দ্রোহবীজএক পঙ্ক্তির আত্মবিষ || গোবিন্দ ধর
১।
দ্রো হ বী জ
এ ক প ঙ্ ক্তি র আ ত্ম বি ষ
২। ফাঁকা
৩।
দ্রোহবীজ
এক পঙ্ক্তির আত্মবিষ
গোবিন্দ ধর
৪।
প্রেসলাইন
গ্রন্থস্বত্ব : লেখক
৫।
উৎসর্গ :
তৈমুর খান
সময়ের দ্রোহ পুরুষ
আপনাকে
৬। দৌ ড় প্র কা শ না র --- ত ম ব ই
৭-৬৪। কবিতা
(প্রতি পৃষ্ঠায় একটি করে কবিতা, কবিতার নান সহ)
(শুধু কবিতাটি থাকবে। সংখ্যা থাকবে না।)
১
রাধিকারা অপেক্ষা জানে না।
২
ভাগ না হলে অনুপ্রবেশ থাকত না।
৩
নিজের কম হলেই মনে হয় কম।
৪
অনন্ত অপেক্ষার পর যা পেলাম, তা কি চাই?
৫
কিছুই পাই না তবু অনন্তকাল খুঁজি।
৬
সব সঙ্গম যৌনতা নয়।
৭
রাত জাগা সব পাখি হামিংবার্ড নয়।
৮
কষ্ট করেও কিছু কিছু সিম্পটম ধরা যায় না।
৯
কোনো কিছুই কিছুই নয়।
১০
ধীরে সকল প্রিয় অচেনা গ্রহের দিকে হারিয়ে যায়।
১১
মেধার ভেতর গোপন ঘাতক অস্ত্র শান দেয়।
১২
মন খারাপ হলে আকাশ একমাত্র ভরসা।
১৩
রাই, ছুঁয়ে দিলেই আমি কৃষ্ণতরল।
১৪
নিজেকে হত্যা করার আনন্দই আলাদা।
১৫
ছলনার কী আছে, মেখেছি চাঁদের কণা।
১৬
কবিতা আসলেই হত্যাপ্রবণ ভূস্বর্গ।
১৭
প্রতিটি মুহূর্তই কৌটোয় রেখে দেওয়া চাঁদের ভগ্নাংশ।
১৮
বন্ধুরাই প্রকৃত বন্দুক।
১৯
হুক খুলতে রক্তাক্ত করে অসতর্ক সেফটিপিন।
২০
জীবন শুধু সাপলুডো খেলা।
২১
আনন্দবিন্দুতে যে ফসল থাকে তারই চাষ বারোমাস।
২২
জীবনের শহর থেকে ঝরে পড়ে নকল ইট।
২৩
সফলতা আসলে অসুখ।
২৪
হারমোনিয়াম-রিড থেকে ঝরে পড়ে নুনজল।
২৫
প্রকৃতপক্ষে কেউ রিফিউজি নয়।
২৬
রং উঠে গেলে প্রতিটি সম্পর্কই ভুল জ্যামিতি।
২৭
সুরের মুর্ছায় অনন্তশয়নে যায় প্রিয়ফুল।
২৮
এক-একটি রিডের ভেতর ঘুমপরি অচেতন।
২৯
গানের শ্রাবণ তুমি মায়ামেঘ।
৩০
পাখিদের হৃদয় কাটছে শঙ্খবণিকের করাত।
৩১
অসুস্থ মানুষের শহর কৃষ্ণনগর।
৩২
এ দেশ মৃ্র্ত্যুর আগে স্বীকৃতি দেয় না।
৩৩
অসংখ্য মানুষের ভিড়ে নিজেই অরণ্য।
৩৪
এত ফুল সব বাসি হয়ে যায়।
৩৫
ভালো কাজ মানে ঝাঁড়াই বাছাই।
৩৬
এখন অবধি কেউ পিঠ চুলকে দেয়নি-- চাইওনি---ইচ্ছেও নেই।
৩৭
প্রাপ্যটা চাই-- দয়া নয়-- দাক্ষিণ্যও না।
৩৮
পৃথিবীর মানচিত্র থাক কিন্তু দেশ না।
৩৯
শর্ত সাপেক্ষ আত্মসপর্নই প্রেম।
৪০
দিনে দিনে মানুষ সুন্দর হয় চাঁদ লাগে মুখে।
৪১
এবং তার শরীরে চাঁদ আসতেই সে জলে মিশে যায়।
৪২
সূর্য এসে ডুবে গেল হাতের তালুতে, সেদিন।
৪৩
কর্মই প্রমাণ করে কে কার আপনজন।
৪৪
কচিকচি গাছ বেড়ে উঠলে চেয়ে থাকি অনন্তসময়।
৪৫
অপেক্ষা দীর্ঘতর হলে লাফিয়ে ওঠে জ্বর।
৪৬
সময়ই প্রকৃত কালখণ্ড বাকি সব পাখি সব।
৪৭
উপর উপর চালাকি হয় বরাহমিহির জানে।
৪৮
অচল নোটের চেয়ে ভয়ঙ্কর কালোবাজারি।
৪৯
মায়াকান্না বা ঠিকেদারি সাহিত্য নয়।
৫০
সকলেই ফিরতে চায়, ফেরা সহজ নয়।
৫১
আমি এলেই তুমি চলে যাও?
৫২
ভালোবাসতে হৃদয় লাগে অঙ্ক লাগে না।
৫৩
ক্লিওপেট্রা, আপনার চোখ আকৃষ্ট বাতাস ছড়ায়।
৫৪
চোখের মণি কথা বলে ইশারায়।
৫৫
বাজাতে চেয়েছিলাম, নিজেই বেজে ওঠে হারমোনিয়াম।
৫৬
উচ্চারণের জড়তা কাটাতে পড়ি অ আ ক খ।
৫৭
জমিনে পুঁতে রাখি সম্ভাবনাবীজ।
৫৮
অনন্ত ভ্রমণ শেষে আমিই চৈতন্য ফকির।
0 Comments