একগুচ্ছ গোবিন্দ ধর 
কালখণ্ড :৩

নিজেকে সুপার মুন ভাবতাম।এখন দেখি আমিই অমানিশা।নেশায় ঘুরপাক খেতে খেতে একটি লাঠিম আমি।বৃত্তের জ্যা ও পরিমিতি বোধ না জানা আমাকেই অতিক্রম করতে করতে বুঝেছি সারাক্ষণ ঘুরপাকই   জীবন।দেওয়ালে লেগে থাকা কাদামাটি টপকে হাঁটতে হাঁটতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে চেয়েছি নিরাপদ সড়ক সপ্তাহের সতর্কতায়।
আমারই বৃত্তে ঘুরপাক খেতে খেতে আমিই লাঠিম।আমিই নষ্ট শশা।আর৷ সব শশধর।আর সব কুমারী প্রতিমা। আর সবই চৌকাঠে লেগে থাকা পদধূলি। জীবন আসলে মাঞ্জা সুতোয় কেটে যাওয়া মুণ্ডু নয়তো উড্ডীয়মান ঘুড়ি।

৩১:০৭:২০২১
রাত:২টা১০মি
কুমারঘাট।

বিশ্বাসবাবু কমলেষু

বিশ্বাস হলো অনুভব। পরস্পর পরস্পরকে সমৃদ্ধ করতে বিশ্বাস প্রয়োজন।বিশ্বাস মানে ভালোবাসা।শ্রদ্ধা। সৌজন্যতা।বিশ্বাস রক্ষা করা দুটি কিংবা একাধিক মানুষই একত্রে দায়িত্বশীল হতে হয়।সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য মানুষ মানুষকে প্রকৃত অর্থে না ঠগিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বোঝাপড়াটা হলো বিশ্বাস। বিশ্বাস একবার ভেঙে গেলে পুনরায় আর জোড়া লাগানো খুব কঠিন চেলেঞ্জ।দাম্পত্যের কঠিন আবহে যেমন বিশ্বাস এক পরম বন্ধু তেমনি বন্ধুত্বেও বিশ্বাস ভঙ্গ হলে পুনরায় বিশ্বাসের বীজ বপন করলেও চারাগাছ জন্মে না।বড় লাজুক এই সবুজচারা।

বিশ্বাসবাবু, বড় নড়বড়ে প্রিয়জনের নিকট থেকে 
আপনি কখন মুখ ফিরিয়ে ক্রমশ কৃষ্ণগহ্বরে তলিয়ে গেলেন?

৩১:০৭:২০২১

আত্মক্ষরণ

নেই নেই করেও আমাদের একপাল গরুছিলো।
আর বাতানে কয়েকটি দুধেল মহিষ।

 সব্জির বিছরা ছিলো।আর ছিলো ধানি জমি।

কোনোকালেই ছাগল আমাদের পোষে স্বাচ্ছন্দ পায়নি।

কিন্তু বরাবরই আমাদের ক্ষেতের ফসল 
খেয়ে দিব্বি তারা মাঠে চরতো।

আজো ছাগল আমার পিছু পিছু ধানপাতা মুড়িয়ে খায়।

১৮/০৪/২০১৬
সোমবার :রাত ৯:১০মি।

সাদা পায়রার গল্প

শিমুল বিছানো পথে ছুটে যায় ঘূর্ণনরত চাকা
থ্যাঁৎলানো শিমুল থেকে লেনিন গেয়ে যান সাম্যগান।
ভ্রুকুটি কেটে যায় সময়।
সময় পেরিয়ে যাওয়া মানুষটির বুকের রক্তমাখা শিমুল
রাতভর জেগে জেগে পথ চলতি মানুষের পা ধুয়েমুছে 
এক সম্ভাবনার গল্প জুড়ে লিখে রাখে পথপরিক্রমণলিপি।

সাম্যগান বুকের অতলে রাখি সামনে লটকে রাখি সময়।
সময়ের পরিভাষা অনুসারে হাঁটি, হাঁটতে হাঁটতে গন্তব্য স্টেশনে যাই।
অআকখ পাঠশালায় পাখিদের সীমানাহীন আকাশের গল্প পড়াই।
ওরা হাঁ করে সম্ভাবণার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্নের কথামালা গেঁথে রাখে বাম অলিন্দে। 
জগৎ সংসার আসলে কিছুই নয়।কিছুই কিছু নয়।
সব কিছু কে যেন থ্যাঁৎলে দিয়ে এ পথেই মাড়িয়েছে শিমুল।
শিমুলের লাল সংকেত ঈশারায় আগামীর প্রস্তুতি নেয়।
সব কালো অন্ধকার থেকে নিশ্চিত একদিন আবার 
ডায়নামিক সূর্য উঠবেই। পথ যতই ভঙ্গুর হোক।
লাল শিমুল থেকে তুলো উড়বে সাদা,পায়রার মতো।

