প্রকাশনা মঞ্চের নাম পরিবর্তন করে অল ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ড করার প্রস্তাব
প্রকাশনা মঞ্চের নাম পরিবর্তন করে
অল ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ড করার প্রস্তাব
প্রকাশনা মঞ্চ প্রতিষ্ঠা
প্রকাশনা মঞ্চ উত্তর-পূর্ব ভারত প্রকাশনা পরিষদ নামে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল ২০ অক্টোবর ২০১৮ সালে। ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে নাম পরিবর্তন করে হয় ত্রিপুরা প্রকাশনা মঞ্চ। ২০২১ সালে ত্রিপুরা সরকারের সোসাইটি আইনের আওতায় প্রকাশনা মঞ্চ নামে সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত আমরা।
উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
ত্রিপুরায় প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনার পাশাপাশি সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়। লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকদের নিজস্ব চিন্তায় তা থেকে অনিয়মিত হলেও বইপত্র প্রকাশিত হয়। লিটল ম্যাগাজিন আমাদের সাহিত্যের মূল সলতে পাকায়। সেজন্য আমারা লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদক ও লিটল ম্যাগাজিন ভিত্তিক প্রকাশনায় যুক্ত প্রকাশকদের এক ছাতার নীচে আনার লক্ষ্যে প্রকাশনা মঞ্চ গঠন করতে হয়। লিটল ম্যাগাজিন ও লিটল ম্যাগাজিনকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে প্রকাশনায় পদচারণা করতে আমাদের সমস্যা থেকে উত্তরণ বিষয়ে ভাবনার লক্ষ্যে আমাদের সংস্থাটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি যারা বই পত্র প্রকাশ করতে ইচ্ছুক সেই সকল লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকদের বই প্রকাশ সহজ করতে নানাভাবে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে সংস্থা কাজ করবে। বইকে শিল্পের জায়গায় পৌঁছাতে আমরা আমাদের কাজকর্ম করে এগিয়ে যাব। আমাদের দাবি দাওয়া নির্বাচিত সরকার ও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের গোচরে নিয়েও সমস্যা সমাধানের প্রয়াস জারী রাখব আমরা।
সংক্ষিপ্ত কাজকর্ম
(ক)১৪ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর ২০২১ সালে প্রথম তিনদিনের লিটল ম্যাগাজিন ও গ্রন্থমেলা আয়োজন করে প্রকাশনা মঞ্চ আগরতলার স্টুডেন্ট হেলথ হোমে। (খ)৮ জানুয়ারি ২০১২ সালে জেলাভিত্তিক লিটল ম্যাগাজিন ও গ্রন্থমেলা আয়োজন করে প্রকাশনা মঞ্চ।
(গ)৫ এপ্রিল ২০২২ আগরতলা বইমেলায় আশগ্রহণও করে প্রকাশনা মঞ্চ। তখন শংসাপত্রও পেয়েছে প্রকাশনা মঞ্চ।
(ঘ)গত ২২ অক্টোবর ২০২২ দু-দিন ব্যাপী দ্বিতীয় ত্রিপুরা লিটল ম্যাগাজিন ও গ্রন্থমেলা আয়োজন করা হয় ভগৎ সিং যুব আবাসে। এতে উপস্থিত ছিলেন উপমহাদেশের অহংকার কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন মহোদয়া ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খান মহোদয়।
(ঙ) ২৭-২৮ মে ২০২৩ সালে আগরতলায় আয়োজন হয় দু-দিনব্যাপী তৃতীয় ত্রিপুরা লিটল ম্যাগাজিন ও গ্রন্থমেলা। সাথে বাংলাদেশ ত্রিপুরা বই উৎসব। লেখক সমাবেশও উযাপন হয়। উদ্বোধনের জন্য উপস্থিত থাকেন কমলেশ দাশগুপ্ত, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, চট্টগ্রাম লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র, ৩৯, মহিশ দাশ রোড, চট্টগ্রাম ৪০০০৫
(চ)অক্টোবর ২০২৩ সাংগঠনিক সভা ও স্মরণ সভার আয়োজন হয়।এতে লিটল ম্যাগাজিন ও সাহিত্যের নানা বিষয়ে প্রয়াত( সন্দীপ দত্ত, চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং,প্রদীপ সরকার, মলয় রায়চৌধুরী, অপূর্ব দত্ত) দের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অল ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ড
