অনুভূতির টুংটাংগুলো || গোবিন্দ ধর
অনুভূতির টুংটাংগুলো
গোবিন্দ ধর
★
মিলন গোপন অক্ষর আকৃতির বাঁকানো ডিজাইন করা কক্ষে হয়।
★
কিসকর্ণার:গোবিন্দ ধর
কিসকর্ণার ভাবনা
--------------------------
ভালোবাসা মূহুর্তের আলোর বিস্ফোরণ
এখানে পরাধীন ভূখণ্ড নেই।
সবই নিজস্ব স্বাধীনতা থেকে
পরস্পর পরস্পরের নিকট যাবে
মিলবে একটু সময়।স্বাধীন রকম মিলবে।
কিসকক্ষ
-------------
কিসকর্ণারের কোনো ডরমিটরি নেই।
সবই স্যুইটরুম।প্রতিটি কক্ষের আলাদা আলাদা ডোর থাকবে।
অর্ডার বয় ভেতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
বাইরে ডোরবেল বাজালে ভেতর থেকে
একজন অর্ডার করবে :চিকেন মম
কিংবা কপি লস্যি অথবা চিকেন ললিপপ।
পরস্পর পরস্পরের নিকট যাবে,
মিলবে।চুমু খাবে।
সময়ানুবর্তিতা
--------------------
কিসকর্ণারের সময়ের বার থাকবে না।
প্রতিটি সময়কে ভাগ করে অর্থরাশি ঠিক করে দেওয়া থাকবে।
সময় ব্যবহার করা কপোত-কপোতী সিদ্ধান্ত নেবে।
কিসকর্ণারের মালিক সময় কেড়ে নিতে পারবে না।
শেষকথা
-------------
সময় খরচা শেষে দু'জন গোপন দরজার ছিটকিনি খুলবে
বেরিয়ে যাবে
দু'জন দু'জনের ঘরে-রিফ্রেশমেন্ট শেষে।
২৫:০৭:২০২৩
দুপুর:১২টা
ডেমছড়া।
★
আমি আমার বুকের ভেতর তোমাকেই চাই
★
সময় সংকেত :গোবিন্দ ধর
অসংখ্য আঁতেলেকচুয়াল
হুমড়াকুমড়োর আকাশে
আমি চৈতন্য ফেরিওয়ালা।
ভালোবাসা ফেরি করে করে
এখন আমিই দেউলিয়া
নাম চৈতন্য ফকিরওয়ালা।
লেখালেখি আমার বিষয় কি না
এসব জানি না
শুধু লিখি নিজেকেই।
অসম্ভব রকম মঞ্চ আয়োজিত
সকল উৎসব অনুষ্ঠানে
ব্রাত্য রেখেছি আমাকে আমিই।
অসংখ্য আমন্ত্রণ তুচ্ছতাচ্ছিল্যে
ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়েছি
আমি এক ভালোবাসার ভিখারিবালক।
সকল সৌজন্যতায় নিজেকে সমৃদ্ধ করি
নিকাট অহংকারীর পাছায় লাথি মেরে
কবেই উড়ে বেড়াই আমি বন্ধনহীন শালিক।
অনেক আগেই জেনেছি কবিতা আসলে
একাকিত্বের পরম সাধনা
বাকী সব হৈ-হুল্লোড় আর পিণ্ডি চটকানো।
আমাদের সকল সাধনায় উৎসব মুখ্য নয়
মুখ্য লেগে থাকা আর ক্রমশঃ আরো
একা একা সাধনায় একটু একটু এগুনো।
সফলতা তখন হাত ধরে বলবে
চলো কোথাও একটু ডেটিং সাইটে
ঘুরি আসা যাক কাছে দূরে।
মণিপুরের নগ্ন মা মেয়েরা লজ্জায়
মরে, মরে যাক তাতে কি
আমরা ঘুমাবো নিশ্চিত?
মালদা হোক আসাম হোক, হোক
প্রতিবেশী শিলচরে ধর্ষিত রাস্ট্র
মঞ্চের উৎসব তবুও ফেরায়নি সম্বিত!
