত্মিক বন্ধনে আজীবনের তরে।
      জয় হোক স্রোত, বয়ে যাক সরব স্রোতে সামনে থেকে আরো সামনে, যেখানে মিশেছে সীমাহীন অনন্ত স্রোত।
                   জয়তু
                   জয়তু
                   জয়তু

মৌমিতা প্রকাশনার রাখাল মজুমদার
-----------------------------------------------------
আমি লক্ষ করছি বেশ কিছুদিন ধরে আপনি কবি লেখক এবং প্রকাশকদের ক্রমাগত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন।আপনাকে তো তেমন কোন।সহযোগিতা করিনি।তবু প্রকাশনা আন্দোলনে আপনার সহযোগিতার হাত প্রসারিত দেখে খুব উৎসাহিত ও আনন্দিত আমি।আপনি পাশে থাকবেন।প্রকাশনা হোক একটি আন্দোলন।আপনি হোন তার একজন উপদেশক।আমরা হয়তো কিছু কাজ করেছি কিন্তু অনেক কাজ তো করতে হবে তাই সহযোগিতা লাগবে।

রাজ্যে হোক কবিতা আকাদেমি
--------------------------------------------

১।গ্রন্থাগার বিভাগ

কবিতার যাবতীয় বই ও নির্বাচিত/সমগ্র সংগ্রহ।

সম্পাদিত সংকলিত কাব্য সংগ্রহ।
অনুদিত কাব্য সংগ্রহ। 
ভারতীয় ও বিদেশী ভাষার কবিদের কাব্য সংগ্রহ।
কবিদের পান্ডুলিপি সংগ্রহ। 
কবিদের স্বকন্ঠে অডিও ডিভিডি/সিডি সংগ্রহ।
কবিতার আবৃত্তির ক্যাসেট সংগ্রহ। 
কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণ সংগ্রহ।
কবিতার লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রহ। 
কবিদের সাক্ষর সংগ্রহ।
কবিতা উৎসব,মেলা,সভার রিপোর্ট
নথিভুক্ত করণ। 
শ্রুতি/কাব্যনাট্য সংগ্রহ।
কবির জীবন-পঞ্জীর ফাইল তৈরি করা।
জাতীয় ও আন্তঃর্জাতিক কবিতা  উৎসবের পোষ্টার ইত্যাদি সংগ্রহ।
কবিতা সম্পর্কিত দেশী ও বিদেশী আলোচনা, সমালোচনার বই সংগ্রহ।
কবিতা নিয়ে অন লাইন ব্লগ গুলোর ঠিকানা
পঞ্জী
কবিদের ডাকযোগাযোগ ঠিকানা পঞ্জী
কবিদের ফোন ই মেল ওয়েব পঞ্জী
...ক্রমশঃ
সূত্রঃসন্দীপ দত্ত।

