স্রোত 
কথাসাহিত্যিক রামকুমার মুখোপাধ্যায় সংখ্যা 


লেখক পরিচিতি

অগ্নিমিত্রা পাণ্ডা: উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা বিশ্বভারতী থেকে। বর্তমানে মেদিনীপুর সীতানন্দ মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক। প্রকাশিত ব‌ই 'উত্তর-পূর্ব ভারতের বাংলা সাহিত্যচর্চা' ও 'উত্তর-পূর্ব ভারতের বাংলা ছোটোগল্প চর্চা: বিষয়বৈচিত্র ও শিল্পরূপ'। সম্মানিত হয়েছেন ত্রিপুরার স্রোত প্রকাশনার স্মারক সম্মানে এবং দক্ষিণারঞ্জন ধর স্মৃতি সম্মানে।

অরিন্দম সাহা : বিশ্বভারতীর ভাষা ভবনের প্রাক্তন ছাত্র ও গবেষক। গবেষণা করেছেন  রামকুমার মুখোপাধ্যায়ের নির্বাচিত উপন্যাসে লোকায়ত উপাদান বিষয়ে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

উজ্জ্বলকুমার মজুমদার: উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিন দশকের বেশি অধ্যাপনা করেছেন এক‌ই বিশ্ববিদ্যালয়ে।‌ প্রফেসর এবং কর্মসচিবের পদে ছিলেন বিশ্বভারতীতে। সম্পাদনা করেছেন 'বিশ্বভারতী' পত্রিকা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অধ্যাপক হিসেবে এশিয়াটিক সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সম্মানিত হয়েছেন ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কার, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কার ইত্যাদিতে। টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাঁকে  রবীন্দ্র- তত্ত্বাচার্য উপাধি প্রদান করে। প্রকাশিত বিশিষ্ট গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে 'রবীন্দ্রনাথ: তুমিই আকাশ, তুমিই নীড়', 'বাংলা কাব্যে পাশ্চাত্য প্রভাব', 'সাহিত্য ও সমালোচনার রূপ-নীতি' ইত্যাদি।‌ ২০১৬ সালে প্রয়াত হয়েছেন।

গোবিন্দ ধর: সম্পাদক 'স্রোত' পত্রিকা ও প্রকাশনা। বর্তমান সংখ্যাটি সহ পত্রিকাটির মোট ৭৮ টি সংখ্যা এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি বিশেষ সংখ্যাও প্রকাশিত হয়েছে। জীবিকা, ত্রিপুরার অমূল্যবালা নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এখন পর্যন্ত মোট সাতটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে 'জলঘর', 'দ্রোহবীজ পুঁতে রাখি', 'শ্রীচরণষু বাবা' ইত্যাদি।  লিখেছেন গবেষণামূলক গ্রন্থ 'শ্রীহট্টীয় লৌকিক সংস্কৃতি ও অভিধান '। প্রকাশনা মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বর্তমানে কার্যকরী কমিটির সদস্য,  অল ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং ত্রিপুরা রবীন্দ্র পরিষদের আজীবন সদস্য।

ছন্দা ঘোষাল: বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর। গবেষণা করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠক্রম ও গবেষণা সংক্রান্ত সমিতির সদস্য। প্রকাশিত ব‌ই 'ঝাড়খণ্ডী বাংলার ঝাড়গাঁয়ী  রূপ', 'আধুনিক যুগের বাংলা সাহিত্য: সমালোচনা ও শৈলী', ' লোকভাষা - লোকসংস্কৃতি ও অবিভক্ত মেদিনীপুর' ইত্যাদি। পাহাড়ি খাড়িয়া, বাগাল , টুসু  ইত্যাদি বিষয়েও ক্ষেত্রসমীক্ষা ভিত্তিক গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। সম্মানিত হয়েছেন বাংলাদেশের রবীন্দ্রনাথ টেগোর ফাউন্ডেশন এ্যাওয়ার্ডে। পেয়েছেন ডুলুং সাহিত্য সম্মাননাও।

