দ্রোহব্রীজ এক পঙক্তির আত্মবিষ ||গোবিন্দ ধর
দ্রোহব্রীজ
এক পঙক্তির আত্মবিষ
স্রোত প্রকাশনা
মূল্য :১৫০্
উৎসর্গ
'নৈঃশব্দ্যই পৃথিবীর মাতৃভাষা'
পাবলো নেরুদা
এবং
মানবর্দ্ধন পাল
মধুমঙ্গল বিশ্বাস
তৈমুর খান
কথাপৃষ্ঠা :এক
কবিতা আঙ্গিকে ও অন্তরে অনেকরকম। ভাবের বহুমাত্রিকতায় কবিতা এক অঙ্গেই-যে কত রঙিনাযুত হীরকজ্যোতি ধারণ করে তা-ও বর্ণনাতীত। এক অপার-অতল বিস্ময়বিভার নাম কবিতা। কখনো একটি শব্দ-মাধুরি, একটি উপমা, একটি চিত্রকল্প, একটি প্রতীক কিংবা শুধু একটি বাকপ্রতিমাই সার্থক কবিতা হয়ে ওঠে। কেন না, শব্দ ব্রহ্মতুল্য।
বহু সর্গে বিভক্ত মহাকাব্য যেমন একটি কবিতা তেমনই 'ঈশ্বর হলেন অগ্নি, যিনি এই হৃদয়ে থাকেন।'-- এই একটি পংক্তিও পূর্ণাঙ্গ কবিতা। বিশেষ স্টাইলে শব্দ সাজিয়ে চিত্রল কবিতা বিনির্মাণ যেমন প্রাচীন একটি চৈনিক ধারা তেমনই তিন পংক্তির অন্ত্যমিলযুক্ত 'হাইকু' জাপানি কবিতার একটি বৈশিষ্ট্য। এমন বিচিত্রবিধ রূপায়ণ লক্ষিতব্য বিশ্বকাব্যমঞ্চে।
বাংলা কবিতায় তেমনই চমক-জাগানো একটি ধারা-- এক পংক্তির কবিতা। বিচ্ছিন্নভাবে তেমন সৃষ্টি কেউকেউ করেছেন কিন্তু এক পংক্তির শতেক কবিতা দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কবিতার বই বাংলা ভাষায় উভয় বঙ্গে হয়েছে বলে আমার জানা নেই। রবীন্দ্রনাথের অনু কবিতার সংকলন 'কণিকা'র কথা মনে রেখেও বলব, গোবিন্দ ধরের 'দ্রোহবীজ' এখানে একক ও অনন্য। মহাকাল বিচার করবে এর শিল্পসাফল্য। পাঠকপ্রিয়তা নির্ণয় করবে এর নান্দনিকতা। কালের খেয়া নির্ধারণ করবে তার পারানির মূল্য। প্রেম ও দ্রোহের আলকেমি এবং জীবন-জগতের শিল্প-রসায়নের প্রকাশ অণু পরিমাণ হলেও তা থেকে অগ্নিগিরির শিল্পলাভা উদ্গীরণ হতে পারে। গোবিন্দ ধরের 'দ্রোহবীজ' সেই আশার আকর।
মানবর্দ্ধন পাল
অতিথি অধ্যাপক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ।
#
কথাপৃষ্ঠা :দুই
এক পঙক্তির দ্রোহবীজ অন্তরীক্ষীয় বিমোচন