২৫:০৪:২০২২
নিমহান্স, ব্যাঙ্গালোর
বেলা:১০:২৫মি।

ডহরলাগা ঘোর

ঘোরলাগা ডহরে কাটে ত্রিপাপ সময়।
চক্রব্যুহে আটকে ছিলো 
জীবনের উজ্জ্বল মুহূর্তকাল।

হননকাল এসে নিয়ে যায় তার ঘূর্ণনে
কিচ্ছু না বুঝেই মনুর অবতরণ থেকে
এক ডহরলাগা সময়ের নিকট হেরে গেলো অনেক সময়।

অন্ধকারময় তীব্র কৃষ্ণাবয়বের ভেতর
ঘুরতে ঘুরতে ক্রমশ আরো নিমজ্জিত 
অন্ধকার এসে ছু মেরে চিল। 

টের পেলাম আমি কৃষ্ণাবয়বে হারিয়ে গেছি।
আমি ক্রমশ আরো আরো তীব্র ঘূর্ণননরত কৃষ্ণাবয়ব।

০৬:০৫:২০২২
বেলা:৫:৪৫মি
নিমহান্স, ব্যাঙ্গালুরু।

 লং ড্রাইভে

চলো পিক পয়েন্ট ঘুরে আসি
হাতিঝর্ণা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ গুহায়
আদিম মানুষ হয়ে কিছুদিন গা ঢাকা দিই।

মাথা নাও টেনে বুকের কার্নিশে।
লেডিফিঙ্গার বুলিয়ে দাও মাথার ঘাসে।
বহুদিন আদর খাইনি চনমনে শৈল্পিক।

এসো ঘুরে আসি লং ড্রাইভে কৃষ্ণগহ্বর
জয়ের পতাকা ঘুরে এসো উড়াবো
ঘুড়ি উড়ানো বিকেলে ছাদ থেকে।

১৩:০৫:২০১৮
সকাল:৬:৫৫মি
কুমারঘাট।

গতিপথ:এক,দুই,তিন
 

স্মৃতিচিহ্ন মুছে যাক।
সিঁথি মোড় থেকে মুছে যাক
জীবনের ভুলগুলো।
হারিয়ে যাক মহাশূন্যে স্মৃতিরেখা।

কোনো বিষাদ গাথা নয়।
কোনো উপর চালাকিও না।
ভণ্ডামি না।
লেখো বিচ্ছেদ। লেখো দূরত্ব। 
পরস্পর থেকে বিপ্রতীপ ঘূর্ণনে ছুটে যাক
অবশিষ্ট অতিক্রম। 

১৯:০৫:২০২২
ভোর:০৫:৩০মি
কুমারঘাট।

গতিপথ:দুই

জীবনের গতিপথে
অসংখ্য ভুলের পাহাড় বহন করে
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত  গোলক
ভুলের পালক খসে গেলে
ঘূর্ণনরত পরিক্রমা। 

১৯:০৫:২০২২
সকাল:০৬টা৫০ মি
কুমারঘাট।

গতিপথ :তিন

ভুল এক ভ্যাম্পায়ার,রক্তখেকো জীব।
যাপিতজীবনকে ভুল বন্দরে লঙ্গর করে।
তচনচ করে পরিক্রমা। 
সহজ পাঠ থেকে সহজ বর্ণ পরিচয়ের বাইরে 
ভুল এক আত্মহনন সংক্রমণ। 

ভুল থেকেই পুনরায় দাঁড়াতে শেখা
পথে নামা।পথই শেখায় শুদ্ধিকরণ। 

১৯:০৫:২০২২
বেলা:১১:৫৫মি
কুমারঘাট।

লিটল ম্যাগাজিন

অসম্ভব স্বপ্ন বুকে নিয়ে
এক আকাশ উড়ালের অপঘাত।
তারপর হাঁটুভাঙ্গা উড়ালপুল।

লালিত ওম বারবার শীতল সরিসৃপ
মুখ লুঁকোয় ইতিহাস এক একটি হর্সপাওয়ার।
ছোট ছোট বারুদঘর।
আত্মশ্লাগায় জ্বলে নেভে জোনাকিআলো।

২৬/০৫/২০১৬
সকাল:৪:৪৫মি
দেওপাড়া।

বৃক্ষ

একটি সবুজ গাছ লাগিয়েছিলেন বাবা।
আমি তার দুপাতা হয়ে উঠতে পারেনি। 
অথচ এখনো গাছ আমাদের প্রাণ 
গাছ আমাদের বন্ধু। 
গাছ আমাদের সকল বাঁচাবাড়া।