প্রভাতে গোবিন্দনাম...
--------------------------------
অশোকানন্দ রায় বর্ধন

সুপ্রভাত বন্ধুরা ৷ কালরাতে অপাংশু অনেক্ষণ একা একা বহু মূল্যবান কমেন্ট পোস্ট করে গেছেন  ৷ দুঃখিত আমি সঙ্গ দিতে না পারায় ৷ আসলে আমি এগারোটার পর লাইট অফ করে দিই শারীরিক কারণে ৷ কিন্তু সারাদিন অন্যরা যখন কর্মচঞ্চল, অকর্মা আমি তখন নেট হাতড়ে বেড়াই ৷ অনেকের কবিতার মূল্যায়ন করেছেন ৷সেইসঙ্গে আমারও ৷ সবই গঠনমূলক ৷ আলোচনা না থাকলে উৎসাহও থাকে না সৃষ্টিতে ৷ অথচ আলোচনা সমালোচনা হয়ই না আজকাল  ৷ হলেও এমন প্রতিক্রিয়া হয়, হিতাহিত জ্ঞান থাকে না ৷ তাই সাহস করে বলপেনের বলটার উপর বলপ্রয়োগ করি না ৷ তাকে নিরাপদ পথে নিয়ন্ত্রণ করি ৷ অপাংশু বা অন্য কোনো সুহৃদ যদি আমার লেখা যদি কাটাছেঁড়া করে বর্জ্যবাক্সেও ফেলে দেন, আমি শ্রদ্ধা জানাব তাঁদের কলমকে ৷ এ আমার অন্তর্গত অঙ্গীকার ৷ আমি আবার কলম ধরব সুন্দরের উপাসনায় ৷ আমি জানি আমার ওজন কতটুকু ৷ আসলে আমরা সবাই মিলে হাত ধরাধরি করে না এগোই তাহলে কী করে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুব ৷ আমি তো ঘরকুনো বরাবরেরই ৷ কদিন আগে অপাংশুরা আমাকে ধরে বেঁধে একটা অনুষ্ঠানের সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করেছে ৷ আমি আজও ভাবি আমি তার যোগ্য ছিলাম কিনা ৷ সেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিকালে একদিন আমরা সবাই অগ্রজপ্রতিম কবি রামেশ্বরদার বাড়ি গিয়েছিলাম তাঁর পরামর্শ নেওয়ার জন্যে ৷ কথাপ্রসঙ্গে তিনি সবার সামনেই  গোবিন্দকে সাধুবাদ জানিয়ে
 বলেছিলেন, গোবিন্দ ( ধর)  অসাধ্যসাধন করেছে ৷ অশোকানন্দকে খোলস ভেঙে বের করে আনতে পেরেছে ৷ রামেশ্বরদার স্পষ্টও উজ্জ্বল বাকশৈলীতে আমার মন্ডুকাবস্থানের প্রতি ইঙ্গিত থাকলেও প্রণত হয়েছি তাঁর মূল্যায়নে ৷ সেইসঙ্গে কবি গোবিন্দ ধরের প্রতি শ্রদ্ধা আরো বেড়ে যায় আমার ৷ আরে! আমি তো ভেবে দেখি নি এভাবে ৷ কৃতজ্ঞতা জানানোর সৌজন্যবোধও নেই আমার ৷ আজ গোবিন্দর দুঃসময় ৷ পাশেও দাঁড়াচ্ছি না ৷ শব্দ ব্যবহার করছি মেপে মেপে ৷ জীবনখাতায় তো শেষ তালা পড়ে যাবে সহসাই ৷আক্কেল কবে আমার হবে!  কী না করেছে গোবিন্দ আমার জন্যে ৷  আমার কবিতার বই ' বিনীত চুম্বন', প্রবন্ধগ্রন্থ ত্রিপুরার ' লোকসংস্কৃতির তত্ত্বরূপ ও উৎসসন্ধান' এবং সদ্য প্রকাশিত প্রবন্ধসংগ্রহ ' মগ জনজাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি'  এই তিনটি গ্রন্থই প্রকাশ করেছে একেবারেই স্ব উদ্যোগে এবং নিজ ব্যয়ে ৷ যে কোন প্রকাশক বা নিজের খরচে বই ছাপেন, অনুমান করতে পারেন তিনটে বই ছাপাতে কতো খরচ হতে পারে ৷ আমি জানি না ৷ সাহস করে জিজ্ঞাসাও করি নি কোনদিন ৷ বেহায়ার মতো একটা কপি খুঁজে নিতেও লজ্জা করে ৷তবু সে সে প্রায়শই আমাকে তার প্রকাশনার গাদা গাদা বই হাতে তুলে দেয় ৷ এবং কোন অতিথির হাতে ( তিনি রাজ্যের হোন বা বহির্রাজ্যের কিংবা দেশের বাইরের)  একগুচ্ছ বই তুলে দেওয়া কবি ও প্রকাশক গোবিন্দ ধরের স্বাভাবিক সহবৎ ৷ এভাবে কতো টাকা নষ্ট করে সে ৷'নষ্ট' শব্দটা সচেতনভাবে ব্যবহার করলাম ৷ বই নিয়ে জুয়ো খেলছে গোবিন্দ ৷ জুয়োই বলব ৷যারা গোবিন্দ ধরের কুমাঘাটের বাড়ি গেছেন,  দেখবেন বড়িটা কী অবস্থায় আছে ৷আমার তো আশঙ্কা হয়, এ বাড়ি আদৌ কুটিরেও পরিণত হবে কী !  