এক পঙক্তির ৭৫ টি কবিতিকা নিয়ে কবি গোবিন্দ ধরের এই ‘দ্রোহবীজ এক পঙক্তির আত্মবিষ’। জীবনের অন্তরায়, বহুমুখী প্রজ্ঞা, আত্মদ্রোহ এবং বিচ্যুতির এক সংবেদ্য সংকলন বলা যায়। কবিতিকাগুলিতে লক্ষ করা যায় কথিত ও অকথিত এক স্বয়ংক্রিয় যাপনের ঘোরে কবির অবারিত হওয়া। চলনে বলনে নিজ অভিজ্ঞতাকে স্পষ্ট করে তোলা।
বাংলা কবিতা নিয়ে এত পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়ে চলেছে যে, বর্তমানে তা প্রতিমুহূর্তে একটি রূপান্তর শিল্প বলা যায়। জীবনের দ্রুততা, শূন্যতা, অনিশ্চিন্ততা, ভঙ্গুরতা, কঠোরতার সম্মুখীন হতে হয় কবিকেও। স্বাভাবিকভাবেই মহাকাব্যের সামুদ্রিক বিন্যাসে তাঁর অবগাহন প্রায় অসম্ভবই বলা চলে। তখন গীতিকাব্যের উচ্ছল ধারায় চুম্বকীয় কয়েক ফোঁটা ক্ষরণ ও গলনের শব্দ নির্গত হয়। বক্তব্যের আস্ফালন সেখানে থাকে না। গুরুগাম্ভীর ছান্দিক গর্জনও প্রশ্রয় পায় না। অন্তরীক্ষীয় বিমোচনে উপলব্ধির সূক্ষ্ম রশ্মি বেরিয়ে আসে। তা নৈঃশাব্দ্যিক আত্মচারী অন্তরাল গূঢ়তায় ছিন্ন ও ক্ষিন্ন মেদুরতা নিয়ে জেগে ওঠে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ভাষাহীন শূন্যতার আয়োজনে অলিখিতই থেকে যায়।
দীর্ঘদিন কাব্য চর্চা করে আসা কবি গোবিন্দ ধরের এই এক পঙক্তির কবিতিকাগুলি এভাবেই আহরণ করেছে এক একটি আত্মিক চেতনার পর্যায়। ‘নিজের ছায়ার কাছে নিজেই আমরা খাটো’, অথবা ‘পাখিটি গান শেখাতে এসে গান হয়ে গেলো’ এরকম পংক্তি দিয়ে কাব্যের শুরু করে ‘জীবনের শহর থেকে ঝরে পড়ে নকল ইট’, ‘নিদ্রাকাতর নির্ঘুম সময়ের চোখ’, ‘মরীচিকাময় জীবন’ ইত্যাদি সবই এসে ধরা দিয়েছে।আত্মস্থিত দার্শনিকবোধ থেকে সময় ও জীবনচেতনার নানা স্তরে কবি বিচরণ করেছেন। ‘দ্রোহবীজ এক পঙক্তির আত্মবিষ’ এখানেই যেন তার বিনাশ ও জন্মান্তরের পরিধি রচনা করেছে।
-- তৈমুর খান,রামপুরহাট,পশ্চিমবঙ্গ
দ্রোহব্রীজ
এক পঙক্তির আত্মবিষ
#
নিজের ছায়ার কাছে নিজেই আমরা খাঁটো।
#
ভাগ না হলে অনুপ্রবেশ থাকতো না।
#
নিজের কম হলেই মনে হয় কম।
#
অনন্ত অপেক্ষার পর যা পেলাম,তা কি চাই?
