কবি জনেস চাকমা সংখ্যা ও গোবিন্দ ধর 

প্রগতি খীসা

গোবিন্দ ধর  মহাশয় নিঃসন্দেহে একজন অতি প্রতিভান 
শব্দচাষী অগ্রসৈনিক কবি। একজন বিস্ময়কর প্রতিভাবান জাতিগোষ্ঠীর কবির প্রতি আর একজন কবির এ নিখাঁদ ভালবাসা ও শ্রদ্ধার অভিব্যক্তি প্রকাশ দেখে আন্দোলিত করে মনকে নানাভাবে। এযুগে এসে আমরা যখন দেখতে পায়না একজনের গুণ স্বীকার করে আরেকজন মনঃসমীক্ষণ সাহিত্যে শব্দ, বিশেষণীয় শব্দের মিছিলের ঢেউ তুলতেকিংবা পাদপ্রদীপে নিয়ে আসার জন্য লেখালেখি করতে এমনি সময়ে কবি গোবিন্দ ধর মহাশয়ের প্রতিদিন বাংলাভাষা.  স্রোত ",কবি জনেশ সংখ্যা" প্রকাশ এক ঋদ্ধ কবির মননশীলতার বহিঃপ্রকাশ।  কবি গোবিন্দ ধর মহাশয়ের এ সাহিত্য মনঃসমীক্ষণ কর্মকে আমি আন্তরিকভাবে অভিনন্দিত করি।
আমরা জানি কোন জীবন চিরকাল বেঁচে থাকে না। কোনো মৃত মানুষ আবার ফিরেও আসে না। এমনকি ক্লান্ত নদীও শেষে মেশে যায় এক গহীন অথৈজল সাগরে। এমনিতরভাবে কবি ঋষি জনেশ আয়ন চাকমাও আর কোনদিই ফিরে আসবেন না দেঢ়গাঙ নদীর তীরে কিংবা মাছমারার সুশীল প্রকৃতির সৌন্দর্যের ভাঁজে ভাঁজে। ধরবেন না কোন দিন কলম ও কিংরা রচনা করবেন না আর একটি শব্দ আর বাক্য শৈলীও। তিনি মেশে গেছেন মৃত্যু নামক মহাসাগরের জলবিন্দুতে। তাই আমি মনে করি আমরা যারা এখনো কবি জনেশ আয়নের মতো মৃত্যু সাগরের পথ ধরিনি তাদের উচিত
অগ্রজদের গুণকীর্তন স্মরণে রেখে সাহিত্য সৃষ্টি করা। এ কাজটি আমরা না পারলেও করে দেখালেন কবি গোবিন্দ ধর মহোদয়। এ কৃত মহান সাহিত্য কর্মের জন্য আমি আপনাকে ভক্তিচিতে অভিবাদন জ্ঞাপন করছি।

0 Comments