৪২ আগরতলা বইমেলায় প্রকাশনা মঞ্চ স্টল পাওয়ার
জন্য আবেদন করা হয়েছিলো।কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি গ্রহণ করেননি।দপ্তরের আধিকারিক মৌখিকভাবে আমাদের জানিয়েছেন আমরা নাকি লিটল ম্যাগাজিন। আগরতলা বইমেলার স্টল বিতরণ কমিটি ভুল বুঝিয়েছেন দপ্তরকে। আমরা এই বিষয়টির প্রতিবাদ করেছি।পত্র পত্রিকায় সংবাদ হয়েছে আমাদের প্রতিবাদ ও দাবি। অথচ আগরতলা বইমেলায় একটি লিটল ম্যাগাজিনকে প্রতি বছর শ্রেষ্ঠ পুরস্কার প্রদান করার আমাদের দাবি গ্রহণ করে লিটল ম্যাগাজিনকে গর্বিত করেছেন কর্তৃপক্ষ।আমরা ২০২১ সালেও আগরতলা বইমেলায় স্টল প্রদান করতে পেরেছিলাম। কিন্তু আমাদের দাবি ছিলো আগরতলা বইমেলার বিভিন্ন কমিটিতে যুক্ত করতে হবে প্রকাশনা মঞ্চ-কে।ঠিক এই জায়গায় অন্যান্য পাবলির্শাস এসোশিয়েশন ও গিল্ড তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বেড়ে যাচ্ছেন হয়তো ভেবেছেন।আর এ জন্য তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরকে ভুল বুঝালেন প্রকাশনা মঞ্চ নাকি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকদের একটি সংগঠন।হয়তো এ জন্য আগরতলা বইমেলার প্রস্তুতি কমিটিতে যুক্ত করা হবে না শুধুমাত্র প্রকাশনা মঞ্চ নাম থাকার জন্য । আমরা এই জায়গায়ও প্রতিবাদ করেছি।কলকাতার একজন এডভোকেট অশ্রুকুমার বসু মহোদয়কে দিয়ে আর টি আই করেছে প্রকাশনা মঞ্চ । পাশাপাশি এডভোকেট অশ্রুকুমার বসু, কলকাতা মহোদয় আমাদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন সংস্থাটি এমেন্ডমেন্ড করে প্রকাশনা মঞ্চ থেকে অল ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ড করার জন্য। উনার পরামর্শে প্রকাশনা মঞ্চ থেকে এমেন্ডমেন্ড করার জন্য আইনগত প্রসেস শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ট্রেডমার্ক রেজিষ্ট্রেশন সম্পূর্ণ হয়েছে। ভারত সরকার থেকে আমরা সেন্টাল রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত হয়েছি।জি এস ডি, পেনকার্ড,টেন কার্ড,এফ আর সি রেজিষ্ট্রেশন এবং ৮০-জি এবং ১২ -এ প্রাপ্ত হয়েছি।ত্রিপুরা সরকারের সোসাইটি রেজিষ্ট্রেশন দপ্তর থেকে আমরা এমেন্ডমেন্ড পাওয়াও সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আগামী দিন আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের এন জি ও ফাণ্ড থেকে আমাদের কাজের সাথে মিলে এমন ফাণ্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবো।পাশাপাশি আমরা নানা রকম কর্মশালা,কপি রাইট আইন কর্মশালা পরিচালনা করতে ফাণ্ডের জন্য আবেদন করতে পারবো। সবগুলোই এডভোকেট অশ্রুকুমার বসু কর্তৃক পরামর্শের নিরিখে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি এও আমাদেরকে মোটামুটি নিশ্চিত করেছেন যেহেতু প্রকাশনা মঞ্চ সম্পর্কে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে বসে আছেন সুতরাং এমেন্ডমেন্ড খুব জরুরি ।
সকলের নিকট বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।আপনাদের মতামত ও পরামর্শে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখন থেকে আমাদের প্রকাশনা মঞ্চ নাম পরিবর্তন করে অল ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ড নামে কাজকর্ম পরিচালনা করতে। সকলের অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি অল ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ড নাম ব্যবহার আইনত আর কোন অসুবিধা নেই।
০৬:০৩:২০২৪
0 Comments