#
কিছুই পাই না তবু অনন্ত কাল খুঁজি ।
#
সব সঙ্গম যৌনতা নয় ।
#
আচরণ থেকে বোঝা কঠিন,মানুষ ।
#
কষ্ট করেও কিছু কিছু সিম্পটম ধরা যায় না।
#
কেবল অনুমান করা যায় ।
#
কোন কিছুই কিছুই নয়।
#
ধীরে সকল প্রিয় অচেনা গ্রহের দিকে হারিয়ে যায়।
#
মেধার ভেতর গোপন ঘাতক অস্ত্র শান দেয়।
#
মেধাবীঘাতক।
#
মন খারাপ হলে আকাশ একমাত্র ভরসা।
#
রাই
#
ছুঁয়ে দিলেই আমি কৃষ্ণতরল।
#
পদ্যলেখা
#
নিজেকে হত্যা করার আনন্দই আলাদা।
#
প্রেম
#
ছলনার কী আছে,মেখেছি চাঁদেরকণা।
#
মন্ত্রলেখা
#
কবিতা আসলেই হত্যাপ্রবণ ভূস্বর্গ।
#
প্রেম
#
প্রতিটি মুহূর্তই কৌটোয় রেখো দেওয়া চাঁদের ভগ্নাংশ।
#
স্রোতস্বী
#
নদির মতোই আপনি একটি কবিতা।
#
ব্রা
#
হুগ খুলতে রক্তাক্ত করে অসতর্ক সেপ্টিপিন।
#
সাপলুডো
#
জীবন শুধু সাপলুডো খেলা।
#
একলাইনার
#
আনন্দবিন্দুতে যে ফসল থাকে তারই চাষ বারোমাস।
#
জীবনের শহর থেকে ঝরে পড়ে নকল ইট।
#
পাখিটি গান শেখাতে গিয়ে গান হয়ে গেলো।
#
হারমোনিয়াম-রিড থেকে ঝরে পড়ে নুনজল।
#
ছবিমুড়ায় মায়াকীয়া মায়াপাহাড়।
#
নিদ্রাকাতর নির্ঘুম সময়ের চোখ।
#
সুরের মুর্ছায় অনন্তশায়নে যায় প্রিয়ফুল।
#
এক একটি রিডের ভেতর ঘুমপরি অচেতন।
#
গানের শ্রাবণ তুমি মায়ামেঘ।
#
শ্রাবণ জুড়ে পদ্মার মনসামঙ্গল।
#
কৃষ্ণনগর
#
অসুস্থ মানুষের শহর কৃষ্ণনগর।
#
এ দেশ মৃ্র্ত্যুর আগে স্বীকৃতি দেয় না।
#
অন্যশহর
#
অসংখ্য মানুষের ভীড়ে নিজেই অরণ্য ।
#
এতোফুল সব বাসি হয়ে যায়।
#
ভালো কাজ মানে ঝাঁড়াই বাছাই।
#
এখন অব্দি কেউ পিঠ চুলকে দেয়নি। চাইওনি। ইচেছও নেই।
#
প্রাপ্যটা চাই। দয়া নয়। দাক্ষিণ্যও না।
#
পৃথিবীর মানচিত্র থাক কিন্তু দেশ না।
#
প্রেম আর মানচিত্রে মুখবইয়ের পৃ্ষ্টাগুলো জ্বলজ্বল করে।
#
কেউ পিঠ চুলকে দেয়নি। চাইওনি। ইচ্ছেও নেই।
#
এতোফুল সব বাসি হয়ে যায়।
#
পদ্যচূর্ণ
#
দিনে দিনে মানুষ সুন্দর হয় চাঁদ লাগে মুখে।
#
তুমি
#
ছুঁয়ে দিলেই আমি কৃষ্ণ হয়ে যাই।
#
ধ্রুবপাঠ
#
এবং তার শরীরে চাঁদ আসতেই সে জলে মিশে গেলো।
#
মরীচিকাময় জীবন!
#
কর্ণফুলী
#
সূর্য এসে ডুবে গেলো হাতের তালুতে,সেদিন।
#
এবং তার শরীরে চাঁদ আসতেই সে জলে মিশে গেলো।
#
ছুঁয়ে দিলেই আমি কৃষ্ণতরল।
#
রেখাচিত্র
#
কর্মই প্রমাণ করে কে কার আপনজন।
#
রেখাচিত্র
#
কর্মই প্রমাণ করে কে কার আপনজন।
#
প্রেম
#
ছলনার কী আছে,মেখেছি চাঁদেরকণা।
#
পদ্যলেখা
#
নিজেকে হত্যা করার আনন্দই আলাদা।
#
মন্ত্র
#
হত্যাপ্রবণ এই ভূস্বর্গ।
