সুষমারাণী ধর স্মৃতি স্রোত সাহিত্য সম্মান :২০২৫
সুষমারাণী ধর(ছবি) স্মৃতি স্রোত সাহিত্য সম্মান :২০২৫
(বেবী সাউ এর ছবি)
বেবী সাউয়ের জন্ম , ঝাড়গ্রাম জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে। পারিবারিক কর্মসূত্রে বর্তমান নিবাস জামশেদপুরে। তিনি স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই কবিতা এবং ইতিহাসের প্রতি আকর্ষণ। লোকসাহিত্য, ইতিহাস এবং লোকসংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ পরবর্তীকালে রূপ নেয় অনুসন্ধান এবং গবেষণায়। কবিতার মধ্যে দিয়েই মূলত তাঁর আত্মপ্রকাশ।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ বনঘাঘরা (২০১৫) দিয়েই চমকে দেওয়া শুরু। তার পর একে একে বেরিয়েছে ইউথেনেশিয়া (২০১৬), গান লেখে লালনদুহিতা ( ২০১৮), ছয় মহলা বাড়ি ( ২০১৮), একান্ন শরীরে ভাঙো ( ২০১৯) এবং হেমন্তের অন্নপূর্ণা (২০১৯)।
কবিতার লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ এবং দৈনিকে প্রবন্ধ, নিবন্ধ এবং গবেষণামূলক রচনা লেখার শুরু। ছোটবেলা থেকেই ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলার সীমান্ত এলাকায় সুবর্ণরেখা নদীর দুই পাড়ের সুবর্ণরৈখিক ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে আগ্রহ। এই সব এলাকার প্রান্তিক মহিলাদের মধ্যে বিয়ে থেকে শোক, বিষাদ থেকে দুঃখের নানা কিছু ঘটনার বর্ণনায় প্রচলিত কাঁদনাগীত সংগ্রহের জন্য চার পাঁচ বছর ধরে নিরন্তর গবেষণা। গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাঁদনাগীত সংগ্রহ, তাঁদের সঙ্গে থেকে তাঁদের জীবনযন্ত্রণার সঙ্গে পরিচিতির পাশাপাশি, এই সব গানের কাব্যগুণ, ইতিহাস এবং সংস্কৃতি নিয়ে নিরন্তর চর্চার ফলশ্রুতিতে ২০১৯-এই প্রকাশ পায় গবেষণামূলক গ্রন্থ – কাঁদনাগীত, সংগ্রহ ও ইতিবৃত্ত। একশোর বেশি কাঁদনাগীত সংগ্রহ করা ছাড়াও সুবর্ণরৈখিক ভাষা থেকে প্রচলিত বাংলা ভাষায় সেই সব কবিতায় অনুবাদ করা আছে মূল গানের পাশাপাশি। কবি, বর্তমানে বিভিন্ন ভাষার কবিতার অনুবাদ, বাংলার অনুবাদ সাহিত্যের ইতিহাস রচনা এবং মন্দির-মসজিদের স্থাপত্য ও অলংকরণ নিয়ে কাজের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের আকাশবাণীতে কর্মরত।
পেয়েছেন কৃত্তিবাস মাসিক পুরস্কার বিনয় মজুমদার পুরস্কার ২০১৯, এখন শান্তিনিকেতন পদ্য সম্মান, শব্দপথ যুব পুরস্কার ২০১৯, রাঢ় বনতলি সম্মান, বইতরণী পুরস্কার, জামশেদপুর সিংভূম বঙ্গীয় অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা বঙ্গ সমাজ রত্ন ২০২০ এবং বাংলা একাদেমি তাপসী বসু স্মারক সম্মান -২০২০। তাঁকে আমরা আমাদের হৃদয়ের গভীর থেকে সুষমারাণী ধর স্মৃতি স্রোত সাহিত্য সম্মান :২০২৫ প্রদান করতে পেরে গৌরবান্বিত বোধ করছি।
ধন্যবাদান্তে
গোবিন্দ ধর
সম্পাদক
স্রোত(লগো)
0 Comments