গাছের কোনও বিকল্প নেই।
গাছের বিকল্প শুধু অসংখ্য গাছ।

গাছের নিকট সকল মানুষই খাটো। 
তখন থেকেই চাই-
সকল শিশুরা হোক এক একটি বৃক্ষ। 

০৪:০৬:২০২২
রাত:১১টা০৯
কুমারঘাট 

অবশেষে

অবশেষে লাল জাঙ্গিওয়ালা গেরিলা কবি
আত্মসমর্পণ করেন পুরস্কার মঞ্চের নিকট।
সকল সাম্রাজ্যই মুগল সাম্রাজ্যের মতো পতন অনিবার্য। 

অবশেষে একে একে লাল জাঙ্গিয়াওয়ালা কবি
বিপ্লবের কত হম্বিতম্বি দেওয়া রেগামাস্টার
হাফনেতা নেতা শির অবনত করে 
লাল থেকে নীল
নীল থেকে খয়েরী মাক্স পরে নেন অবলীলায়। 

হাত মুষ্টিবদ্ধ করে কতবার বিপ্লব আনতে 
লাল নিশান উড়াতেন ওরা
সব কেমন ফিকে হয়ে যায় বজ্রকন্ঠের নিকট।

সকল পতাকাই একদিন মানুষ নামিয়ে দেবে
মানুষের গান লিখে মানুষই গাইবে গান
মানুষের জন্যে-সেদিন খুব দূরে নয়।

লাল জাঙ্গিয়াওয়ালারা সেদিন থাকবে না আর।
আমাদের ঘরে ঘরে উড়বে জরুরী পতাকা
তার রঙ বুকের রক্তেরঙা চানমনি ধান।

১০:০৬:২০১৯
সকালঃ১০:৩০মি
নতুননগর,আগরতলা।

জলজীবন

জলে জলে গুলে গেলো গোটা এক জীবন।

স্মৃতি মুছে ফেলতে জলের কোন ভূমিকা নাই।
জলের কাজ নিচের দিকে গড়িয়ে যাওয়া
আর তৃষ্ণা বালকের ক্লান্তিতে আরাম দেওয়া।
তবুও মন ভালো নেই হলে আমাদের একমাত্র 
গন্তব্য বলতে জল-ই শেষ আশ্রয়। 
জলের নিকট যাই জলখেলি।
জল ডুব ডুব নিজের সাথে একটু চলি।

সাগর আমাদের মনের গভীর থেকে ক্লান্তি শুষে নেয়। 
নদী শেখায় ভালোবাসা আর পাড় ভাঙার গাঙগাথা।
পুকুর সাঁতার শেখার যৌথ খুনসুটি শেখায়।
ধীরে ধীরে জমতে থাকা নানান রকম
পলি কেটে কেটে সামনে  ভোরের স্বপ্ন দেখা যাপন
আর অসংখ্য দেওয়াল, পা পিছলে গেলে
খাবি খেতে খেতে পরিখায়ও ডুবে যায় স্বপ্নবিলাস।

অতিবৃষ্টি বন্যা ঝড় লকলকে জিভ ছুঁয়ে দিলে
গোটা জীবন থেকেই কেড়ে নিতে পারে :সুখপাখি। 

১লা জুলাই ২০২২
সন্ধ্যা:৭:৩০ মি
লিচুবাগান,ঘোষপাড়া,আগরতলা।

২১ জুলাই

জগন যিশুর রক্তের গ্রুপ বাংলাভাষা।
২১ জুলাই নিজের প্রাণ বলি দিতেও তার ছিলো না ভয়।
অথচ অ-তে অজগর আসছে তেড়ে
শিখতে শিখতে ছোটবেলা কিরকম ভয়ে
সমস্ত বাংলাভাষায় কথা বলা মানুষ দেওয়ালে পিঠ ঠেকে 
স্বপ্ন দেখি একদিন ভোরবেলা সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে-যায় এভাবে আদৌ?

জগনেরা আমাদের ভাষাসৈনিক।
ভাষামায়ের চোখের জল ছুঁতে চেয়েছিলেন -
আমাদের মুখের ভাষা বুকের ভাষা কান্নার ভাষা 
মাতৃভাষা বাংলা-ই থাক।

১লা জুলাই ২০২২
রাত:০৮:৩০ মি
লিচুবাগান, আগরতলা।

আজও রবীন্দ্রনাথ 

শ্মশানের ঘাস জন্ম কবেই হতে পারত
তৃণভোজীর মল হয়ে পচে যাওয়ার কথা ছিল।

নামতে নামতে তুমি এঁদো ডুবায় পা পিছলে ছিলে
ফিরিয়ে দিয়েছি নষ্ট জীবনে পুবের কিরণ।
ঘাটে ঘাটে পারানি নৌকো আর প্রতিটি ক্ষতে
লাগিয়েছি বিশল্যকরণী গেয়ে উঠলে আত্মার গান।