#
পদ্যলেখা
#
নিজেকে হত্যা করার আনন্দই আলাদা।
#
প্রেম
#
ছলনার কী আছে,মেখেছি চাঁদেরকণা।
#
মন্ত্রলেখা
#
কবিতা আসলেই হত্যাপ্রবণ ভূস্বর্গ।
#
প্রেম
#
প্রতিটি মুহূর্তই কৌটোয় রেখে দেওয়া চাঁদের ভগ্নাংশ।
#
স্রোতস্বী
#
নদির মতোই আপনি একটি কবিতা।
#
আনুয়ারা একটি নদী ও মেয়ে।
তার শিৎকার শুনি মাঝরাতে।
#
একলাইনার
#
মন খারাপ হলে আকাশ একমাত্র ভরসা।
#
রাই
#
ছুঁয়ে দিলেই আমি কৃষ্ণতরল।
#
সাতটি তারার আলো
#
পদ্যলেখা
#
নিজেকে হত্যা করার আনন্দই আলাদা।
#
প্রেম
#
ছলনার কী আছে,মেখেছি চাঁদেরকণা।
#
মন্ত্রলেখা
#
কবিতা আসলেই হত্যাপ্রবণ ভূস্বর্গ।
#
প্রেম
#
প্রতিটি মুহূর্তই কৌটোয় রেখে দেওয়া চাঁদের ভগ্নাংশ।
#
স্রোতস্বী
#
নদীর মতোই আপনি একটি কবিতা।
#
সাপলুডো
#
জীবন শুধু সাপলুডো খেলা।
#
একলাইনার
#
আনন্দবিন্দুতে যে ফসল থাকে তারই চাষ বারোমাস।
#
জীবনের শহর থেকে ঝরে পড়ে নকল ইট।
#
পাখিটি গান শেখাতে গিয়ে গান হয়ে গেলো।
#
হারমোনিয়াম-রিড থেকে ঝরে পড়ে নুনজল।
#
ছবিমুড়ায় মায়াকীয়া মায়াপাহাড়।
#
নিদ্রাকাতর নির্ঘুম সময়ের চোখ।
#
সুরের মুর্ছায় অনন্তশায়নে যায় প্রিয়ফুল।
#
এক একটি রিডের ভেতর ঘুমপরি অচেতন।
#
গানের শ্রাবণ তুমি মায়ামেঘ।
#
শ্রাবণ জুড়ে পদ্মার মনসামঙ্গল।
#
অসুস্থ মানুষের শহর কৃষ্ণনগর।
#
অন্যশহর
#
অসংখ্য মানুষের ভীড়ে নিজেই অরণ্য ।
#
মরীচিকাময় জীবন!
#
কর্ণফুলী
#
সূর্য এসে ডুবে গেলো হাতের তালুতে,সেদিন।
#
একলাইনার
#
মন খারাপ হলে আকাশ একমাত্র ভরসা।
#
রাই
#
একলাইনার
#
আনন্দবিন্দুতে যে ফসল থাকে তারই চাষ বারোমাস।
#
জীবনের শহর থেকে ঝরে পড়ে নকল ইট।
#
পাখিটি গান শেখাতে গিয়ে গান হয়ে গেলো।
#
হারমোনিয়াম-রিড থেকে ঝরে পড়ে নুনজল।
#
ছবিমুড়ায় মায়াকীয়া মায়াপাহাড়।
#
নিদ্রাকাতর নির্ঘুম সময়ের চোখ।
#
সুরের মুর্ছায় অনন্তশায়নে যায় প্রিয়ফুল।
#
এক একটি রিডের ভেতর ঘুমপরি অচেতন।
#
গানের শ্রাবণ তুমি মায়ামেঘ।
#
শ্রাবণ জুড়ে পদ্মার মনসামঙ্গল।
#
অসুস্থ মানুষের শহর কৃষ্ণনগর।
#
এক লাইনার
#
অপেক্ষা দীর্ঘতর হলে লাফিয়ে ওঠে জ্বর।
#
সময়ই প্রকৃত কালখণ্ড বাকি সব পাখি সব।
#
উপর উপর চালাকি হয় বরাহমিহির জানে।
#
অচল নোটের চেয়ে ভয়ঙ্কর কালোবাজারী।
#
মায়াকান্না সাহিত্য নয়।
#
ঠিকেদারি সাহিত্য নয়,চানক্যের ঐক্য।
#
সকলেই ফিরতে চায়,ফেরা সহজ নয়।
#
আমি এলেই তুমি চলে যাও?
#
অন্যশহর
#
অসংখ্য মানুষের ভীড়ে নিজেই অরণ্য ।
#
মরীচিকাময় জীবন!