গোবিন্দ যেসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেখানে উপস্থিত সবার হাতে হাতে বই তুলে দেয় এটা ইতিহাস ৷ ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ড তার প্রকাশনাকে জেনে বুঝেই সদস্য করেছেন ৷ ভালোমতো যাচাই করেই ৷ তাঁরা জানেন গোবিন্দ ধর ও স্রোত প্রকাশনা প্রতিদ্বন্দ্বী হবে না ৷ সহযোদ্ধাই হবে ৷ত্রিপুরার প্রকাশনা আন্দোলনে ৷ গোবিন্দ নিজে যেমন অনেক অভিনব অনুষ্ঠানের মাস্টারমাইন্ড, ইভেন্টম্যানেজার তেমনি অনেক অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থেকে পরামর্শদানসহ যথাসাধ্য সহযোগিতাও করে থাকে ৷ রাজ্যের বাইরেও সে যে অনুষ্ঠান করে তা ত্রিপুরার সাহিত্য নিয়েই ৷ ক'টাকা ঘরে ওঠে ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন ৷এই কিছুদিন আগে সাব্রুম বৈশাখি মেলায় অনুষ্ঠান করে এসেছে স্রোত ৷ মেলাকমিটির মঞ্চটা কোন বিনিময় ছাড়া ব্যবহারের সুযোগ ব্যতীত আনুষঙ্গিক সমস্ত ব্যয়ভার নিজেই মিটিয়েছে গোবিন্দ ৷ সেইসঙ্গে সংবর্ধনা দিয়ে এসেছে রাজ্যের দুই গুণীজন সাব্রুমের ড.রঞ্জিত দে এবং তিমিরবরণ চাকমাকে ৷ সেইসঙ্গে মরণোত্তর সম্মান প্রদর্শন করে এসেছে সাব্রুমের প্রত্যন্ত গ্রাম রূপাইছড়ির প্রয়াত কবি হরিহর দেবনাথকে ৷ এভাবে ত্রিপুরার গ্রাম জনপদে কাজ করে চলেছে ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ডের একজন অর্বাচীন সদস্য ৷ সঞ্জীব দের মতো তরুণ মেধাবী  সাহিত্যসেবীদের তুলে আনছে ৷সবই কী  অর্থগৃধ্নু অভীপ্সা?  আগামী সেপ্টেম্বরে আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন উৎসবের ৷সাজ সাজ রব পড়ে গেছে চারিদিকে ৷ আর এরই মধ্যে গোবিন্দ বিষন্ন হয়ে পড়ছে আঘাতে আঘাতে ৷ কাজ করলে ভুল হতেই পারে ৷আমি অকর্মার ঢেঁকি ৷ আমি বুক ঠুকে বলতে পারি, আমার কোনো ভুল নেই ৷ সবাই বলেনও, তাইন খুব বালা মানুষ ৷ আর আমিও হেঁ হেঁ ধরনের নির্লজ্জ আত্মপ্রসাদ পাই ৷ এতো কাজ করে গোবিন্দ তার তো ভুল হবেই ৷ হওয়াটা স্বাভাবিক ৷কাছে ডেকে সৎ পরামর্শ দিলে সে তো উপকৃতই হয় ৷ কাজ আরো সুন্দর হয় ৷ কোথা থেকে কী হয়েছে আমি সে সব বিষয় তুলে ধরে আমার কলমকে অমর্যাদা করব না ৷ শুধু আমার অনুভব, গোবিন্দ যদি হেরে যায়,  গোবিন্দ যদি হারিয়ে যায়, গোবিন্দকে যদি হারানো হয়, ক্ষতিগ্রস্ত হবো আমরা, ত্রিপুরার সাহিত্যাঙ্গন, ত্রিপুরার প্রকাশনা আন্দোলন ৷ খুব সচেতনভাবে সংবেদনশীল বিষয়টা তুলে ধরলাম ৷তার পরেও যদি কারো অন্তরে কিঞ্চিৎ বেদনারও সঞ্চার হয়, আমি নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী ৷ যাঁরা সময় নষ্ট করে এই প্রলাপলিপি পাঠ করবেন তাঁদের কাছেও ৷ সবাই ভালো থাকবেন ৷