জয়ন্ত বিশ্বাস: পড়াশোনা ও গবেষণা কল্যাণী এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। গবেষণার বিষয় ছিল, বাংলা বানান নির্মাণে পত্রপত্রিকা ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা। বর্তমানে স্যর রাসবিহারী ঘোষ মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'গীতিকার শব্দকোষ', 'বাংলা উপন্যাসের পুনর্বিচার', 'পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে বঙ্গ সংস্কৃতি'। শৈলীবিজ্ঞান, ধ্বনিতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নানা গ্রন্থ ও পত্রিকাতে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

জয়া ধীবর: উচ্চশিক্ষা সিধো কানহো বার্সা বিশ্ববিদ্যালয়ে।  পুরুলিয়ার নিস্তারিণী মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার কাজে যুক্ত। গবেষণা করছেন রামকুমার মুখোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্য নিয়ে। বেশকিছু পত্রপত্রিকায় ও সম্পাদিত গ্রন্থে গবেষণামূলক নানা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

জয়া মিত্র: কথাসাহিত্যিক এবং পরিবেশরক্ষার আন্দোলনে একজন অগ্রণী কর্মী। সম্পাদনা করেন 'ভূমধ্যসাগর' পত্রিকা। সাতের দশকের জেল জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছিলাম 'হন্যমান' নামে গ্রন্থ। কথাসাহিত্যে বিশিষ্ট সৃজনগুলির মধ্যে রয়েছে 'স্বর্ণকমলের চিহ্ন', 'কালোসাদা বাতাস', 'যাত্রা পুস্তক' ইত্যাদি। বাংলায় অনুবাদ করেছেন অন্য ভারতীয় ভাষার বেশ কয়েকটি গ্রন্থ। প্রকাশিত হয়েছে 'জলের নাম ভালোবাসা ' নামের একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ‌ এবং  শিশুসাহিত্যের কয়েকটি ব‌ই। সম্মানিত হয়েছেন আনন্দ পুরস্কার, শরৎ স্মৃতি পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি অনুবাদ পুরস্কার ইত্যাদিতে।

ঝুমুর পাণ্ডে: পড়াশোনা  কাটলিছড়া এবং লালাবাজার কলেজে। প্রকাশিত গ্রন্থ ২৪টি। বিশেষ উল্লেখযোগ্য উপন্যাস ' গেরামথানের মানুষটা ও দুলিয়া', 'কারা কান্দেরে নদীর কিনারায়', 'পিয়াঙ্কা বাগদি কাঁহা গেল' ইত্যাদি। সম্মানিত হয়েছেন ডলি মিদ্যা স্মৃতি পুরস্কার, 'একসাথে' রজতজয়ন্তী পুরস্কার, লিটল ম্যাগাজিন ছোটোগল্পকার পুরস্কার এবং দিল্লির বহির্বঙ্গ পুরস্কারে। প্রান্তিক ছেলেমেয়েদের জন্য শিলচরে মানবকুসুম নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।

দীপঙ্কর মল্লিক: উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের বাংলা বিভাগের প্রধান এবং বিবেকানন্দ রিসার্চ সেন্টারের আহ্বায়ক। একাধিক মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত অধ্যাপক। লিখিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৫০টির‌ও বেশি। বিশেষ উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো, ' লোকসংস্কৃতির  আলোকে বাংলা মঙ্গলকাব্য', 'বৈষ্ণব পদাবলী: তত্ত্বে ও কাব্যে', ' প্রাগাধুনিক বাংলা সাহিত্যচর্চা: কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী ' ইত্যাদি।

দুর্গাদাস মিদ্যা : 'আরাত্রিক' পত্রিকার সম্পাদক। ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রবন্ধ সংকলন এবং নটি কাব্যগ্রন্থ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'একঝাঁক কবিতা ও বুনোহাঁস', 'কিছু কথা কিছু ব্যাকুলতা' এবং 'দরজা খুলে দাঁড়াও'। সম্মানিত হয়েছেন দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি পুরস্কার, লিটল ম্যাগাজিন পুরস্কার, বিষ্ণু দে সম্মাননা ইত্যাদিতে।