#
কর্ণফুলী
#
সূর্য এসে ডুবে গেলো হাতের তালুতে,সেদিন।
#
একলাইনার
#
মন খারাপ হলে আকাশ একমাত্র ভরসা।
#
রাই
#
ছুঁয়ে দিলেই আমি কৃষ্ণতরল।
#
একলাইনার
#
আনন্দবিন্দুতে যে ফসল থাকে তারই চাষ বারোমাস।
#
জীবনের শহর থেকে ঝরে পড়ে নকল ইট।
#
পাখিটি গান শেখাতে গিয়ে গান হয়ে গেলো।
#
হারমোনিয়াম-রিড থেকে ঝরে পড়ে নুনজল।
#
ছবিমুড়ায় মায়াকীয়া মায়াপাহাড়।
#
নিদ্রাকাতর
#
সুরের মুর্ছায় অনন্তশায়নে যায় প্রিয়ফুল।
#
এক একটি রিডের ভেতর ঘুমপরি অচেতন।
#
গানের শ্রাবণ তুমি মায়ামেঘ।
#
শ্রাবণ জুড়ে পদ্মার মনসামঙ্গল।
#
অসুস্থ মানুষের শহর কৃষ্ণনগর।
#
যাপনপাঠ
#
জীবনের শহর থেকে ঝরে পড়ে নকল ইট।
#
ভুল
#
ভুল থেকে জন্ম নেয় ঘুরে দাঁড়াবার আবিস্কার।
#
মন্ত্রলেখা
#
কবিতা আসলেই হত্যাপ্রবণ ভূস্বর্গ।
#
ভালোবাসতে হৃদয় লাগে অঙ্ক লাগে না।
#
ক্লিওপেট্রা
#
আপনার চোখ আকৃষ্ট বাতাস ছড়ায়।
#
চোখের মণি কথা বলে ইশারায়।
#
বাজাতে চেয়েছিলাম,নিজেই বেজে উঠে হারমোনিয়াম।
#
উচ্চারণের জড়তা কাটাতে পড়ি অ আ ক খ।
#
ভ্রমন
#
জমিনে পুঁতে রাখি সম্ভাবনাবীজ।
#
কচিকচি গাছ বেড়ে উঠলে চেয়ে থাকি অনন্তসময়।
#
রাধিকারা অপেক্ষা জানে না।
#
ধর্ম তরল মোশন এক্সেলেটর ডাবালে ব্রেক ফেল করে।
#
দুর্যোধনের উরু এক সময় নিশ্চিত ভেঙে পড়ে।
#
অন্তত ঘুম থেকে জাগা মানে পুনঃবার মৃত্যু অনিবার্য।
#
চৌকাট কখনোই কাঠগোলাপের কাঠের তৈরী নয়।
#
আনোয়ারা পুরুষের প্রতি ঘৃণা ছুড়ে দেওয়া প্রতিবাদ।
#
রাত জাগা সব পাখি হামিংবার্ড নয়।
#
যুদ্ধ আমদানি রপ্তানির এক্সপার্ট ইনপোর্ট।
#
বন্ধু শব্দটির বিপরীত শব্দ শত্রু।
#
মানুষ বিস্ময়কর প্রাণের সমষ্টি।
#
ভূগোল
#
মানুষই ভূখণ্ডকে গণ্ডীর মধ্যে রাখার কৌশল।
#
ভণ্ডরা নেশা করে আড়ালে।
#
মানুষ পদার্থবিদ্যার জটিল রসায়ন।
#
কবিতার শ্রেণি বিন্যাসে শরীরবৃত্তীয় একটি।
#
সংকট এলে কবিতা ও অকবিতা ভাগ হয়ে যায়।
#
বন্ধুরাই প্রকৃত বন্দুক।
#
আনোয়ারা
#
সেই নদী ও মেয়ের জলোচ্ছ্বাস শুনি,মাঝরাতে।
#
রাই
#
ছুঁয়ে দিলেই তুমি কৃষ্ণতরল।
#
সফলতা আসলে অসুখ।
#
অসুখ পতনের শেকড়।
#
অনন্ত প্রতীক্ষার পর শীতকাল আসে।