ত্রিপুরার লিটল ম্যাগাজিন :পাঠ প্রতিক্রিয়া 
-------------------------------------------------------------
● লেখক — গোবিন্দ ধর 
● প্রকাশক — স্রোত প্রকাশনা । (Srot Prakashana)
● ISBN: 978-93-80904-84-9

আলেচনা:অরিন্দম ভৌমিক

ত্রিপুরা তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের এক অনন্য দলিল হলো , গোবিন্দ ধর সংকলিত ' ত্রিপুরার লিটল ম্যাগাজিন ' নামক পুস্তকটি । ১৮২১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত লিটল ম্যাগাজিনের বিবরণ লিপিবদ্ধ হয়েছে , এই সংকলন গ্রন্থটিতে । স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে ত্রিপুরা থেকে প্রকাশিত হওয়া সংবাদপত্র , সাময়িক পত্র , ছোট পত্রিকা ; স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের পত্রিকা ও সাহিত্য পত্র ; সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত হওয়া পত্র-পত্রিকা , লিটলম্যাগসমূহ , তাদের প্রকাশকদের ঠিকানা  ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়গুলি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে , এই বইটিতে ।
বহু তথ্যে সমৃদ্ধ এই বইটি কেবলমাত্র লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকদের জন্যই নয় , ছাত্র , শিক্ষাবিদ , গবেষক ও ইতিহাসকারদের জন্যও যথেষ্ট কর্মোপযোগী ।
লিটল ম্যাগাজিনের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে , এই বইটি একটি তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে সক্ষম ।

বই প্রকাশ
---------------
ত্রিপুরায় বাংলাসাহিত্য চর্চা:শ্যামল ভট্টাচার্য 
ত্রিপুরার লিটল ম্যাগাজিন :গোবিন্দ ধর

লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশ হয় সেদিন
------------------------------------------------
বনতট:হারাধন বৈরাগী 
মনুতট:গোপালচন্দ্র দাস
স্রোত.কম:গোবিন্দ ধর
রসমালাই:অমলকান্তি চন্দ
স্রোত:গোবিন্দ ধর(আন্তর্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন সংখ্যা) 
স্রোত:গোবিন্দ ধর(শ্যামল ভট্টাচার্য সংখ্যা)

আন্তর্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন সংখ্যা 
-----------------------------------------------------

স্রোত আন্তর্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন সংখ্যা
সূচীক্রম

(১)ত্রিপুরার লিটল ম্যাগাজিন 
(২)উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় লিটল ম্যাগাজিন
(৩)বাংলাদেশের লিটল ম্যাগাজিন 
(৪)লিটল ম্যাগাজিন
(৫)লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকের কর্তৃক লিটল ম্যাজিনের ইতিহাস
(৬)ত্রিপুরার একমাত্র মিনি কবিতা পত্র"পরমাণু" প্রথম সংখ্যার পুনর্মূদ্রন
(৭)"এবং" ও "পৌণমী"মিনি পত্রিকার পুনর্মূদ্রন
(৮)অন লাইন লিটল ম্যাগাজিন 
লেখাগুলো ডিটিপি চলছে।
এখন চাই আপনাদের সহযোগিতা।চাই বিজ্ঞাপন।নিচে বিজ্ঞাপন ও স্পনসর এর চার্ট দিলাম।যোগাযোগ:09436167231mail:boibari15@gmail.com

মঞ্চ নামাকরণ
---------------------
উদ্বোধনী পর্ব থেকে শেষ হওয়া অব্দি নানা পর্বে ভাগ ছিল অনুষ্ঠান। সেগুলোর মঞ্চ নামাকরণ করা হয় কবি লেখকদের নামানুসারে। মঞ্চ উৎসর্গ করা হয় কবি হিমাদ্রি দেব, দিব্যেন্দু নাগ,রমাপ্রসাদ দত্তসহ অনেকেরই নামে।বেসরকারীভাবে এইরকম মঞ্চ উৎসর্গ করে স্রোত সাহিত্যে এক বাঁকের জন্ম দিলো।