হিরণ্ময় সময় থেকে মণিরত্ন কেড়ে নিলো
যে ছিঁচকে চিনে জোঁক, রক্ত শুষে নিয়ে 
এখন তিনিই বড় বেশি বকধার্মিক বড় বেশি
ওম জপেন নিজেকেই বলেন তিনি ঈশ্বরের দূত।

পা কখন কেটে গেছে রক্তমাখা হৃদয়ের গল্পে
একটি মাথা কাটা মোরগ শুধুই মাংসের স্বাদ।
সংকটে জানা সহজ রবীন্দ্রনাথ প্রাসঙ্গিক 
খালকেটে ঘরে আনা কুমির কখনই অবিকল 
মানুষের আচরণে ভোরের হাওয়া বিলাবে না। 

০৩:০৭:২০২২
সকাল:০৮টা৩৫মি
মনু,ধলাই,ত্রিপুরা।

সহজিয়া

আঁশটে গন্ধ এলে নিজেকে চুবিয়ে রাখি
তুলসী জলে।
তুলসির কাছে যাই নকল গন্ধ
চিরতরে যাক।
গোলাপজলে ঢেকে যাক
পূর্ণদাস বাউলের সহজীয়া গান।

৭:০৭:১৭
গৌহাটি
ভোর:৩:৫৭মি।

সম্পর্কগাছ

সম্পর্ক এক বৃক্ষ 
তার প্রধানমূল বিশ্বাস। 
শাখামূল পরস্পর পরস্পরকে সমৃদ্ধ করা।
আর প্রশাখামূল সময় ও সমাজ থেকে 
স্বাদমতো লবণ  শুষে নিয়ে
প্রচন্ড রকম বেঁচে থাকা।

এ থেকে সামান্য হেলে গেলে
চাঁদ ভেসে ওঠে পূর্ণিমায়।
নদীজলে মরে যায় বাঁশপাতা মাছ।

আকাশগঙ্গায় বেঁকে যায় প্রিয় মেধানক্ষত্র।

১৮:০৭:২০২২
রাত:৩টা২০মি
কুমারঘাট।

পাঠশালা 

বস্তুতঃ কোনো পাঠশালা দরকার নাই। 
নকল পাঠশালা থেকে যে শিক্ষা 
তাতে মানুষ তার আচরণ ভুলে
পশু হয়ে গেলো।
অথচ পাঠশালায় না গিয়েও 
সকল পশু প্রকৃত পশুই আছে।

হিমাদ্রি দেব বলেছেন:পাখিদের নেই 
কোন গানের ইস্কুল। 
সারারাত ঝরে পড়ে
শিউলি ও বকুল।

১৮:০৭:২০২২
রাত:১১টা
কুমারঘাট।

 সম্পর্ক 

কাকে বাদ দিয়ে কার পিছে ঘুরঘুর কে করে
শ্রাবণে তীব্রভাবে চোখে আসে।
এখন সামাজিকমিডিয়ার যুগ।
সব কেমন ভাইরাল হয়ে যায়।
গোপন সম্পর্ক থেকে ডিভোর্স। 

কলেজ কেন্টিনের কর্ণারে একান্তে
টি আলাপের ছবিও সামাজিক মাধ্যমে 
স্টাটাস হিসেবে আপডেট দিতে হয়।

সব কেমন কৃত্রিম, চাঁদ থাকলেও 
বিকেলের আলোর মতো নয়।

১৮:০৭:২০২২
সকাল:০৯:৪০মি
বৃক্ষরাম।

শরীরবৃত্তীয় 

শরীর মহাবিশ্ব মহাকাশ 
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত রহস্য এতেই। 
তাকে জাগালে সে ভোরের পাখি।
কলতানে মুাখরিত চারদিক 
গাছে গাছে ফুলেফলে ভরে ওঠে বাগান।

শরীর এক ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসও 
তারও আছে ৪৬০ আলোকবর্ষ দূরত্ব
তারও আছে বিগব্যাং থিওরি।

এক একটি মহাপ্রলয় থেকে
কোটি কোটি নক্ষত্রের ছায়াপথ 
আলোকবর্ষ অতিক্রম করে 
ক্রমশই আরো ছড়িয়ে পড়ে। 

শরীর প্রকৃতপক্ষে মহাবিশ্ব 
তারও কৃষ্ণগহ্বর হা করে 
অসংখ্য নক্ষত্র গিলে খায়।

অসংখ্য নক্ষত্র থেকে ছড়িয়ে পড়ে 
আলোকবৃষ্টি।

২০:০৭:২০২২
সকাল:০৬টা১৫মও
কুমারঘাট।

0 Comments