২৬:০৭:২০২৩
রাত:১১টা৩০মি
লিচুবাগান, আগরতলা।
★
যোনীপথ নেচে ওঠে আমাকে আরো ডাকে আয় আয়
★
অঙ্কহীন জীবন সংগীত :গোবিন্দ ধর
আমি তো মরেই গেছি আট বছর বয়সে একা একা যখন রাতাছড়া উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে প্রথম ভর্তি হয়েছি
সেদিনের আগেই আমি মরে গেছিলাম।
তারপর উমেশ স্যারের বেত সঠিক বানান না জানা
খগেন্দ্র স্যারের বেতের পৎপৎ আওয়াজে।
তারপর দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী হয়ে
মরে গেছি মৃন্ময় স্যারের শাসনের মধ্যেই।
তৃতীয় শ্রেণিতে গৌরাচাঁদ কি শাসন না করলেন
চতুর্থ শ্রেণির গণিত আমার প্রিয় ছিলো
সহপাঠীদের খাতায় সরল অংক কষে স্যার নয় আমিই দিতাম
তবুও রমিজ স্যারের চোখ যখন মুদে আসতো
মনে হতো শ্রেণিকক্ষ নীরব নিস্তব্ধ
আমিই জেগে থাকি।
পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে কখনোই চাইনি
পুলকেশ স্যারের বেতের আওয়াজ
আজও কানে ভাসে আমার।
গণিতের ভয় আজও যায়নি,গণিতজ্ঞ হওয়া আর হলো না।
জীবনের প্রতিটি পর্বেই গণিতের ভয় মুক্ত হতে পারিনি।
অঙ্ক বরাবরই প্রিয় সাবজেক্ট ছিলো।
স্যারদের ভুল পদ্ধতি শাসন আর চিলচিৎকার
আমার গণিতপ্রীতি চলে গেছে
৬ষ্ঠ শ্রেণির বারান্দায় হুঁচট কম খাইনি।
তারপর থেকে গণিতে শূন্য আমি।
চিরকাল যোগ শিখলেও বিয়োগে অপটু আমি।
আমি তো কবেই যোগ করতে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এক সহজ শিক্ষক।
আমার প্রিয় সাবজেক্ট থেকে আড়ষ্ট আমি জবুথবু।
তোমাকে যোগ করি কোশল জানি
এও আমার যোগ থেকে যোগাযোগ হোক চাই, তাই।
তুমি যদি শূন্য বালকের টগবগে কৌতূহলে
মুখে পুরে দাও চাঁদ
আমি বাকী জীবন পূর্ণিমায় জেগে থাকবো
প্রহরে বিলিয়ে দেবো শুকতারা আকাশ।
এই না হলে আবারও হোঁচট আর খাবি খাবো
ইলিশ লাফানো পর্ণাপদ্মা জলে।
২৭:০৭:২০২৩
দুপুর:২:১৫মি
হাওড়া,কলকাতা।
★
এই কাম ও প্রেম মিশ্রিত হাস্যমুখ আমার থাকুক।
এরকম হাসি আর কারো সাথে দিও না,প্লিজ।
★
ইচ্ছে করছে কেউ একজন মাথায় হাত বুলিয়ে দিক।
★
হাতের মুঠোয় না চাই হৃদয়ের কোঠরিতে থেকো।আমাকেও হৃদয়ে রাখো।
★
কেন ডাকো?
মন ছুটে যেতে চায়
তোমার কাছে।
লোক ভয় এসে ঘিরে
মন প্রাণ বেধে রাখে
ভয় থাকে থাক পাছে।
★
যাবে?
যাবে তো চলো।
এক ঢেউ হই।
চলো
চলো না
মন কেড়ে নেওয়া সই।
★
আমি তো রাধারমণ
তুমি কৃষ্ণমোহন।
পরস্পর বাজি টুংটাং
ওগো মদনমোহন।
★
তোমার ভূকম্পন অঞ্চলে
আমি আত্মহারা।
তুমি যত জাগো
আমি তো আসি জামতাড়া
★
তুমি তো সমুদ্রই।তোমার সৈকতে দাঁড়ালে আমি বালুকণা। এসো আমি কাঁকড়াবিছে হয়ে লেগে থাকি তোমার যোনীকুম্ভে।
★
আমি তো সারারাত চাই সমুদ্রে জাহাজ হয়ে ভাসিয়ে দিই
★
আমি এরকম ফালতু প্রেমিক নয়
আমার প্রেম চিরন্তন
শুধু শারীরিকই নয়।
আমি মন ও হৃদয় থেকে প্রেম চাই
★
পাশাপাশি বর।
আমি শুধু তোমার জন্য
অপেক্ষায় অধীর।
★
তুমি কি আর আগের মতো শিউরে ওঠো না?