#
প্রকৃতপক্ষে কেউ রিফিউজি নয়।
#
দেশ আসলে রাজনৈতিক দাদাদের তৈরী সীমানা।
#
আকাশের জিরো পয়েন্ট নেই।
#
উচ্চতায় উঠতে পাসপোর্ট ভিসা লাগে না।
#
মহাশূন্যে দেশকাল ও মানচিত্র নেই।
#
একাকিত্ব এক গভীর অসুখ।
#
একাকিত্ব মগজ অব্দি যার বিষন্নতা।
#
দীর্ঘরাত অব্দি ঘুম আসেনি।
#
কাল সারারাত আর ঘুম হয়নি।
#
সজাগ স্বপ্নের অদ্ভুত তাড়া।
#
শীতকাতর অসম্ভব মায়াতাড়িত শব্দ ।
#
মহাশূন্যে দেশকাল নেই।মানচিত্রও নেই।
#
রংচঙ উঠে গেলে প্রতিটি সম্পর্কই ভুল জ্যামিতি।
#
একাকিত্বও গভীর অসুখ মগজ অব্দি যার বিষন্নতা।
#
অপেক্ষায় হাট করে খুলে রাখি হৃদয়দরজা।
#
আত্মরব
#
যেভাবেই ফুসেন বিষ বিষ-ই।
#
নিজেকে নির্বিষ করি যতটা সম্ভব
#
করাতিগ্রাম
#
পাখিদের হৃদয়কাটছে শঙ্খবণিকের করাত।
#
শর্ত সাপেক্ষ আত্মসপর্নই প্রেম।
#
অসংখ্য বুদবুদের মাঝে মহাশূন্যও বুদবুদ।
#
শূন্য থেকে শুরু শূন্যে সবই শেষ।
#
মহাশূন্য আসলে গভীর কৃষ্ণগহ্বর।
#
অনন্ত ভ্রমণ শেষে আমিই চৈতন্য ফকির।
#
গান লিখে জেনেছি সুর দেওয়া লোকগুলো অশ্লীল মুখোশ।
#
সংকট ও সংসয় থেকেই কবিতার জন্ম।
#
রাধারমণ
#
ছুঁয়ে দিলেই তুমি কৃষ্ণতরল।
#
একলাইনার
#
মন খারাপ হলে আকাশ একমাত্র ভরসা।
#
রাই
#
ছুঁয়ে দিলেই আমি কৃষ্ণতরল।
#
পদ্যলেখা
#
নিজেকে হত্যা করার আনন্দই আলাদা।
#
প্রেম
#
ছলনার কী আছে,মেখেছি চাঁদেরকণা।
#
মন্ত্রলেখা
#
কবিতা আসলেই হত্যাপ্রবণ ভূস্বর্গ।
#
প্রেম
#
প্রতিটি মুহূর্তই কৌটোয় রেখো দেওয়া চাঁদের ভগ্নাংশ।
#
সাপলুডো
#
জীবন শুধু সাপলুডো খেলা।
#
আনন্দবিন্দুতে যে ফসল থাকে তারই চাষ বারোমাস।
#
জীবনের শহর থেকে ঝরে পড়ে নকল ইট।
#
পাখিটি গান শেখাতে গিয়ে গান হয়ে গেলো।
#
হারমোনিয়াম-রিড থেকে ঝরে পড়ে নুনজল।
#
ছবিমুড়ায় মায়াকীয়া মায়াপাহাড়।
#
নিদ্রাকাতর নির্ঘুম সময়ের চোখ।
#
সুরের মুর্ছায় অনন্তশায়নে যায় প্রিয়ফুল।
#
এক একটি রিডের ভেতর ঘুমপরি অচেতন।
#
গানের শ্রাবণ তুমি মায়ামেঘ।
#
শ্রাবণ জুড়ে পদ্মার মনসামঙ্গল।
#
অসুস্থ মানুষের শহর কৃষ্ণনগর।
#
তোমার আনন্দপুর অব্দি আমার সকাল।
#
সাবাস বলে দিও একটু কাতুকুতু দিলে।
0 Comments