আমন্ত্রিত সংগীত শিল্পী 
--------------------------------
রাবেয়া আক্তার

লিটল ম্যাগাজিন সম্মান প্রদান 
--------------------------------------------
জোনাকি:পীযুষ রাউত
ঝিণুক:বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী 
নান্দীমুখ: স্বপন সেনগুপ্ত 
মুখাবয়ব:দেবব্রত দেব
:সুনীল দেববর্মা
:ক্রাইরী মগ চৌধুরী 
পূর্বমেঘ:রামেশ্বর ভট্টাচার্য 
স্বতন্ত্রমেধা: নকুল রায়
জলজ:সন্তোষ রায় 
বহ্নিশিখা: মন্টু দাস
:গৌতমলাল চাকমা
সংসপ্তক: দিলীপ দাস
প্রজন্মচত্বর: জ্যোতির্ময় রায়
উপস্থিত সকল অতিথি এবং লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকদের লিটল ম্যাগাজিন সম্মাননা প্রদান করা হয়।

একটি পাঠ্যক্রম জনিত প্রস্তাব
-------------------------------------------

আমি চাই শুধু ব্যতিক্রম কিংবা স্রোত নয় আমাদের আধা বানিজ্যিক প্রকাশনাগুলোকে এই অঞ্চলের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সকল লেখক কবিদের যৌথ প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার সলতে পাকানোর কাজটা করে দেওয়া।আমরা আমাদের কবি লেখকদের সৃষ্টিকে প্রাক প্রাথমিক থেকে পাঠ্য তালিকায় আনতে প্রয়োজনে আন্দোলন সৃষ্টি করা।আমাদের সৃজন প্রতিভাকে পাঠ্য তালিকায় পাঠ্যক্রমের আয়তায় আনলেই পাঠক বাড়বে।ক্রয় করার মানসিকতা বাড়বে।আমি মনে করি আমরা সমবেত ভাবে এই কাজটা করতে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।তলে তলে এক দুজন তাদের মেধাবস্তু পাঠ্য তালিকায় নিলেই আমাদের সৃষ্টি পাঠকের গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে যাবে যারা ভাবেন তারা আর যাই হোক এই অঞ্চলের সুচিন্তন আমি তা মনে করি না।তলে তলে সলতে চালালে হয়তো নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা যায় সাময়িক সময়ের জন্য।কিন্তু চিরকাল এভাবে সম্ভব নয়।তাই সমবেত প্রচেষ্ঠা হতে পারে বাংলা সাহিত্যেরই শুভপ্রদ।আমি বিশ্বাস করি আমাদের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাহিত্য প্রাক প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে পাঠ্য তালিকায় অচিরেই নেওয়া প্রয়োজন।আমাদের লেখক কবিরা কোন অংশেই কলকাতা থেকে,বাংলাদেশ থেকে মেধা কিংবা মননে কম নয়।সুতরাং হোক না পাঠ্য তালিকায় সংযোজন।এতে আমাদেরই লাভ।আমাদের শিক্ষার্থীরা জানবে আমাদের সৃষ্টিকে।তবেই আমরা একা যে  যুদ্ধ করছি এই অঞ্চলের প্রকাশনা জগতে তার অগ্রগতি সম্ভব।আসুন সমবেত প্রচেষ্টা হোক আমাদের সাহিত্যের বাতিঘর আলোকিত করার পদক্ষেপ।

শেষকথা
-------------

অসংখ্য ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে আন্তর্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন উৎসব :২০১৬ উদযাপনকে কেন্দ্র করে। পাশাপাশি বিতর্ক আছে হয়েছে তবুও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব এখনো ঘটে চলেছে ত্রিপুরার লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনে এই বিশ্বাস রাখি। 

বিদ্র:তথ্যগত অসংগতি লক্ষ হলে শুভাকাঙ্ক্ষীরা ধরিয়ে দেবেন আশা করি।

০৬:০৬:২০২০
সকাল:০৮:৫০মি
কুমারঘাট।

0 Comments