★
আমি তো আরো আরো বেশী করে টুংটাং বেজে যাচ্ছি
★
উপগ্রহ হতে আসিনি আমি
আমি গ্রহ হতে এসছি
★
উপগ্রহ মানে কাছে হলে গ্রহের উপগ্রহ। গ্রহ হলো সম্পূর্ণ।
★
আমি কারো সাথে না আমি আমিই
আমিই গোবিন্দ।
★
আমি আসলে লিখি
কবির শংসাপত্র পাওয়ার লোভে নয়।
লিখি আমাকে আমি ভালোবাসী
বলতে পারেন এ এক আত্মরমণ।
যদিও আমি রাধারমণ নয়
তবুও আমিই শ্রী শ্রী গোবিন্দ ১০৮।
★
আমার ভালো লাগে না।
এ কথা বললেই দিদিমণি আপনি
ক্লাস নিতে শুরু করেন।
অথচ বিলি কেটে একবার বললে না
এসো আমি আদর করছি তুমি শান্ত হও,ঘুমাও বুকে।
★
তবলাগুলো পাঠিয়ে বললে না
বাজাও,আমি বাজি।
আমি কি সে তবলা বাজাতে জানি?
তোমার তবলায় তা দিই,শুধু।
★
বন্ধু, এতদিন বন্ধু জানি।
মাঝে মাঝে, তুমি বন্দুক হলে
আমি আহত সৈনিক।
অথচ সহচর্য চেয়েছি আমি
মন্দে ও সৃজনে।
শুভেচ্ছা।
★
আসো এম বি বি কলেজ চত্বরে
প্রথম গেইট
আমি রাধারমণ হয়ে আসছি।
★
পরস্পর পরস্পরের ঠোঁট থেকে নদী খুঁজি :গোবিন্দ ধর
পরস্পর পরস্পরের ঠোঁট থেকে নদী খুঁজি।
খুঁজি কামসূত্র অভিধান।
বাৎসায়ন থেকে একটু চৌষট্টি কলা ধার নিয়ে নিরন্তর শ্রাবণ নামুক।
আরো একটু সময় করে লিখো
ভালোবাসার পাখিটি উড়ানের মুদ্রা
লিখো পায়রার চঞ্চুগুলো কিরকম
আউসধান খুঁটে খুঁটে খায়।
তেমনি একটু এগিয়ে এসো
পরস্পর পরস্পরের ঠোঁট থেকে
খুঁজে নিই আউসের দু'মাই।
৩০:০৭:২০২৩
বেলা:০১টা
কনারন।
★
দীর্ঘ পথ তোমার সেই যোনীপথের মতো।শেষ নোই।কেবল টানেল
★
স্পর্শে জেগে ওঠেন,বৃক্ষমানবী:গোবিন্দ ধর
আমিই সেই পুরুষ বারুজীবী।
কথিত ইতিহাসে লেখা আছে পূর্ব পুরুষেরা পানচাষী।
আমি সূত্রধর নয়,এ তথ্য পদবীর ইতিহাসে লেখা আছে।
কস্মিনকালেও পূর্বপুরুষেরা কাঠমিস্ত্রী নন।
এইসব জাতপাতের অন্ধকারে নিমজ্জিত নন
আমাদের পূর্বজ দীপরাম রতিরাম দেবেন্দ্রনাথ
এবং আমার বাবা দক্ষিণারঞ্জন ধর।
আমার বাবা বারুজীবী মানুষ।
পানচাষ করেননি কোনোদিন।
পূর্ব পুরুষের বাস্তুভিটায় পান চাষের চিহ্ন নেই।
বাংলাদেশের কোটারকোণা বাড়ি মিঞারপাড়া
বাড়ির সামনে কলকল প্রবাহিত মনু।
বাস্তুভিটার চারদিকে ধানের ক্ষেত।
কোথাও পানের বরোর চিহ্ন নেই।
দাদু দেবেন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়
মিঞারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এখনো
বাংলাদেশের কুলাউড়া উপজেলায়
শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে।
বড় রায়টের সময় দেবেন্দ্রনাথ ছেঁড়া মানচিত্র বগলে নিয়ে
এদেশে রাজধর মানিক্যের রাতাছড়ায়
বিনিময় শেষে আসেন।
এখানেও পানচাষী নন তিনিও।বাবাও।
তাদের উত্তর পুরুষ আমি শ্রী গোবিন্দ ধর
