আমার ১৯ আমার মাতৃভাষা প্রণাম দিবস গোবিন্দ ধর
আমার ১৯ আমার মাতৃভাষা প্রণাম দিবস
গোবিন্দ ধর
অনিল সরকার ১৯শে মে উদযাপন করেন মাতৃভাষা প্রণাম দিবস হিসেবে।আর ২১শে ফেব্রুয়ারীকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
আমরাও এরকম মননে লালিত প্রতিটি ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও সমান মর্যাদা প্রদান।১৯৯৪ সালের পরে জাতিসংঘের ঘোষণা ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। এই বিষয়টি আমাদের নিকট সত্যি আনন্দের ও গৌরবেরও।মাতৃভাষা দিবস ও মাতৃভাষা প্রণাম দুটো ভিন্ন তারিখে পালন সারা ত্রিপুরায় প্রতিবছর এর উদযাপন হয়ে আসছে।
এবছর করোনা সংকট জনিত কারণে সরকারীভাবে হয়তো ১৯ শে মে উদযাপনের কোন সুযোগ ছিলো না।কিন্তু গত বছরও আমাদের উত্তর ত্রিপুরার জেলা সদর ধর্মনগর আর ১৯ উদযাপন হয়নি।১৯শের জন্য এ এক অসয়ম।
আমরা আমাদের সেই ঐতিহ্যে বিশ্বাস রেখেই সকল ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।১৯শে মে আমাদের নিকট মাতৃভাষা প্রণাম দিবস।
উনিশে মে
(বরাকের ভাষা শহীদের প্রতি)
অনিল সরকারের কবিতা
একটি নদী উথাল পাতাল
একটি নদী বরাক।
নদীর জলে আগুন জ্বলে
নদী আগুন ছড়াক।।
সেই নদীটি মেঘনা তিতাস
ব্রহ্মপুত্রের গান।
এই নদীটি একাদশটি
বলির উপাখ্যান।।
একটি নদী আকাশ দিল
আকাশ দিল রোদ।
সেই রোদে শুকায় ক্ষত
রক্তস্নাত বোধ।।
উনিশ এলে এই নদীটি
কমলাবতীর পালা।
কে পরেছে রক্ততিলক
গলায় রক্ত মালা।।
একুশ এলে কৃষ্ণচূড়া
উনিশ এলে জবা।
একুশ উনিশ মাতৃভাষা
শহীদবেদীর শোভা।।
একুশ আসে লক্ষ প্রাণে
উনিশ গানে গানে।
মা কমলা রফিক সালাম
নদীর কলতানে।
**
অনিল সরকারের কবিতাটি সত্যি আমার নিকট এক স্তম্ভ।
আমাদের প্রিয় কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী মাত্র চার লাইনে ১৯ স্মরণ করলেন তাঁর কবিতায়।
উনিশে মে - ১
শক্তিপদ ব্রহ্মচারী
রক্ত নেবে? নাও না বুকে
রাখছি অফুরান।
তোমার বুলেট ছাপিয়ে ওঠে
উনিশে মে'র গান।
0 Comments