পবিত্র সরকার: বিশিষ্ট ভাষাতাত্ত্বিক ও শিক্ষাবিদ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রফেসর এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। এশিয়াটিক সোসাইটি, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ এবং ভারতীয় ভাষা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি। প্রকাশিত হয়েছে ভাষাতত্ত্ব, শৈলীবিজ্ঞান, বাংলা বানান, নাটক, শিক্ষা, লোকসংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে পঞ্চাশটির বেশি গ্রন্থ।  একক ও যৌথভাবে সম্পাদনা করেছেন প্রায় এক‌ই সংখ্যক গ্রন্থ। ছোটোদের জন্য‌ও বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য 'ভাষা দেশ কাল', 'ভাষাস্পর্শ' এবং 'নাট্যমঞ্চ নাট্যরূপ'। প্রকাশিত হয়েছে আত্মকথাও।  বিদ্যাসাগর পুরস্কার, জাপানের তৃতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার 'দ্য অর্ডার অব দ্য রাইজিং  সান' ইত্যাদিতে সম্মানিত হয়েছেন।

পুরুষোত্তম সিংহ: উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক। প্রকাশিত হয়েছে দশটি গ্রন্থ। বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো 'বাংলা ছোটোগল্পে মুসলিম জনজীবন', 'নিত্য মালাকার: কবিতার নিঃসঙ্গ যাত্রা' এবং 'বিকাশ বিপ্লব'। তৃতীয় ব‌ইটি অকাল প্রয়াত অধ্যাপক বিকাশ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। পুরুষোত্তম সিংহ ঊষার আলো যুব সাহিত্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।

পুষ্পল মুখোপাধ্যায় : সর্বক্ষণের কথাকার, নাট্যকার ও নাট্যকর্মী। দীর্ঘ সময় বহুরূপীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। 'বল্লম-কথা', 'কালাহরি-কথা' এবং সম্প্রতি প্রকাশিত 'ঋতি-কথা' তাঁর বিশিষ্ট উপন্যাস। প্রথম গল্পের ব‌ই 'মাতন'-এর জন্য মল্লভূম পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর নাট্যরূপে ইসমত চুগতাইয়ের 'চতুর্থীর জোড়' নাটকটি বহুস্বর নাট্যগোষ্ঠী অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে মঞ্চস্থ করেছে।

বিমলকুমার থান্দার : উচ্চশিক্ষা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। গবেষণা করেছেন যাদবপুর, বাঁকুড়া এবং নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ।  শেষ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার বিষয় ছিল 'মুকুন্দদাস ও রসিকদাসের বৈষ্ণব সহজিয়া বাংলা পুথি: সম্পাদনা ও বিশ্লেষণ ' এবং 'ভারতচন্দ্র রায়ের বিদ্যাসুন্দর কালিকামঙ্গল কাব্যের বাংলা পুথি: সম্পাদনা ও বিশ্লেষণ'। বর্তমানে কবি জয়দেব মহাবিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক। গবেষণাপত্র দুটি ছাড়াও তেরোটি গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন।  'দীনেশ-রবীন্দ্র পত্র সম্মান' ইত্যাদিতে সম্মানিত।

বিশ্বনাথ কুইরী: সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন কৃতি ছাত্র ও গবেষক। বর্তমানে সেলিনা হোসেনের কথাসাহিত্য নিয়ে গবেষণারত। নিস্তারিণী মহাবিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত।  সম্পাদনা করেছেন 'কথায় কথায় সেলিনা হোসেন ' নামে একটি গ্রন্থ। ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্পাদিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকায় গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

রঙ্কু দাস : উচ্চশিক্ষা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং গবেষণা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। চন্দননগর গভর্নমেন্ট কলেজের বাংলার অধ্যাপক। প্রকাশিত হয়েছে সমালোচনা গ্রন্থ 'ঔপন্যাসিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ' ও 'রাসসুন্দরী দাসীর আত্মজীবনচরিত "আমার জীবন'' ' এবং  কাব্যগ্রন্থ 'দুচোখের মাঝে কঠিন বরফ' ও নিজের বলে কিছুই নেই '।