সামান্য শিক্ষক। পুরোহিত নয়।
তবুও বৃক্ষমানবী আমার স্পর্শে জেগে ওঠেন।
আমাকেও জাগিয়ে তোলে পুনরায় - ঊত্থান লেখেন
কি রকম সিঁড়ি ভাঙা সরল অঙ্ক কষতে হয়।
★
একজন মেয়ে মানুষকে বিশ্বাস করে
আমিই নিঃস্ব।
তাকে শুক্রাণু দিলাম।
আমার আত্মজা দিলাম।
তবুও সে রইলো না।
তোমাকে তো কিছুই দেওয়ার মতো নেই
তুমি কি করে আর থাকবে জানি না।
আমাকে স্বপ্ন দেখিও না।
স্বপ্ন আমার জীবনে প্রকৃতপক্ষে বাস্তব হয় না।
কত স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেলো।
কত প্ল্যান কার্যকর করা আমার হয়নি।
আমি জিরো পাওয়ার ব্লাব।
আমার আলোয় কেউ আলোকিত হয় না।
আমি সব স্বপ্নে এখন ভয় পাই
আৎকে উঠি।
কেউ আমার চারদিকে পরিক্রমা করে না
একদিক দেখেই শেষে আমাকে নিঃস্ব থেকে আরো নিঃস্ব করে
কোথাও হারিয়ে যায়।
আমার শতভাগ ভালোবাসাতেও শেষ অব্দি তুমিও কি আর শীতকাটা দেবে?
৩০:০৭:২০২৩
রাত:০৯টা৩০মি
★
সত্যি সত্যি তুমি শেষ অব্দি থেকে
যদি যাও এই-ই হবে
আমার প্রকৃত প্রেম, প্রকৃত নারী।
কোথাও মনের অসুখ থেকে পরিত্রাণ প্রার্থনা করতে করতেও
একজন মানুষ এসে বলেনি
কি চাও?
আমিও তাকে আদর করতে করতে বলতাম
শুধু ভালোবাসা চাই।
★
আমার শরীর যদি ঢুকিয়ে দেওয়া যেতো
তবে নাও তোমাকে দিলাম
★
শুধু মন তো ভরলে হয় না
শরীরও যে বস্তু
★
জড়িয়ে আদর করতে থাকো,ঝড় থেমে যাবে।
তারপর ভাত খাও।
ঘুমাও।
★
বৃষ্টি নামুক তোমার খাট জুড়ে।
★
আমি তো কষ্ট পেতেই জন্ম নেওয়া
আজন্ম অপ্রাপ্তি ভরা মানুষ।
★
কখন আবার আমার উষ্ণতা ঢেলে দেবো
তোমার উষ্ণ অভ্যর্থনায়।
★
তোমার টানেলের মতো এও এক সুদীর্ঘ পথ
ফাঁড়ি দিতে হবে কিন্তু আরো অনেক্ক্ষণ।
★
ঠোঁটের লিপস্টিক মেখে এসো না
ঠোঁট থেকে শুরু করে সব খাবো
খাও আমার সব খাও
মাথা খাও মুণ্ডটাও খাও।
খাও রাধারমণ দণ্ডও।
★
ডুবে যাবো যোনীনদীর জলে
পাগল করে আদর করো,হারিয়ে যাবো গভীররকম।
★
আমি এমনিতেই ভাঙা সেদিন যদি তুমি এরকম ছেড়ে দিতে তাহলে আমি সত্যি সত্যি মরে যেতাম।মনের গভীরে লুকানো শুধু তুমি।শুধু তোমার নূপুর বাজে আমার মিলনপল্লী।
★
এমন করে আর কেউ ভাসেনি
কাছে ডাকেনি
আদর খায়নি।
তুমি আমার শুধু আমার হও পর্ণা
শঙ্খলাগবো আমরা পরস্পর।
★
তোমার পেসিব আমার
স্তন আমার
শরীর আমার।
তোমার মন আমার
তোমার অর্গাজমের সময় যতটুকু আনন্দ পাও
তাও আমারই
আমিও তো তোমার।
★
নগ্ন ভারতবর্ষের কাপড় খুলে যে মানচিত্র হয়
আমি তোমার সুন্দর নোডশরীর দেখবো আর
আমার জন্য আঁকবো সঙ্গমের অনুশীলন।
★
আচ্ছা চেপে ধরে থাকবো
তখন স্তন চুষবো
খাবো আর আরো শক্ত করে রাখবো।
★
নৈঃশব্দেও বাজে তােমার স্বর
তুমিই নীরব জলের কলরব...
