ডেমছড়া:লোকজন মূলত জনজাতি গোবিন্দ ধর
ডেমছড়া:লোকজন মূলত জনজাতি
গোবিন্দ ধর
ডেমডুম এডিসি ভিলেজ যেখান থেকে শুরু হয়েছে সেই এন ই সি রাস্তার পাশের টিলা থেকে ডেমছড়ার উৎস। তারপর এমড়াপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ ঘেষে পশ্চিম রাতাছড়ায় এসে মিশেছে ডেমছড়া।বর্ষায় খরস্রোতা হয়ে দুপাড় ভাসিয়ে নিয়ে জল কলকল প্রবাহিত হয়।এমনিতে অন্যান্য ঋতুতে ডেমছড়ার জল তেমন থাকে না।হরদম লোকজন চলাচলে কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি ডেমছড়া।আমাদের ছোটবেলা পশ্চিম রাতাছড়া হয়ে ডেমডুম যেতে পায়ে হেঁটে যেতে হতো।তখন ডেমছড়ায় একটি হাকম ছিলো।হাকম হলো বাঁশের খুঁটি দিয়ে উপরে বাঁশ বা ছোট গাছ ফেলে দুপাড়ের মানুষজনকে সহজে পারাপারের সুবিধা করে দেওয়ার গ্রাম্য ব্রীজ।
এখন এন ই সি রাস্তার সংস্কার হওয়ায় ডেমডুমের জনজাতি অংশের জীবনমানের পরিবর্তন হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বেড়েছে। কাঞ্চনবাড়ি হয়ে কুমারঘাট নালকাটা থেকে যেমন তাদের ত্রিপুরা ও বহি ত্রিপুরায় যোগাযোগ বেড়েছে তেমনি এন ই সি রাস্তার সংস্কারের জন্য আগরতলায় আসাযাওয়াও সহজ হয়েছে।
ডেমডুমের লোকজনের ফটিকরায় কৈলাসহর যেতেও আগের মতো আর পশ্চিম রাতাছড়াকে অবলম্বন করতে হয় না।এখন ডেমডুম অঞ্চলের জনজীবনে অনেকটা সুবিধা তারা ভোগ করেন।
এক সময় ডেমডুমের লোকজন তিল কার্পাস জুমের লাউ কুমড়ো বাজারজাত করতে অনেক শ্রম দিতে হতো।যদিও এখন জুম চাষ আর তেমন নেই। কিন্তু জুমচাষের জন্যই ত্রিপুরার বনাঞ্চলের গাছপালা বনজঙ্গল আজ আর তেমন নেই। বড় বড় বৃক্ষ নিধন আমাদের পরিবেশের উপর নানা প্রভাব বিস্তার করেছে।আগের মতো বনজঙ্গল নেই তাই বন্য প্রাণীর মধ্যে শূকর বনমোরগ খরগোস, বনরুই,পাখির আর দেখাও মিলে না।
আমরা যতো উন্নত সভ্যতা সংস্কৃতির দিকে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছি ততোই আমাদের জীবন মান এগিয়ে যাচ্ছে পাশাপাশি আমরা নির্মল পরিবেশ থেকে বঞ্চিতও হচ্ছি।
ডেমছড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের লোকজন মূলত জনজাতি অংশেরই।
২৬:০৩:২০২৪
0 Comments