রাতুল দাস : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। গবেষণা করেছেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির থেকে। গবেষণাপত্রে  তিনজন কথাকারের গল্পে গ্রাম সংস্কৃতির ভাঙন ও পরিবর্তনগুলি চিহ্নিত ও বিশ্লেষণ করেছেন। শিক্ষকতা করেন উত্তর চব্বিশ পরগনার গভর্নমেন্ট মডেল মাদ্রাসাতে।

রিমি বাছাড়: উচ্চশিক্ষা  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। নানা পত্রপত্রিকায় গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।  অধিকাংশ প্রবন্ধ কথাসাহিত্য বিষয়ে।

শফি আহমেদ: উচ্চশিক্ষা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।  বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন প্রফেসর । শেক্সপিয়র এবং আধুনিক পাশ্চাত্য নাট্য বিশেষজ্ঞ। বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য, ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটি থিয়েটার এসোসিয়েশনের সদস্য, ইউনেস্কোর থিয়েটার এডুকেশন এ্যান্ড ট্রেনিং -এর সহ সভাপতি।
প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে 'আ ব্রিফ ইনট্রোডাকসান টু শেক্সপিয়র'স উয়েমেন ক্যারেকটার্স', 'রিসেপসান অব শেক্সপিয়র ইন বেঙ্গল ফ্রম দ্য কলোনিয়াল পিরিয়ড এ্যান্ড হিস ইমপ্যাক্ট অন বেঙ্গলি ড্রামা এ্যান্ড থিয়েটার ' আর কালেকশন অব আর্টিকেলস অন লিটারেচার, সোসাইটি এ্যান্ড কালচার '।

শমিতা ভট্টাচার্য: উচ্চশিক্ষা গৌহাটি ও আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।  গবেষণার বিষয় ছিল  বিদ্যাসাগর ও বিবেকানন্দের প্রবন্ধের উত্তর-ঔপনিবেশিক পাঠ। গুরুচরণ কলেজের অতিথি অধ্যাপিকা ছিলেন।  সম্পাদনা করেন 'সৃষ্টির আঙিনায় ' নামে একটি বৈদ্যুতিন পত্রিকা। প্রকাশিত হয়েছে 'অচিন গাছ' নামে একটি কবিতা গ্রন্থ এবং 'উপমা শ্রীরামকৃষ্ণস্য' নামে 'শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত' গ্রন্থের উপমা সংকলন। সুশাসন দিবস উপলক্ষ্যে কবি সম্মাননা পেয়েছেন।

শ্যামল ভট্টাচার্য: ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রাক্তন বিমান নিয়ন্ত্রক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে এবং সংবাদপত্রের সহকারী সম্পাদক পদেও ছিলেন। বেশ কয়েকটি উপন্যাসের পাশাপাশি শতাধিক ছোটোগল্প লিখেছেন।  অনুবাদ করেছেন বেশ কয়েকটি ব‌ই। প্রকাশিত বিশেষ উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো, 'বুখারি',  'লোভদ্রার কাছাকাছি ', 'জামিছলঙ' ইত্যাদি।  সম্মানিত হয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি অনুবাদ পুরস্কার, বাংলা আকাদেমির লীলা মজুমদার অনুবাদ পুরস্কার,পঞ্জাবি সাহিত্যসভা পুরস্কার ইত্যাদিতে।

সঞ্জীব দাস: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং বিশেষ পত্র ছিল তুলনামূলক সাহিত্য। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের সাহিত্য সৃষ্টির উপর গবেষণা করেছেন। বর্তমানে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ' বাস্তববাদের বহুরূপ ও শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্য ', 'পরশুরামের গল্প: জীবনদৃষ্টি ও শিল্পরূপ', 'কবিতার অলোকরঞ্জন: ভুবনডাঙার বাউল' ইত্যাদি।

সত্যবতী গিরি: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপিকা। মধ্যযুগের বৈষ্ণব সাহিত্য বিষয়ে  বিশেষজ্ঞ। বাংলা পুথি ও তার পাঠ বিষয়ে‌ও তাঁর মূল্যবান প্রবন্ধ আছে। বিশ্বভারতী, বেনারস এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিজিটিং ফেলো ও অতিথি অধ্যাপিকা। সম্মানিত হয়েছেন তারাশঙ্কর স্মৃতিপদক, গোপাল হালদার স্মারক সম্মান , সাহিত্য অকাদেমি ভাষা সম্মান ইত্যাদিতে।  প্রকাশিত হয়েছে ' বাংলা সাহিত্যে কৃষ্ণকথার ক্রমবিকাশ' নামে মূল্যবান গবেষণা গ্রন্থ। এছাড়াও তাঁর লেখা 'প্রাগাধুনিক বাংলা সাহিত্যচর্চা'  ইত্যাদি আলোচনাগ্রন্থ‌ও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