বুকের ভেতর ঢেউ খেলে যায় জল
তুমিই আমার কুজন কল্লোল।
★
এই পায়ে লেগে থাকা রক্তবীজ মনে হয়
আমার ও আমাদেরই।
এই রক্তক্ষরণ যদি আমরা টের না পাই
সেদিন থেকে শুরু হয় পতন।
★
আছি তোমার সাথে সাথে একজন মানুষ হিসেবে একজন প্রেমিক হিসেবে একজন হৃদয় হরণ করা মানুষের ভালোবাসা মূহুর্তের আলোর বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে শেষ অব্দি পৌঁছাতে চাই বলে।
★
তীব্র মিলন বাসনাই কবিতার উৎস
তীব্র বিরহ আর তীব্র কষ্ট
এক একটি দহন থেকে যখন ডিম্বাণু ছুটে বসে শুক্রাণুর নিকট
কবিতা তখনই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জন্ম নেওয়া উপশম।
★
জি বি বললেই রুদ্র হিল ফরেস্ট রিসোর্ট
তোমার শীতকাটা
আঙ্গুল আঙুলের নিকট কিরকম নেচে ওঠে টুংটাং
বারবার মনে পড়ে।
★
তুমি এসো চাদর হয়ে জড়িয়ে আদর করতে হবে।
এত শীত তুমি শীতকাঁটা দিয়ে উঠলে
আমি জড়িয়ে আদর খাবো।
★
মিলবো আর শায়ার টিপটিপ পড়বে
যেন বৃষ্টি যেন টাপুরটুপুর বৃষ্টি
পরস্পর পরস্পরের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ
থেকে বৃষ্টি নামিয়ে এনে ভিজবো।
★
সারারাত জেগে উঠবে সারেগামা শরীর
তুমি জ্যোৎস্না ঝরাও চাঁদের গুড়োয় ভিজবো।
আমাদের শীৎকারে জেগে উঠবে
দীর্ঘকাল ঘুমিয়ে থাকা কাঁকড়ের মৃৎপাত্র।
★
শরীর শরীর চায় আদর আদর করতে চায়।
শরীরের ভেতর আমায় নাও
ঘুমাও শরীর শরীরে নিয়ে।
★
মনে হয় না পৃথিবীর সব সুখ?
সব এসে এক বিন্দুসমুদ্রের জল
শিৎকার দিয়ে জলোচ্ছ্বাস সুনামি নিয়ে আসছে?
★
তুমি যখন আরো চেপে ধরো চেপে ধরো বলো
আমি তখন আর আমি থাকি না
আমি তুমি হয়ে যাই।
★
ও পাগলী,পাগলী তোমাকেই চাই
তুমি আমার ঢাকেশ্বরী।
তুমি আমার রুদ্র হিল।
তুমি আমার উড়ুক্কু।
তুমি আমার ভাইজাকের শিৎকার।
★
আমিও চাই
খুব চাই
বুঝো আমি
তোমাকেই চাই।
তুমি কাছে
না থাকলে
সব কেমন
দূরে সকলে
মনে হয়
আমি বড় একা
তুমিই আমার
হৃদয়ে আঁকা
শুধুই আমার
প্রিয়া হও,রাজি?
