প্রায় প্রতিদিন এখন দিক ভ্রম হয়

গোবিন্দ ধর 

এই ধরো এক স্টেশনে নামতে চাই 
অথচ স্টেশন পেরিয়ে গেলেও 
মনে হয় আসিনি নিজের গন্তব্যে। 
বাড়ির পথ ভুলে কতদিন বেপথু পথিক হয়েছি।
প্রায় প্রতিদিন এখন দিক ভ্রম হয়।

দিকভ্রম নতুন কিছু নয়-ধরো আগরতলা বইমেলায় যাবো
বেরিয়েছি-না আমি সাইনসিটি ঘুরছি।ছবি হচ্ছি।

আগরতলায় আমার দিকভ্রম হর হামেশা হয়।
ধরো জি বি হাসপাতাল যাবো-নেমে গেলাম হেরিটেজ পার্ক।
রবীন্দ্র কানন যেতে পলোটাওয়ার ঢুকে গেলাম।
এক্কা পার্ক যেতে চলে গেলাম অক্সিজেন পার্ক।
হররোজ আই জি এম পুরোনো গেটে রাজু মেডিকেল 
খুঁজতে খুঁজতে হয়রান আমি।
আগরতলায় আমি পরিযায়ী পাখি। 
অথচ তোমাদের ঠেকে আমি অনাহূত। 
গোপনে চা খেয়ে চলে আসি বাউণ্ডুলে সময় নেই। 
আমন্ত্রণ উপেক্ষা করে যারা হোটেলে অতিথি আপ্যায়ণে গদোগদো 
তাদের মুখ থেকে কবেই মুখোশ আমি পাঠ সেরেছি
তথাপি বিশ্বাস করুন নেতাজী চৌমুহনী এলে,মনে হয়
সামনে দিল্লি নয়,আমার বাড়ি নয় 
নেতাজী তর্জনী তুলে বলে দিচ্ছেন সামনে তাকাও বৎস
এদিকে নয় আরো একটু সামনে গেলেই পেয়ে যাবে
পৌর নিগমের সার্টিফায়েট লিকার শোপ।
নেতাজী এতই নির্দয় মদের ঠেকের দিকে মাতালকে দিকদর্শন করালেও
আমার বাড়ি যাওয়ার পথ বাৎলে দেন না।
আমি দিকভ্রম বালক।
তোমার বাড়ি খুঁজতে খুঁজতে আমার বাড়ি চলে আসি।
আমার বাড়ি খুঁজতে খুঁজতে হয়রান। 
দিকভ্রান্ত নই মতাদর্শে অবিচল তবুও দিকভ্রমে ভুল স্টেশনে নেমে পড়ি প্রায়ই।

২৫:০৬:২০২৩
সকাল:০৬:৪৫মি
কুমারঘাট।

0 Comments