সমীরণ বেরা: উচ্চশিক্ষা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।  উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রামকুমার মুখোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্যে প্রান্তিক মানুষের জীবনচর্যা বিষয়ে গবেষণা করেছেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে 'সোনার তরী'তে  কর্মরত। প্রকাশিত হয়েছে কাব্যগ্রন্থ 'শুধু তোমার‌ই জন্য'।  প্রত্যুষ শীতের সঙ্গে যৌথভাবে সম্পাদনা করেছেন ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহাসিক উপন্যাস 'পেঁড়োর মন্দির'।

সুদীপ চক্রবর্তী : উচ্চশিক্ষা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজ্য  সরকারি কর্মচারী। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'সন্ধেবেলার  হিন্দি গান', 'প্রেমের সাইজ বত্রিশ' এবং 'মেঘ আমাদের সমর্থন করেছে'। সম্পাদনা করেছেন 'মনুমেন্ট' এবং 'দাঁড়াবার জায়গা' পত্রিকা। সম্মানিত হয়েছেন শ্রীপতি দাস স্মৃতি সম্মান, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় স্মৃতি কৃত্তিবাস পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি যুব পুরস্কার ইত্যাদিতে। ছিলেন ভারত সরকারের সংস্কৃতি দপ্তরের জুনিয়র ফেলো।

সুমনা সাহা: উচ্চশিক্ষা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে গদ্যের সংগ্রহ ' কিছু দেখা কিছু দিগদর্শন', 'পৌরাণিক কথা ও  কাহিনী' এবং  ' নানারূপে সারদা'। হ্যালো হেরিটেজ প্রদত্ত বিজয়া সর্বজয়া সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। অনুবাদ করেছেন স্বামী বিবেকানন্দের প্রখ্যাত তামিল শিষ্য আলাসঙ্গা পেরুমলের উপর লেখা স্বামী সুনির্মলানন্দের জীবনীগ্রন্থ।

সুরঞ্জন মিদ্দে: উচ্চশিক্ষা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং গবেষণা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর। সম্পাদনা করেন 'ভালো ব‌ই' নামে পুরোনো ও নতুন ব‌ইয়ের একটি পর্যালোচনা পত্রিকা।  প্রকাশিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রন্থ। তার  মধ্যে রয়েছে 'বাইবেল ও বাংলা সাহিত্য', 'রবীন্দ্রসাহিত্যে খ্রিস্টকথা', 'বাংলার গির্জা স্থাপত্য' ইত্যাদি। সম্পাদনা করেছেন 'কৃষ্ণমোহনের পার্সিকিউটেড', 'বহুমাত্রিক কেরী' ইত্যাদি গ্রন্থ। সম্মানিত হয়েছেন বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরস্কারে।

সুরভি বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন  প্রফেসর এবং সহ-উপাচার্য। এছাড়াও রাজ্য সরকারের দুটি এবং ওডিশার একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। সত্যজিৎ রায়ের সামগ্রিক শিল্পকর্মের উপর ইংরেজিতে একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন এবং সত্যজিৎ রায়ের কল্পবিজ্ঞানের গল্পগুলিও ইংরেজি অনুবাদে সংকলন করেছেন। বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, অরুণ মিত্র, সুভাষ মুখোপাধ্যায় প্রমুখের কবিতা। সম্মানিত হয়েছেন ইন্দিরা গান্ধী প্রিয়দর্শিনী পুরস্কার, লীলা পুরস্কার, জ্ঞানেশ্বরী পুরস্কার ইত্যাদিতে।
...


  
      

      

      
   
 
        

        
  
      
  
        
  
        
   
        
   
        
        
        
   

       
       

        

       




      

      

      

      
      




      

....

0 Comments