আমিও তো
তোমারই জন্য
অপেক্ষায় আছি।
খুব চাই
জঠিয়ে চুমু করি।
আর কিছু নয়
এজন্য বিরহে মরি।
এসো বুকে
থেকো অনপেক্ষ।
যেন বুজি, আমাকে
তুমি করছো সংরক্ষণ।
★
আয় বৃষ্টি আয়
টিপটিপ বৃষ্টি শরীর ছুঁই
তুমি ভিজে একসা।
মনে মনে পাঠাই মেঘ
তুমি অঝোর শ্রাবণ বর্ষা।
এসো দুজনই ভিজি
তুমি আরো একা একাকিত্বে ভিজো।
আমি চাই আকুল করে আদর নামাই
তোমার রিডে বাজুক ডিজো।
এসো আরো আরো আলিঙ্গনে
দু'জনেই ভিজে একসা হই।
বাঁধা ধরা রুটিন যাপন পেরিয়ে
আমরা তবুও পরস্পর হৃদয় ছুঁই।
মেঘলা মনের আকাশ থেকে
বৃষ্টি পাঠাও ভিজবো।
আয় বৃষ্টি আয় ঝমঝমিয়ে আয়
আমরা সমুদ্র শিৎকারে জাগবো।
০৪:০৮:২০২৩
বেলা:১২টা১৪ মি
নিমহান্স, ব্যাঙ্গালুর।
★
নাভিমণ্ডল উন্মুক্ত করে কোথায়
তুমি ঢাকেশ্বরী সি-বীচ?
আমাকে কক্সবাজার সুমুদ্রের লাল
কাঁকড়ার মতো ধরে রেখো
উন্মোচিত নাভির চারদিকে।
তার একটু নীচে প্রবাহিত স্রোতস্বিনী নদী।
★
যে নদীর নাব্যতায় আমি সাঁতার কেটে
পেরিয়ে যাবো কামলা জীবন।
★
চাঁদ কই
আমিই তোমার আকাশে আঁকছি
সুপারমুন।
★
ট্রেন মিথিলা এক্সপ্রেস
একদিন খুব ভোরবেলা এসো
ভোরবেলা খুব চাই।
একদিন শিউলী ঝরা সকালবেলা
তোমাকেই খুব চাই।
বহুদিন হলো সামনে বসে কফি
খাইনি দুজনেই।
এসো রুদ্র হিল ফরেস্ট রিসোর্ট
দুর্গাবাড়ি চা খাই।
কফি খেতে চেয়ে দেখি ঠোঁট কাঁপছে তোমার
বুক নামছে উঠছে।
অসতর্ক মুহূর্তে হঠাৎ দুজন দুজনের
হাতে হাত রেখে হাঁটছে।
তোমার কেঁপে কেঁপে ওঠে টুংটাং
লিপগুলো।
আঙুল এসে আঙুলে এত কথা বলে
বেশ কাটে দিনগুলো।
ভ্রুক্ষেপহীন ভ্রু উড়ে আসে মনে হয়
কাঁটাতার না মানা পাখি।
মিলনপল্লীর কুটুমবাড়ি নিশিদিন উন্মুক্ত রাখি।
আপেলের গাছটি তুমি, যত্নে রেখো
বাগান সমেত আপেল।
কোথাও চলো হারিয়ে যাই
ট্রেন মিথিলা এক্সপ্রেস, নো-ফেল।
৬:৮:২০২৩
ভোর:৫টা ৩৫মি
নিমহান্স, ব্যাঙ্গালুর।
★
আমার তবলা আমারই রেখো
বাঁয়ায় বোল তুলবো
ডায়েও।
আমি তেহাই জানি না
তা তা থই থই জানি না
তাধীন ধীন জানি না
আমি শুধু বোল জানি সঠিক তালে
সুর লাগুক লাজুকলতায়।
৩১:০৭:২০২৩ -০৬-০৮-২৯২৩
জামতাড়া,ঝাড়খণ্ড থেকে
জলেরপট্টাাই,ব্যাঙ্গালুর
ভোর:৫টা ৩৫মি
নিমহান্স, ব্যাঙ্গালুর।
0 Comments